ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

14 55
Avatar for Ramim1234
4 years ago

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার

অন্য ব্যবহারের জন্য, বিদ্যাসাগর (দ্ব্যর্থতা নিরসন) দেখুন।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১) উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তার প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি ছিল তার। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও অপরবোধ্য করে তোলেন।[২] বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ, একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

জন্মঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০
বীরসিংহ গ্রাম, হুগলি জেলাবাংলা প্রেসিডেন্সিব্রিটিশ ভারত
(অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়)মৃত্যু২৯ জুলাই ১৮৯১ (বয়স ৭০)
কলকাতা, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে)ছদ্মনামকস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য, কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো সহচরস্য[১]পেশালেখক, দার্শনিক, পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, অনুবাদক, প্রকাশক, সংস্কারক, মানবহিতৈষীভাষাবাংলা ও সংস্কৃতজাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসংস্কৃত কলেজ (১৮২৮-১৮৩৯)সাহিত্য আন্দোলনবাংলার নবজাগরণউল্লেখযোগ্য রচনাবলিবর্ণপরিচয় কথামালাবোধোদয়আখ্যানমঞ্জরী ব্যাকরণ কৌমুদীবেতাল পঞ্চবিংশতিশকুন্তলাবিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব (২ খণ্ডে), বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব (২ খণ্ডে)[১], অতি অল্প হইল(১৮৭৩), আবার অতি অল্প হইল (১৮৭৩), ব্রজবিলাশ(১৮৮৪),দাম্পত্যসঙ্গীদীনময়ী দেবীসন্তাননারায়ণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়আত্মীয়ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (বাবা)
ভগবতী দেবী (মা)

অন্যদিকে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তার অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরিত হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে। বাংলার নবজাগরণের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘দয়ার সাগর’ নামে।[৩][৪] দরিদ্র, আর্ত ও পীড়িত কখনই তার দ্বার থেকে শূন্য হাতে ফিরে যেত না। এমনকি নিজের চরম অর্থসংকটের সময়ও তিনি ঋণ নিয়ে পরোপকার করেছেন। তার পিতামাতার প্রতি তার ঐকান্তিক ভক্তি ও বজ্রকঠিন চরিত্রবল বাংলায় প্রবাদপ্রতিম। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার মধ্যে দেখতে পেয়েছিলেন প্রাচীন ঋষির প্রজ্ঞা, ইংরেজের কর্মশক্তি ও বাঙালি মায়ের হৃদয়বৃত্তি।

বাঙালি সমাজে বিদ্যাসাগর মহাশয় আজও এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরে তার স্মৃতিরক্ষায় স্থাপিত হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানী কলকাতার আধুনিক স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বিদ্যাসাগর সেতু তারই নামে উৎসর্গিত।


33
$ 0.00
Avatar for Ramim1234
4 years ago

Comments

Nice articl. Like and comment kore pase thakben 😊

$ 0.00
4 years ago

Nice article, please support me

$ 0.00
4 years ago

Very good person

$ 0.00
4 years ago

Extraordinary

$ 0.00
4 years ago

awasome

$ 0.00
4 years ago

দারুণ

$ 0.00
4 years ago

brilliant student🙂🙂 sotti karer brilliant to uni e😴😴

$ 0.00
4 years ago

Ooooo verry like articale

$ 0.00
4 years ago

Joss

$ 0.00
4 years ago

Wow

$ 0.00
4 years ago

wow

$ 0.00
4 years ago