পাঁচ বছরে ৯৬ হাজার অগ্নিকাণ্ড, মৃত্যু ৪৭৯
অগ্নিকাণ্ডের ৩৭ ভাগের সূত্রপাত হয় শর্টসার্কিট থেকে। শর্টসার্কিটের পর বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটে চুলার আগুন থেকে।
আসাদুজ্জামান
ঢাকা
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৮:৪৮
অ+অ-
নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলফাইল ছবি
বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর প্রধান কারণ বৈদ্যুতিক গোলযোগ বা শর্টসার্কিট। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ৯৬ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে ৩৫ হাজার ৫৯৮ টি। অর্থাৎ অগ্নিকাণ্ডের ৩৭ ভাগের সূত্রপাত শর্টসার্কিট থেকে। এই সময়ের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা গেছেন ৪৭৯ জন। এই অগ্নিকাণ্ডে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
আমাদের দেশে অগ্নিকাণ্ডের যত ঘটনা ঘটে, তার বেশির ভাগের সূত্রপাত কিন্তু শর্টসার্কিট থেকে। আমরা নিম্নমানের ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ অফিস, বাসা-বাড়ি, কারখানায় ব্যবহার করি। এসব যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক আছে কি না, সে ব্যাপারেও আমরা উদাসীন। এর ফলে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মানুষ মারা যায়। কিন্তু আমরা সচেতন হচ্ছি না
লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান , ফায়ার সার্ভিসের অপারেশনস ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক
ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদন বলছে, শর্টসার্কিটের পর বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটে চুলার আগুন থেকে। শতকরা ১৮ ভাগ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত চুলার আগুন থেকে হয়। আর ১৫ ভাগ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সিগারেটের আগুন থেকে।
ফায়ার সার্ভিসের অপারেশনস ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দেশে অগ্নিকাণ্ডের যত ঘটনা ঘটে, তার বেশির ভাগের সূত্রপাত কিন্তু শর্টসার্কিট থেকে। আমরা নিম্নমানের ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ অফিস, বাসা-বাড়ি, কারখানায় ব্যবহার করি। এসব যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক আছে কি না, সে ব্যাপারেও আমরা উদাসীন। এর ফলে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মানুষ মারা যায়। কিন্তু আমরা সচেতন হচ্ছি না।’
This is very important post. We know there many thing.it is very sadly post.we all always be care