করোনাভাইরাসের কারণে বেকার হওয়া আমেরিকানদের জন্যে সাপ্তাহিক বেকার ভাতা ১ অগাস্ট থেকে পুনরায় চালু করা নিয়ে রিপাবলিকান এবং ডেমক্র্যাটদের মধ্যে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় প্রায় ২ কোটি আমেরিকান চরম অর্থ সংকটে দিনাতিপাত করছেন। এমনি অবস্থায় আপতকালীন সহায়তার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত সাপ্তাহিক ৩০০ ডলার হিসেবে বিতরণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নিউইয়র্ক স্টেট লেবার ডিপার্টমেন্ট।
একই কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই ৪০টি স্টেটের বেকারদের মধ্যে সেই অর্থ বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে আগেই। ১০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক স্টেটের লেবার ডিপার্টমেন্টের ঘোষণা অনুযায়ী ২, ৯ এবং ১৬ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া তিন সপ্তাহের জন্যে একত্রে ৯০০ ডলার করে প্রদান করা হবে প্রত্যেক বেকারকে। এটি হবে স্টেট প্রদত্ত ভাতার অতিরিক্ত। ৩১ জুলাইয়ের আগে এর পরিমাণ ছিল ৬০০ ডলার করে। পুনরায় ৬০০ ডলার করে প্রদানের জন্যে গত ১৫ মে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ডেমক্র্যাটরা একটি বিল পাশ করেছেন ‘হিরোজ এ্যাক্ট’ নামে। কিন্তু সিনেটে রিপাবলিকানরা সপ্তাহে ৩০০ ডলার করে বেকার ভাতা প্রদানের বিল উত্থাপন করেন। সেটি পাশ হয়নি। এ নিয়ে উভয় পক্ষের বিপরীত অবস্থানে প্রকারান্তরে বেকাররা চরম অর্থ সংকটে দিনাতিপাত করছেন বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থমন্ত্রী মুনিচিনও মন্তব্য করেছেন। তবুও রিপাবলিকান সিনেটরদের বোধোদয় ঘটেনি। ফলে ট্রাম্পের ‘বিশেষ অনুকম্পা’ হিসেবে সপ্তাহে ৩০০ ডলারকে প্রায় সকলেই ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামাই ভালো’ হিসেবে মনে করছেন।
এদিকে, করোনার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে আমেরিকায় লকডাউন ঘোষণার পরই কংগ্রেসে ‘করোনা স্টিমুলাস’ বিল পাশ হয়। সে অনুযায়ী আমেরিকানদের মাথাপিছু এককালিন ১২০০ ডলার করে দেয়া হয়। এই চেক ইস্যু করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সেবা। এপ্রিলের মধ্যে এসব চেক সংশ্লিষ্টদের পাওয়ার কথা। কিন্তু ১০ সেপ্টেম্বর আইআরএস থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে যে, ইস্যুকৃত ১২০০ ডলারের ৯০ লাখ চেকই ফেরত এসেছে। এজন্যে তারা সর্বসাধারণের প্রতি আহবান জানিয়েছে, যারা এখনও ওই চেক পাননি, তারা যেন অবিলম্বে আইআরএস’র সাথে যোগাযোগ করেন। অনলাইনে গিয়েও এ ব্যাপারে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারবেন ঐ চেকের ব্যাপারে। কারণ, করোনা রিলিফ হিসেবে সেই ১২০০ ডলার প্রতিটি নাগরিকের প্রাপ্য। আইআরএস উল্লেখ করেছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই অর্থ সংগ্রহ না করলে তা তামাদি হয়ে যাবে।