গল্প

11 18
Avatar for R_P_Emon
4 years ago
বিদেশ থেকে ফিরেছি বিয়ে করবো বলে। বহুদিন বিদেশ করার পর এবার বিয়েটা করাই উচিৎ মনে করলাম। মা বাবা ও খুব উৎসাহিত ছেলের বিয়ে নিয়ে। নানান মানুষ কে বলে মেয়ে দেখতে। নানান জায়গায় যেয়ে যেয়ে ছেলের প্রশংসা করে। ভাইসব ছেলে আমার লাখে একটা। নিজের ছেলের কথা বলতে লজ্জা লাগে তাও বলি, ছেলে আমার হীরার টুকরা। এতো বছর বিদেশ করে আসছে এবার বিয়েটা করাতে চাই। বিয়ের পর বৌ নিয়ে চলে যাবে আবার। ছেলের একটাই কথা। ছেলে আমাকে আর ওর মাকেও নিতে চায়। কিন্তু ওর মা আবার দেশ ছেড়ে যাবে না।
.
এইসব আজেবাজে আলোচনা আমার বাবা আজকাল হরহামেশাই সবার কাছে করছে। পাত্রী দেখার ব্যাপারে আমিও একটু আগ্রহী । নিজের বিয়ে বলে কথা। লজ্জা লাগে আবার ভেতরে ভেতরে খুবই আনন্দিত। কিভাবে জানিনা বাবা একটা মেয়ে দেখতে যাবার ব্যবস্থা করলো। আমি রাগারাগি শুরু করলাম। মাত্র দেশে আসছি আমাকে একটু সময় দেন আপনারা। কি শুরু করেন। আমার একটা মানসিক প্রস্তুতির দরকার আছে ত নাকি? কিন্তু সত্যি বলতে ভিতরে ভিতরে খুব খুশি আমি। বাবা বললো, রাগ করিস কেন। এই আমরা যাবো আর আসবো শুধু। তোর যেতে ইচ্ছে না হলে তুই থাক। আমরা আগে দেখে আসি। আমি পরলাম মানিকের চিপায়। আমার বিয়ে আমি মেয়ে দেখতে যাবো না তা কি হয়..!!! নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হলো। কি করা যায় ভেবে ভেবে বলেই দিলাম, না থাক আমিও যাই ঘুরে আসি। দেশে আসার পর ঘর থেকে ত তেম বের হচ্ছি না৷। 
.
আমরা মেয়ে দেখতে মেয়ের বাড়িতে গেলাম। যাওয়ার পর মনে হলো যে জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল কাজটা আমি করেছি৷ আমার গলা বার বার শুকিয়ে যাচ্ছে। আর পানি খাচ্ছি। এমন একটা পরিস্থিতি আমি উঠতেও পারছি না। কিছুক্ষণের মধ্য একজন রূপবতী মেয়ে নাস্তা নিয়ে আসলো। নাস্তা দিয়েই সে চলে গেলো। আমি মা বাবার মুখের দিকে তাকালাম। মা বাবার মুখ হাসি হাসি। আমার মনের ভিতরেও লাড্ডু ফুটেছে। কারণ মেয়ে আমার মশাআল্লাহ পছন্দ হয়েছে। আমার মা বাবার প্ল্যান ছিলো মেয়ে পছন্দ হলে আংটি পরিয়ে ফেলবে৷ এই চক্রান্ত আমি জানতাম না যদিও। মেয়ের মা বাবা আর আমার মা বাবা নানা বিষয়ে কথা বলছে। মেয়ের বড় ভাই সেও এসে আমাদের সাথে কথাবার্তা বলছে। ঐসময় মেয়েও এসে সোফায় বসলো তার বড় ভাইয়ের পাশে৷ আমি মনে মনে ভাবলাম বাহ মেয়ের ত সাহস আছে। এই যুগের মেয়ে সাহস ত থাকবেই। আমি মেয়ের দিকে আড়চোখে তাকাই। আর আমার মনের ভেতরে শালিক পাখি নাচানাচি করে৷। এক পর্যায়ে আমার আম্মা জিগ্যেস করলো মা তোমার নাম কি? 
মেয়ে বলল, তাহমিনা। 
বাবা বললো বাহ বাহ বেশ সুন্দর নাম। 
আমার বাবা বললো, মেয়ে আমাদের পছন্দ হয়েছে আমরা আজকেই আংটি পরিয়ে ফেলতে চাচ্ছিলাম। দেখি মা তোমার হাতটা দাও ত। আমার আম্মা এই বলে মেয়ের হাত টেনে কাছে নিয়ে আসলো। আংটি পরিয়ে দিতে। এমন সময় মেয়ের বাবা আর ভাই লাফ দিয়ে বলে উঠলো আপনাদের ভুল হচ্ছে। আমরা মেয়ে এখনো আপনাদের সামনে নিয়ে আসিনি। এটা আমার বড় ছেলের বউ৷ বৌমা যাও ওকে নিয়ে আসো জলদি............
আমি মা বাবা হা করে তাদের দিকে তাকিয়ে বললাম। আচ্ছা আচ্ছা.
সাদিদুল ইসলাম খান নিষাদ
Sponsors of R_P_Emon
empty
empty
empty

