আশা করি সবাই ভালো আছেন ।আমিও ভালো আছি। যুদ্ধ করে স্বাধীন যারা এর তৃতীয় নম্বর পার্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশাকরি আগের দুটো পার্ট ভালো লেগেছে এবং এই পার্ট ভাল লাগবে সবার। যুদ্ধ করে স্বাধীন যারা এমন দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশের নাম হলো ভিয়েতনাম এই দেশটাতে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন যুদ্ধের মাধ্যমে । তারা স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুদ্ধ করেছে প্রাণ বিসর্জন করেছে এবং তার ই মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটা ও খুব ভালো লাগবে সবার।
ভিয়েতনাম
বিশ্বব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ভিয়েতনাম একটি অন্যতম নাম। ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভিয়েতনামি বিপ্লবের অবিসংবাদিত নেতা হো চি মিন ফ্রান্সের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।একদিকে জাপানের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রান্স ভিয়েতনামের দক্ষিণ অংশ নিজেদের দখলে নিয়ে আসে দেশের উত্তরাংশ তখন হো চি মিন সাম্যবাদী দলের নিয়ন্ত্রণে। ফ্রান্স উত্তর ভিয়েতনামের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে ফরাসি যুদ্ধ জাহাজ উত্তর ভিয়েতনামের হাইফং শহরে বোমা বর্ষণ করে এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। আলোচনা ভেঙ্গে যায় ভিয়েতনামীরা পাল্টা আক্রমণ করে শুরু হয় প্রথম ইন্দো চীন যুদ্ধ দীর্ঘ আট বছর ধরে এই যুদ্ধে যুদ্ধে চীন ভিয়েতনাম এবং আমেরিকান ফরাসিদের সমর্থন করে।
১৯৫৪ সালে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে দিয়েন বিয়েন ফু তে ফরাসি বাহিনী পরাজিত হয়। ভিয়েতনাম উত্তর-দক্ষিণ দুই ভাগে বিভক্ত হয়। উত্তর ভিয়েতনামের হচ্ছি মিনের নেতৃত্বে সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে সাম্যবাদীরা দক্ষিণ ভিয়েতনামে পশ্চিমা শক্তির তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাজির হয়। ষাটের দশকের শুরুতে মার্কিন সমর্থিত দক্ষিণ ভিয়েতনামের শাসকদের বিরুদ্ধে সাম্যবাদী গেরিলা লড়াই শুরু করেন। লড়াইয়ে মার্কিন সেনা দল প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়। মার্কিন যুদ্ধ বিমানগুলো উত্তর ভিয়েতনামের ব্যাপকভাবে বোমা বর্ষণ করতে থাকে তারা শহর ও গ্রাম অঞ্চলের ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ চালায়।
১৯৬৮ সালের ১৬ ই মার্চ মার্কিন সৈন্যরা মাইলাই ও সোনা মাই গ্রামে অগণিত নারী শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা করে দীর্ঘ ১৫ বছর ১৯৭৫ সালের ৩০ শে এপ্রিল দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানী সায়গনে মার্কিন বাহিনীর পতনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ সমাপ্ত হয়। বিজয়ের পর দুই ভিয়েতনাম একত্র হয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে এই যুদ্ধে প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায় ৬ লাখের বেশি মানুষ আহত হয়।
আশাকরি আর্টিকেলটি সবার ভালো লাগবে
ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন
Very well written dear