চট্টগ্রামের হালিশহর উপকূলে নির্মিত হচ্ছে একশত বছরের বন্দর 'চট্টগ্রাম বে টার্মিনাল'

9 31
Avatar for NusratJahan
4 years ago

বাংলাদেশের আগামী একশ’ত বছরের বন্দর হিসেবে গড়ে উঠবে চট্টগ্রাম বে টার্মিনাল,হালিশহর উপকূলের ৯৩৯ একর ভূমি এবং জেগে উঠা চরে তৈরি হওয়া একটি চ্যানেলকে কেন্দ্র করে আগামী একশ’ বছরের দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সেটা সিঙ্গাপুর নাকি সৌদি আরব তৈরী করছে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। ৮ টি দেশের ৯টি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকা থেকে সিঙ্গাপুর এবং সৌদি আরবের দুইটি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই দুইটি কোম্পানিকে বে টার্মিনাল নির্মানের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে পছন্দ করে তাদের প্রস্তাব বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর পিপিপি-পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ভিত্তিতে বে টার্মিনাল নির্মাণ করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও প্রদান করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, হালিশহর উপকূলে আগামী একশ’ বছরের বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বে টার্মিনাল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই টার্মিনালটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি ভিত্তিতে করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশের আলোকে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিশ্বের আগ্রহী বন্দরগুলোর কাছে বে টার্মিনাল নির্মাণের ব্যাপারে প্রস্তাব চায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দর রয়েছে এমন নয়টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে।

চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, দুবাই এবং সিঙ্গাপুরসহ ৮ দেশের কোম্পানি তাদের নিজেদের প্রস্তাবনা দাখিল করে। এরমধ্যে
★বিশ্বের বারোটির অধিক দেশে টার্মিনাল অপারেট করা খ্যাতনামা সংস্থা সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি (পিএসএ),
★আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে বন্দর নির্মাণ করে টার্মিনাল হ্যান্ডলিংকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড (ডিপি ওয়ার্ল্ড),
★আফ্রিকা অঞ্চলের কয়েকটি দেশে বন্দর তৈরি ও পরিচালনাকারী সৌদি রাজপরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রেড সী গেটওয়ে টার্মিনাল,
★চীনের অত্যন্ত ব্যস্ততম শহর সাংহাইসহ পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় কন্টেনার হ্যান্ডলিংকারী সাংহাই পোর্ট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মার্চেন্টস স্পোর্ট হোল্ডিং কোম্পানি লিমিটেড এবং
★দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই গ্রুপ বে টার্মিনাল নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

উক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি কোনো ধরনের নির্মাণ কাজ করতে আগ্রহী নয়। তারা বন্দর পরিচালনা করতে প্রস্তাব করেছে। তারা নিজেরা কোন বিনিয়োগ করবে না। তবে নির্মাণ ব্যয়ের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করে দেবে বলেও প্রস্তাবনায় উল্লেখ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড প্রস্তাব করেছে যে, তারা বন্দর নির্মাণ করবে। তবে ব্রেক ওয়াটারের অংশ তারা করবে না। এটি চট্টগ্রাম বন্দরকে করে দিতে হবে। এভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে কেউ ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ করতে আগ্রহী নয়। শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই গ্রুপের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, তারা ব্রেক ওয়াটারও করবে। পোর্টও করবে। ভূমিও তারা রিক্লেইম করবে। তারা ঋণের ব্যবস্থা করারও প্রস্তাব দিয়েছে। হুন্দাই গ্রুপ এক সাথে ত্রিশ বছরের চুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে। তারা সবকিছু করে বে টার্মিনাল নির্মাণ করবে। ত্রিশ বছর পর তারা চলে যাবে। এরমধ্যে কিভাবে বন্দরটি পরিচালিত হবে, এতে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং হুন্দাইয়ের শেয়ার কীভাবে নির্ধারিত হবে তা আলোচনা করে ঠিক করারও প্রস্তাব দিয়েছে তারা। অপরদিকে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এক শতাংশেরও কমে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরকেই বে টার্মিনাল নির্মাণ এবং পরিচালনা করতে হবে।