2
$ 0.01
$ 0.01 from @Montasin11
Sponsors of R_P_Emon
empty
empty
empty
Avatar for R_P_Emon
4 years ago

Comments

All funds raised will deliver mental fitness workshops & training, by our local partners including communities that need it most. Huge thanks to @kaptorprojects for donating their amazing video, time and skills to this cause, which we know is close to their heart @WeaveYouthFamily

$ 0.00
4 years ago

porai ostir vai

$ 0.00
4 years ago

ধন্যবাদ তোমাকে।সবসময় পাশে থেকো।পাশে আছি আমিও।কমেন্ট করে যাও।আর কয়েন বাড়াও।পয়েন্ট তো আর নাই এখন।

$ 0.00
4 years ago

your must Wellcome I noticed Alan that you wore a face mask .long before carona virus. Was that a fashion item., or a premonition. Love your music can go on listening over and over. Faded reminds me of my mum i lost her 8 years ago now ,to lung cancer.in 4 month she was gone. She said to me .please dont cry .i am tired .i will always be with you ,and walk beside you . I watched her fade.

$ 0.00
4 years ago

বাঘ যখন বিড়াল ========= বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করে একটা প্রাইভেট ফার্মে জয়েন করেছি। এমডি স্যার ভয়ানক রাগী মানুষ। অফিসে সারাক্ষণ বাঘের মত তর্জনগর্জন করেন। কাজ-কর্মে কারো এক আধটু ভুল হলেই ফাইল ছুড়ে মারেন। মুখের উপর বলে ফেলেন,"পড়ালেখা করে পাশ করেছেন নাকি নকল করে পাশ করেছেন ?" অফিসের সবাই আমরা উনার ভয়ে তটস্থ থাকি। কেবল মাজেদ ভাই ড্যাম কেয়ার। বলেন, "স্যারের হট মেজাজের কারন কি জানেন? শালা সারা বছরই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে।...আরেকটা বিষয় খেয়াল করেছেন ? শালার পুরো মাথা টাক। কেবল মাথার পেছন অল্পকিছু চুল আছে। কিন্তু এই লোক করে কি পেছনের চুলগুলি জেল দিয়ে সামনে এনে মাথার টাক ঢাকার চেষ্টা করে। চিন্তা করেন শালা কতবড় চিট! কত বড় খচ্চর!" হাসতে হাসতে আমাদের জান শেষ।মাজেদ ভাই হচ্ছেন এই অফিসের মিঃবিন।সবাইকে হাসিয়ে মারেন । একদিন লাঞ্চের পর অফিসে জরুরী মিটিং চলছিল। পিনপতন নীরবতা। কেবল স্যার কথা বলছিলেন। আমর গভীর মনোযোগে শুনছিলাম। হটাত চটাং চটাং পায়ের শব্দে অভিজাত চেহারার এক মহিলা ঢুকলেন। মুহুর্তে এমডি স্যার উঠে দাঁড়ালেন। আমরাও না বুঝে তার সাথে উঠে দাঁড়ালাম।