আসসালামুওলাইকুম। সকলকে আমার পক্ষ থেকে মোবারকবাদ । আমাদের চারদিকে আজ কেন যেন আজ একটা শূণ্যতার প্রহর চলছে । নিস্তব্ধ, একাকিত্ব,বিরক্তি ব্যাপারগুলা যেন আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। আমরা এখন আর আগের মতো কেউই অন্যের সাথে কুশল বিনিময় করি না,ছোট্ট সোনামণিদের এখন আর কেউ গালে ধরে আদর পর্যন্ত করে না। কেন এই এই অবস্থা তা আমাদের সকলেরই জানা আছে। করোনা ভাইরাস। এ যেনো এক আতঙ্কের নাম।
এ বছরের প্রথমাংশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লকডাউন চালু হয়েছে। মানুষের দূরত্ব বেড়েছে,দূরত্ব বাড়াতে বাধ্য করা হয়েছে। আপ্রান চেষ্টা চলছে এখন অবধি... মুক্তি, প্রতিরোধ, প্রতিকারের। সব মিলিয়ে আমরা যেন এক অন্য পৃথিবীতে চলে আসছি। আমি এতক্ষণ যা বক বক করছি তা হয়তো সকলেরই জানা আছে। তারপরও বলছি -এটা আমার কোনো আদ্ধাতিকতা নয়, বলতে পারেন বাচালতা।
প্রতিদিন আমরা শুনতে পাই সারা পৃথিবীতে কত জনের পরবাস হয়েছে। তারপরও আমাদের এখন কেনো যেনো আর ভয় হয় না। এটা আমাদের কাছে কেবল মাত্র একটা সংখ্যা। কিন্তু ব্যাপারটাকে যদি একটু অন্যভাবে দেখি তাহলে কেমন দেখুন। আল্লাহ না করুন যদি আমি বা আপনি যদি আজ এই মহামারিতে হেরে যাই তাহলে আমার আপনার পরিপার্শ্বের মানুষগুলার কি হবে বা তাদের কেমন অনুভূতি হবে??পৃথিবীর ১০০০ মানুষ মারা গেলে সেটি আপনার স্বজনদের কাছে একটি সংখ্যা হতে পারে, কিন্তু সেটি যদি আপনি হন তাহলে সেটি কি শুধুমাত্র একটি সংখ্যা হবে??না কখনোই না সেটি হবে তাদের জন্য সারা জীবনের কান্নার কারন। এখন আপনি বলতে পারেন মানুষের জীবনে কখন কি ঘটবে তা আগে থেকে লেখা রয়েছে। এই কথাটি আমিও বিশ্বাস করি। কিন্তু কথাটি যদি একটু অন্যভাবে বলি তাহলে কেমন হয় বলেন তো -আল্লাহতালা যা লিখে রেখেছেন আমরা তাই করি না বরং আমরা দুনিয়ায় এসে কি করবো সর্বশক্তিমান তা জানতেন এবং তিনি তা লিখে রেখেছেন। তাহলে এবার দেখেন আপনি যদি আজ রাস্তায় মাস্ক পরে হাটেন তা হলে আল্লাহতালা এটাই লিখে রেখেছিলেন আবার উল্টাটাও ঠিক।
সুতরাং আমাদের উচিত ভাগ্যের উপর দায় না চাপিয়ে নিজেদের একটু সতর্কতা অবলম্বন করা। এতদিন পরেও আমাদের যাদেরকে আল্লাহতালা সুস্থ রেখেছেন তারা সুকরিয়া জ্ঞাপন করি আলহামদুলিল্লাহ।