প্রাণীদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষে বিজ্ঞানীরা বলছেন নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার মানদন্ডে শতভাগ সাফল্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশী গ্লোব বায়োটেকের টিকা।
এখন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকীতে গবেষণা ফলাফল প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। চলতি মাসেই মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি চাইবে গ্লোব বায়োটেক।
ভ্যাকসিনটির বিষয়ে গ্লোব বায়োটেকের সিইও ড.কাকন নাগ বলেন, " সেফটিতে দেখি আমরা এন্টিজেন ও তার ডেলিভারি মেকানিজম বা সিস্টেম এটির কোনো ক্ষতিকারক দিক আছে কিনা। সেফটিটা এ্যানিমেল ট্রায়ালে খুবই আশাপ্রদ আমরা কোনো রকম টক্সিসিটি দেখতে পাইনি। ইফিকেসিটা হচ্ছে এই অ্যান্টিজেনটা অ্যান্টিবডি দিচ্ছে কিনা এবং সেই অ্যান্টিবডি নিউট্রিলাইজড করতে পারছে কিনা কোভিড-১৯ কে।
ইফিকেসির পূর্ণাঙ্গ ডাটা এখনও আমাদের হাতে আসেনি। কিন্তু যতটুকু এসেছে সেটি খুবই আশাপ্রদ। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারির মধ্যে প্রস্তুত হবে টিকা।"
গ্লোব বায়োটেকের আরেকজন সিইও ড.নাজনীন সুলতানা বলেন, "সেফটিত শতভাগ পারফেক্ট, ইফিকেসি ডাটাতেও শতভাগ পারফেক্ট, এ্যনিমেলে, অর্গান কালেকশন, ব্লাড কালেকশন সমস্ত ডাটা যেগুলো দেখেছি একজন বিজ্ঞানী হিসেবে আমি খুবই আশাবাদী।"
গ্লোব বায়োটেকের সিইও ড.কাকন নাগ আরও বলেন, "বিএআরসির অনুমোদন পাওয়া গেলে আমাদের ডিজিডিএর অনুমোদন পাওয়া গেলে আমরা খুব দ্রুত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাবো। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করার জন্য যে ডোজেজ ফর্ম দিতে হবে সেটাই হবে আমাদের দায়িত্ব আর ক্লিনিক্যাল ট্রায়লটি কিন্তু আসল সিআরও করবেন।
আসলে এর যে অনুমোদনের ব্যাপারগুলো থাকে প্রতি ধাপের পর এই ব্যাপারগুলো যদি মূল্যায়ন করা হয় তাহলে কিন্তু জানুয়ারির ভিতরেই ভ্যাকসিনটা চলে আসার সম্ভাবনা আছে। গ্লোবের টিকা বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশ কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে মোট আটটি খরগোশের দেহে পরীক্ষামূলক সাফল্য অর্জন করে বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা মেনে লিঙ্গ, বয়স ও ওজনের ভিক্তিতে এক হাজারটি ইঁদুরের শরীরে পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগ করেছে গ্লোব। এবং প্রাপ্ত ফলাফল নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার মানদন্ডে সাফল্য অর্জন করেছে।
খুব সুন্দর একটি পোষ্ট করেছেন এখন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকীতে গবেষণা ফলাফল প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে মনে হচ্ছে