পাশ থেকে কেউ ফিসফিস গলায় বলল, "স্যারের ওয়াইফ।" মহিলা রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, " মোবাইল অফ রেখেছ কেন ?" "জরুরি একটা মিটিং করছিলাম, তাই-" স্যার ভয়ার্ত গলায় বললেন।" " দুপুরে না ইরার এখানে যাওয়ার কথা? রিসপনসিবিলিটি বলতে একটা বিষয় আছে, বুঝিনা তুমি এত ইরে্সপনসিবল হও কেমন করে?" বলেই চোখ ঘুরিয়ে উনি একবার আমাদের অফিস স্টাফদের দেখলেন। "এত কম কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে তুমি এতবড় অফিস সামলাও কেমনে আল্লা জানে!" বলতে বলতে ম্যাডাম অফিস থেকে বেরিয়ে গেলেন। এমডি স্যারও নিঃশব্দে উনার পেছন পেছন বেরিয়ে গেলেন। হতভম্ব আমরা নীরবে দাঁড়িয়ে রইলাম। মাজেদ ভাই নীরবতা ভাঙলেন। "দেখেছেন শালা অফিসে বাঘ আর বাড়িতে ম্যাও--" আমরা সবাই হাসিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলাম। কেউ কেউ সমস্বরে ম্যাও ম্যাও শব্দ করতে লাগলো। ~ মেহেরাব মাশুক।

$ 0.00
4 years ago

সৌন্দর্য তো হলো মনে চেহারা তো রং টাই বহন করে,,,, আমি কালো রং এর সুন্দর একটা মন খুচ্ছি কেউ কি হবে......

$ 0.00
4 years ago

লোকটা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছেন খবর পেয়ে রাজাকার-রা উনার স্ত্রীকে ধর্ষণ করার হুমকি দিলো। লোকটা কোন হুমকিকে ভয় না পেয়ে দেশের জন্য দশের জন্য হাতে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে গেলেন দেশ স্বাধীন করবে বলে।

তবুওতো মনের ভিতর প্রিয় মানুষ গুলোর জন্য একটু চিন্তা,একটু ভয় থেকেই যায়। সেই চিন্তা আর ভয়ের জন্য যুদ্ধের ময়দান থেকে বাড়িতে এলেন স্ত্রী সন্তানের খবর নেওয়ার জন্য। এসে দেখলেন ওনার স্ত্রী সতীত্ব বাঁচাতে গলায় দড়ি দিয়েছে তবুও নিজের ইজ্জত রাজাকারদের হাতে তুলে দেন নাই,বাচ্চাদের লাশ ঘরের মেঝেতে পরে আছে।

এক সাগর শোক,কষ্টকে বুকে চাপা দিয়ে তিনি আবারো যুদ্ধের ময়দানে ছুটলেন লক্ষ একটাই যেভাবেই হোক প্রাণের দেশ, বাংলাদেশ কে স্বাধীন করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে দুধর্ষ এক গেড়িলা বাহিনি গঠন করেছিলেন যারা বরিশাল,ঝালকাঠি,গোপালগঞ্জ,ফরিদপুর,মাদারিপুর, শরিয়তপুর আর বাগেরগাট এলাকায় দূর্দান্ত সাহসীকতার সাথে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি হায়েনা আর তাদের সহযোগী রাজাকারদের রক্তে এদেশের মাটিকে রক্ষা করেছেন।

একদিন সরাসরি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হায়েনার একটা বুলেন এসে লোকটার গালের একপাশ দিয়ে ঢুকে আরেকপাশ দিয়ে বের হয়ে গেল ফিনকি দিয়ে রক্ত পরছিলো,লোকটার মুখের আট-টা দাঁত সেই বুলেটের আঘাতে পড়ে গেল। তবুও লোকটা যুদ্ধ থামায় নি,অজ্ঞান হওয়ার আগ পর্যন্ত বুক উঁচু করে যুদ্ধ করে গেছে আর পাকিস্তানি হায়েনার দল পরাজিত হয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে।

লোকটা আর কেউ নোন লোকটা হচ্ছেন হেমায়েত বাহিনির প্রধান বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিন!

