একজন ছাত্রের সার্বিক উন্নতি নির্ভর করে নিয়মিত মানসিক চর্চার উপর।সাহিত্যচর্চা তাদের অন্যতম।স্কুল ম্যাগাজিন বা বিদ্যালয় সাময়িকী এক্ষেত্রে একটি ভালো সুযোগ।ম্যাগাজিন এক প্রকার বার্ষিক পত্রিকা যা মূলত ছাত্রদের নিজেদের প্রচেষ্টায় প্রকাশিত হয়। যে ম্যাগাজিন বিদ্যালয়ের ছাত্রদের দ্বারা লিখিত সম্পাদিত ও প্রকাশিত হয় তাকে স্কুল ম্যাগাজিন বলে।
দেয়াল পত্রিকা যা হস্তাক্ষরে লিখিত সেগুলো সপ্তাহে বা মাসে প্রকাশিত হয়।প্রধান শিক্ষককে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। লেখাগুলো ছাপাতে প্রবন্ধ নির্বাচনে এবং সংশোধনের জন্য শিক্ষকদের সাহায্য করেন। সম্পাদক ছাত্রদের কাছ থেকে প্রবন্ধ কবিতা ও গল্প ইত্যাদি আহবান করেন। তাদের মধ্যে উত্তম গুলোকে নির্বাচিত করা হয়। সংশোধনের পরে সেগুলো ছাপানো হয়।
ম্যাগাজিন ফান্ড উৎসাহিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে এর খরচ বহন করা হয়।বেশিরভাগ বিদ্যালয় হাতে লেখা ম্যাগাজিন দেয়ালে ঝুলানো হয়।তারা অভাবে ছাপাতে পারে না। ছাত্ররা লেখার কাজ করে। যে ছাত্রের হাতের লেখা সুন্দর তাকে ওই লেখাগুলো লেখার জন্য নির্বাচন করা হয়।বিদ্যালয় ম্যাগাজিন বিদ্যালয়গত বিষয় নিয়ে চর্চা করে।
এটা বিদ্যালয়ের একটি উজ্জ্বল চিত্র প্রদর্শন করে। এটা চিন্তা শক্তি বাড়ায়। এটা তরুণ ছাত্রদের চিন্তার প্রতীক যার মাধ্যমে তারা তাদের সবুজ বা কচিমনের চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করে। এটা প্রকৃতপক্ষে একটি ফোরাম তরুণ শিক্ষার্থী ও লেখকদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে। ছাপা ও প্রকাশনা শিল্প শেখার ক্ষেত্রে এটা ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেয়। এটা তাদের কবি লেখক বা শিল্পী হবার ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে।ছাত্রদের জীবন গঠনে স্কুল ম্যাগাজিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রত্যেকটি বিদ্যালয় স্কুল ম্যাগাজিন প্রকাশে উৎসাহিত হওয়া।
আপনারা টিকিট টা পড়ে খুব ভালো লেগেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় সামনে এনেছেন। যদিও এখন প্রতিটা স্কুলে একটি করে কম্পিউটার বা একটি করে প্রিন্টার আছে কিন্তু সেগুলো কাজ করে কিনা সন্দেহ আছে তাই আপনার কথাটা ঠিক আছে । ধন্যবাদ খুবই ভালো একটা বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।