জবা একটি চিরসবুজ গুল্ম যার উচ্চতা ২.৫-৫ মি(৮-১৬ ফিট) ও প্রস্থ ১.৫-৩ মি(৫-১০ ফিট)। এর পাতাগুলি চকচকে ও ফুলগুলি উজ্জ্বল লাল বর্ণের ও ৫টি পাপড়ি যুক্ত। ফুলগুলির ব্যাস ১০ সেমি(৪ ইঞ্চি) এবং গ্রীষ্মকাল ও শরতকালে ফোটে[২]।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাসজগৎ:উদ্ভিদ(শ্রেণীবিহীন):সপুষ্পক উদ্ভিদ(শ্রেণীবিহীন):Eudicots(শ্রেণীবিহীন):রোসাইডসবর্গ:Malvalesপরিবার:Malvaceaeগণ:Hibiscusপ্রজাতি:H. rosa-sinensis
দ্বিপদী নাম...
.. ... Hibiscus rosa-sinensis
চাষসম্পাদনা
বাগানের গাছ হিসেবে জবাকে গ্রীষ্মমণ্ডল এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডল অঞ্চলে সর্বত্র ব্যবহার করা হয়। যেহেতু জবা ১০°সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না, তাই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে জবা গাছকে গ্রীনহাউসে রাখা হয়। জবা গাছের বিভিন্ন রকমের সংকর প্রজাতি আছে, যাদের ফুলের রঙ সাদা, হলুদ,কমলা, ইত্যাদি হতে পারে।
নামকরণসম্পাদনা
বৈজ্ঞানিক ক্যারলাস লিনেয়াস জবার নাম দেন হিবিস্কাস রোসা-সিনেন্সিস। লাতিন শব্দ 'রোসা সিনেন্সিস'-এর অর্থ 'চীন দেশের গোলাপ', যদিও জবার সঙ্গে গোলাপের সম্পর্ক নেই। চীনদেশে এই গাছটি 'zhū jǐn 朱槿' নামে পরিচিত। ভারতীয় উপমহাদেশে জবা গাছ বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন বাংলায় জবা, তামিলে செம்பருத்தி (সেম্বারুথি), হিন্দিতে जवा कुसुम (জবা কুসুম), মালয়লমে ചെമ്പരത്തി (সেম্পারাত্তি), ইত্যাদি।
গুনাগুণসম্পাদনা
চোখ ওঠা রোগ দূর করতে এর পাতার প্রলেপ দিলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
সর্দি ও কাশিতে জবা ফুল বেটে রস করে পানিতে মিশিয়ে খেলে রুগী সুস্থ হয়ে যাবে।
চুলের বৃদ্ধির জন্য[৩] পাতার রস তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে।[৪]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
↑ "USDA GRIN Taxonomy"। ৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৪।
↑ দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে, ১৯৮৮; পৃষ্ঠা-৫৩-৫৪, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭
↑ "চুলের যত্নে জবাফুল"। 20Fours। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২০।
↑ আঃ খালেক মোল্লা সম্পাদিত;লোকমান হেকিমের কবিরাজী চিকিৎসা; আক্টোবর ২০০৯; পৃষ্ঠা- ১৪৯-৫০
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে জবা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
I subscribe you .... please subscribe me ....