ওনাকে শুধু বাংলাদেশের নয় পুরো বিশ্বের মিলিটারির ইতিহাসের শ্রেষ্ট গেড়িলা প্রধান বললেও হয়তো কম হবে।

আজ গুগল ঘেটে লোকটার অজানা বিষয় গুলো জানতে পারলাম লোকটা ২০১৬ সালের ২২ ই অক্টোবর অনন্ত ঘুমে ঘুমিয়ে গেছেন। দোয়া করি আল্লাহ ওনাকে সহ এ দেশের জন্য যুদ্ধ করা,দেশের জন্য জীবন দেওয়া সকল জানা অজানা মানুষ গুলোকে আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন আমিন

~মুজাহিদ

$ 0.00
4 years ago

এই ভদ্রলোকটি একসময় বাংলাদেশের সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। #মিজানুর রহমান আজহারী সাহেব কে গ্রেফতার করার জন্য। সময়ের ব্যবধানে সে আজ নিজেই ধরা 😃😃 সব কিছুই উপর ওয়ালার কারিশমা #

$ 0.00
4 years ago

সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনলাম আম্মুর চিৎকার। আজ শুক্রবার বলে হয়তো বাবা একটু ঘুমিয়েছিল।মা বাজারে যাওয়ার জন্যে তাগাদা দিচ্ছে ।

আমাকে দেখা মাত্র মা বললো, এই রাজকুমার তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বাবার সঙ্গে বাজারে যান।

সকালে উঠেই মায়ের মুখে রাজকুমার ডাক শুনে মনটা ভরে গেল।

কি আর করব রাজকুমার ফিল নিয়ে আবার বিছানায় গেলাম।

ঘুম যে আমার অত্যাধিক প্রিয়।

অল্পতেই ঘুম চলে আসল।

কিছুক্ষণ পর মায়ের তীব্র হুঙ্কারে ঘুম ভাঙল। চোখ খোলার সাথে সাথে দেখলাম,মা একটা ঝাড়ু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

চোখ ডলতে ডলতে ওয়াশরুমে ঢুকলাম।

ওদিকে মা বকতেছে, তোর আর তোর বাবার গায়ে কি গন্ডারের চামড়া?

বলি একটা, করিস অন্য একটা।

যাইহোক ওয়াশরুম থেকে বের হতেই মা একটা বাজারের লিষ্ট হাতে ধরিয়ে দিল।

বাবা ও দেখলাম ধড়ফড় করে বেরিয়ে এসে বলল, চল মারুফ তাড়াতাড়ি যাই।

কি আর করব সকালে কিছু না খেয়েই বেরিয়ে পড়লাম বাবার সাথে।

বাজারে যাওয়ার পর বললাম: বাবা চলো বিরিয়ানি খেয়ে তারপর বাজার করা শুরু করি ।

বাবা বলল: তুই খেয়ে নে।

আমি তোর মাকে ছাড়া কি ভাবে খাব?

আমি বললাম: বাবা তুমি টেনশন করোনা।আমরা খেয়ে আম্মুর জন্য একটা পার্সেল নিব।

বাবা বললো, তুই কি পাগল হয়েছিস?

আমি বললাম: কেন বাবা?