নয়টি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, অর্থনৈতিক অবস্থা, কাজের অভিজ্ঞতাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে দুইটির শর্টলিস্ট করা হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ৬৮ একর ভূমি ইতোমধ্যে বুঝে নিয়ে ইয়ার্ড এবং ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। সাগর থেকে মাটি তুলে ভরাট করা হচ্ছে ৬৮ একর ভূমি। একই সাথে ওই ভূমির পেছনে সাগর থেকে আরো অন্তত ৫শ’ একর ভূমি উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে সাগর ভরাট করে মোট ১৬শ’ একর ভূমি উদ্ধার করা হবে। সিঙ্গাপুরের আদলে সাগর ভরাট করে উদ্ধার করা ভূমিতেই নির্মিত হবে বে টার্মিনালের অবকাঠামো। এটিই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রিক্লেইমের ঘটনা বলেও মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই ভরাট প্রক্রিয়ায় শত শত কোটি টাকার ভূমি রিক্লেইম হবে। বে টার্মিনালের এলাকা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে আড়াই হাজার একরে।

উক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি কোনো ধরনের নির্মাণ কাজ করতে আগ্রহী নয়। তারা বন্দর পরিচালনা করতে প্রস্তাব করেছে। তারা নিজেরা কোন বিনিয়োগ করবে না। তবে নির্মাণ ব্যয়ের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করে দেবে বলেও প্রস্তাবনায় উল্লেখ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড প্রস্তাব করেছে যে, তারা বন্দর নির্মাণ করবে। তবে ব্রেক ওয়াটারের অংশ তারা করবে না। এটি চট্টগ্রাম বন্দরকে করে দিতে হবে। এভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে কেউ ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ করতে আগ্রহী নয়। শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই গ্রুপের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, তারা ব্রেক ওয়াটারও করবে। পোর্টও করবে। ভূমিও তারা রিক্লেইম করবে। তারা ঋণের ব্যবস্থা করারও প্রস্তাব দিয়েছে। হুন্দাই গ্রুপ এক সাথে ত্রিশ বছরের চুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে। তারা সবকিছু করে বে টার্মিনাল নির্মাণ করবে। ত্রিশ বছর পর তারা চলে যাবে। এরমধ্যে কিভাবে বন্দরটি পরিচালিত হবে, এতে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং হুন্দাইয়ের শেয়ার কীভাবে নির্ধারিত হবে তা আলোচনা করে ঠিক করারও প্রস্তাব দিয়েছে তারা। অপরদিকে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এক শতাংশেরও কমে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরকেই বে টার্মিনাল নির্মাণ এবং পরিচালনা করতে হবে।

নয়টি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, অর্থনৈতিক অবস্থা, কাজের অভিজ্ঞতাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে দুইটির শর্টলিস্ট করা হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ৬৮ একর ভূমি ইতোমধ্যে বুঝে নিয়ে ইয়ার্ড এবং ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। সাগর থেকে মাটি তুলে ভরাট করা হচ্ছে ৬৮ একর ভূমি। একই সাথে ওই ভূমির পেছনে সাগর থেকে আরো অন্তত ৫শ’ একর ভূমি উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে সাগর ভরাট করে মোট ১৬শ’ একর ভূমি উদ্ধার করা হবে। সিঙ্গাপুরের আদলে সাগর ভরাট করে উদ্ধার করা ভূমিতেই নির্মিত হবে বে টার্মিনালের অবকাঠামো। এটিই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রিক্লেইমের ঘটনা বলেও মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই ভরাট প্রক্রিয়ায় শত শত কোটি টাকার ভূমি রিক্লেইম হবে। বে টার্মিনালের এলাকা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে আড়াই হাজার একরে।

বিদ্যমান চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চলে সাড়ে চারশ’ একর ভূমিতে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে পাঁচগুণেরও বেশি বিস্তৃত এলাকায় বে টার্মিনালের কার্যক্রম চলবে বলে উল্লেখ করে সূত্র বলেছে, বিদ্যমান বন্দরের চেয়ে বহু বড়ই কেবল নয়, একই সাথে অনেক বড় বড় জাহাজও বে টার্মিনালে অনায়াসে নোঙর ফেলবে। তবে সবকিছুর আগে এই বন্দরটি সিঙ্গাপুর নাকি সৌদি আরব করবে সেই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটির সবকিছুই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।

4
$ 0.02
$ 0.02 from @TheRandomRewarder
Sponsors of NusratJahan
empty
empty
empty
Avatar for NusratJahan
4 years ago

Comments

অসাধারণ আর্টিকেল

$ 0.00
4 years ago

ধন্যবাদ💗

$ 0.00
4 years ago

very informative article dear.😍😍

$ 0.00
4 years ago

Thanks for your feedback 😊

$ 0.00
4 years ago

Thanks for information dear

$ 0.00
4 years ago

You're most welcome

$ 0.00
4 years ago