ক্রিং ক্রিং ক্রিং শব্দে বেজে ওঠে আইরিনের মুঠোফোন। ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখে, আননোন নাম্বার। ফোন রিসিভ করে বলল-
' হ্যালো।
' ওহ হেই মিতু কি - খবর?
' সরি! আমার নাম মিতু নয়।
' কেন এই নাম্বার তো মিতুর-ই।
' সরি ভাই আমার নাম আইরিন।
' বাহ্ বেশ সুন্দর নাম তো।
' থ্যাংকস ভাই।
' মিতু আপনার বোন নাকি?
' কতবার বলব! আমি মিতু নামের কাউকে চিনি না। এই নাম্বার আমার-ই।
বেশ বিরক্ত হয়ে আইরিন ফোনের লাইন কেটে দেয়। ওপাশ থেকে শুভ নাম্বার চেক করে দেখে তিন এর জাগায় ০ বসিয়েছে। আবার ফোন করল। আইরিন ফোন রিসিভ করে বলল-
' আবার কেন ফোন করেছেন?
' আসলে সরি বলার জন্য।
' কীসের জন্য সরি?
' ৩ এর জগায় ০ টাইপ করে ফেলেছি। সেজন্য আপনার কাছে ফোন চলে গেছে।
' ওহ আচ্ছা! নাম কী আপনার?
' ইয়ে মানে আমার নাম?
' হ্যাঁ আপনার নাম।
' আমার নাম শুভ।
' বেশ সুন্দর নাম। করেন কী?
' এই যে কথা বলছি আপনার সঙ্গে।
' না মানে আমি বলতে চাচ্ছি পেশা কী?
' ওহ আচ্ছা! জব করি। প্রাইভেট কোম্পানিতে।
' ভালো! আপনার কণ্ঠটা বেশ সুন্দর। একটা গান শুনান তো।
' আমি গান জানিনা।
' তো কী জানেন?
' কবিতা জানি। বলব কবিতা।
' হ্যাঁ বলুন।
.
এই যে গভীর রাতে
দু'জন কথা বলছি,
কথা বলা থেকে বন্ধুত্ব হবে;
বন্ধুত্ব থেকে প্রেম সৃষ্টি হবে।
.
' ওয়েট এই কবিতার লেখক কে?
' কে আবার আমি।
' আপনি কবিতা লিখতে জানেন।
' হ্যাঁ। বেশ কবিতা লিখতে জানি।
' ভালো! আমি কবিতা পছন্দ করি। প্রতিদিন আমাকে কবিতা শুনবেন গভীর রাতে।
' আচ্ছ ঠিক আছে।
' থ্যাংক ইউ।
অতঃপর একদিন শুভকে প্রপোজ করে আইরিন।
গল্প: রং নাম্বার || কাজী ফরহাদ