বাবা বলল, তোর মা বলছে তাড়াতাড়ি বাজার করে নিয়ে যেতে এরমধ্যে যদি শোনে আমরা রেষ্টুরেন্টে বিরিয়ানি খেয়েছি তাহলে নির্ঘাত রাতের খাবার বন্ধ করে দিবে।

তুই এককাজ কর বাজারের লিষ্ট টা আমাকে দিয়ে তুই বিরিয়ানি খেয়ে আয়।

কি আর করব,বাবার কথামতো সেটাই করলাম।

বিরিয়ানি খেয়ে এসে দেখলাম বাবা দাঁড়িয়ে আছে।

আমাকে দেখেই বলল: দ্যাখ তোর মায়ের বকুনিতে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে পাঞ্জাবী উল্টো করে পড়েছি সেটা খেয়াল রাখছস?

বাবার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, সত্যেই তো পাঞ্জাবী উল্টো ।

বাবা বললো: ঝামেলা বাঁধছে অন্য জায়গায় ।

বাজার করার পর পাঞ্জাবীতে হাত দিয়ে দেখলাম পকেট নেই।

পকেট পাব কেমনে!পকেট তো উল্টো দিকে।

পকেট না দেখেই ম্যানিব্যাগটা রাখছিলাম মনে হয় বাসায় কোথাও পড়ছে।

তুই এক কাজ কর,বাসায় গিয়ে চুপচাপ ম্যানিব্যাগটা খুঁজে নিয়ে আসবি।

সাবধান!তোর মা যেন কোন ভাবেই টের না পায়।

আমি মসজিদে গিয়ে পাঞ্জাবী ঠিক করে পড়ে আসি।

বহু কষ্টে নিজের হাসি চেপে রেখে বাসায় গেলাম। বাসায় পা দিতেই মায়ের হুঙ্কার!

কিরে! তোর অপদার্থ বাবা ম্যানিব্যাগ উঠানে ফেলে গেছে তুই এটা নিতে আসছিস না?

আমি মনে মনে ভাবলাম, যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয় বাবা বলছিল মা যেন না জানে উল্টো মা জেনে বসে আছে।

আমি আমতা আমতা করে বললাম: হ্যাঁ মা, ম্যানিব্যাগটা নিতে আসছিলাম।

মা বলল তুই ও ঠিক তোর বাবার মতোই বোকা হয়েছিস ।

তোদেরকে নিয়ে আর পারছি না আমি!

শুন, আজকে আমার বান্ধবী তিন্নি আসবে।ওর প্রিয় খাবার পায়েস কিন্তু বাসায় তো চিনি নেই।

এবার গিয়ে চিনি নিয়ে আসতে বলিস তোর বাবাকে।

যাইহোক ম্যানিব্যাগ নিয়ে আবারো বাজারে আসলাম। বাবার সাথে বাজার নিয়ে চলে আসলাম বাসায়।

বিকেল বেলা ঘুমিয়েছিলাম, আম্মুর বকাবকিতে ঘুম ভাঙল।

রুম থেকে জানালা দিয়ে দেখলাম: বাবার সামনে এক বাটি পায়েস রাখা।

আম্মু বলছে বাবা যেমন অপদার্থ ছেলেটা ও।

বাটিতে যতোগুলি পায়েস রাখছি সব শেষ করে উঠবা। রাতে ও এই পায়েস খাবা। রাতে ভাত বন্ধ।

আমার মনে পড়লো, আসলে মা তো আমাকে চিনি নিতে বলছিল কিন্তু ভুলে বাবাকে লবনের কথা বলছি!

তাহলে মা ভুলে চিনির পরিবর্তে লবন দিয়ে পায়েস রান্না করছে? বাবাকে দেখলাম আম্মুর সামনে শুধু পানিই পান করছে।পায়েস আর মুখে নিচ্ছে না।

মা এক হাতে ঝাড়ু নিয়ে বলল: দেখি তোমার গুণধর ছেলের কি অবস্থা

তোমার ছেলেকে আমি পায়েস লাঠি দিয়ে মুখের মধ্যে গুঁজে দিব।

আম্মুর কথা শুনে কোন রকমে পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে আসলাম।

বাবার কথা চিন্তা করে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে আমার।

পায়েস রম্যগল্প

ইয়াছির আরাফাত

27-9-2020

$ 0.00
4 years ago

😀৩০০ লোক নিয়ে বিয়ে করতে যান বাচ্চা হওয়ার সময় এক ব্যাগ রক্ত যোগাড় করতে পারেন না😕 কাদের খাওয়ান"?

$ 0.00
4 years ago

ডাক্তার বন্ধুর ফার্মেসিতে কয়েকদিন হলো বসে থাকি। ওর ঔষধ বিক্রি করা দেখি। অত্র এলাকায় বন্ধু আমার নামকরা ডাক্তার। অনেক সুন্দরী মেয়েও আসে। বন্ধু ফার্মেসিতে ছিলনা, এক মুরুব্বি বলল.... --বাবা আমায় ঔষধ দাও। -চাচা আমিতো ডাক্তার না, আমি ডাক্তারের বন্ধু। --তো কি হইছে তুমি ঔষধ দাও। -আমিতো ঔষধ চিনিনা। চাচার মনে হয় তাড়া ছিল বেশ! রেগে গিয়ে বলল.... -তো কি চেনো? আমি মুচকি হেসে বললাম.... --আপনার হয়েছে কি? -আর বইলনা ক'দিন থেকে ঠিকমতো টয়লেট হচ্ছেনা। --মানে? -আরে অনেক কষা! আমার ছেলে বিচি কলা নিয়ে এসেছিলো। সেগুলো খেয়েই এই অবস্থা! চাচার কথা শুনে নিজের ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো। চাচা আবার বলল.... --আগে ঔষধ দাওতো। আমি এক পাতা নাপা, আর এক পাতা মায়াবড়ি দিয়ে দিলাম। চাচা তাই নিয়ে খুশিতে চলে গেলো। নিজের মধ্যে অলরেডি ডাক্তার ডাক্তার ভাব আসছে। আস্তে আস্তে রোগিও আসছে। এক বৃদ্ধ আসলো উনার মাথা ব্যাথা, উনাকে প্যারাসিটামল দিলাম। এক মহিলা আসলো উনার উঠতে বসতে কোমড়ে ব্যাথা। উনাকে নাপা দিলাম। একজন আসলো গলা ব্যথা নিয়ে উনাকেও নাপা দিলাম। এভাবে পাতলা পায়খানা, সর্দিকাশি, হাঁটু ব্যথা, মাথা ঝিম ধরে প্রত্যেককে নাপা দিলাম। এক মেয়ে আসলো গোপন সমস্যা নিয়ে। কানে কানে বলল। আমি ওকে রুচির সিরাপ দিলাম। মেয়েটা হতবাক, ওকে অবাক করে দিয়ে দুটো নাপা দিয়ে বললাম.... -এখনি টুপ করে খেয়ে ফেলো সমস্যা ক্লিয়ার। মেয়েটা ঔষধ খেয়ে চলে গেলো। আরেক মেয়ে আসলো, ওর নাকি বুক ধরফর করে। আমি বুকে কান পেতে শুনলাম শব্দ কেমন! তারপর তাকেও নাপা দিলাম। এক ছেলে আসলো, তার পা কেটে গেছে। নাপা ট্যাবলেট গুড়া করে কাঁটা অংশে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলাম। তারপর তিনবেলার জন্য দুটো মায়াবড়ি আর একটা করে নাপা দিলাম। ছেলেটা খুশি হয়ে চলে গেলো। ভাবছি এরপর যে কেউ আসুক সবাইকেই নাপা দিব। টিউমারের রোগিকেও নাপা, ক্যান্সার হলেও নাপা৷ পাইলস হলেও নাপা৷ দাঁত ব্যথা তবুও নাপা। করোনার হলেও নাপা! মোটকথা নাপার উপর কোন ঔষধ নাই। জাতীয় ফল যেমন কাঁঠাল, জাতীয় ঔষধ তেমন নাপা। . . #নাপা_সমাচার (অনুগল্প, রম্য) . . শুকনো পাতা ® . . লেখাঃ Md Rubel Hasan

$ 0.00
4 years ago