৩
............
শুভ্র দোলনায় বসে আছে। আর আমি ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি।
এ বিকেল বেলাটা কিরকম যেন বড্ড বেশি শান্ত লাগছে।
নিস্তব্ধতা ভেঙে আমি শুভ্রকে বললাম,
-- আচ্ছা, তুমি আমাকে কখনো ভুল বুঝবে না তো?
শুভ্র কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বললো,
:--ভুল বুঝার মতো কাজ যদি করো, তাহলে ভুল বুঝতেও পারি।
শুভ্রর এরকম স্পষ্টবাদীতা আমার ভাললাগে না। প্রেয়সীকে খুশি করতে কিছু নির্দোষ মিথ্যা তো বলাই যায়, এতে কি এমন ক্ষতি।
অভিমান হলো খুব। ওকে রাগানোর জন্য দুষ্টামী করে বললাম,
--তোমার থেকে শামীম ভাই খুব ভালো ছিল।
কথাটা বলে নিজেই চমকে উঠলাম।
আমারই এক বান্ধবীর বড় ভাই উনি। কিশোরী বয়সে বেশ কয়েকবারই আমাকে রঙিন খামে মুড়ে চিঠি দিয়েছিল। তখন চিঠির প্রচলন তো উঠেই গিয়েছিল। তবুও যে কেউ চিঠি লিখে এটা আমার ধারনার বাইরে ছিল। সেসব প্রেমময় চিঠির কোনোটারই জবাব দেই নি আমি। শুধু একবার সামনাসামনি উনাকে বলেছিলাম, "শামীম ভাই, আপনি আর এসব চিঠি কখনো দিবেননা"। উনি সত্যিই এরপর আর চিঠি দেন নি। এতদিন পর হঠাৎ উনার নামটাই কেন মুখে আসলো?!
:---এই যে ম্যাম, কোথায় হারালেন? (মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল শুভ্র)
সম্ভিত ফিরে পেয়ে শুভ্রর দিকে তাকালাম। ওর চোখমুখ দেখে মনে হচ্ছে ও খুব করে চাইছে যে আমি আমার কথাটা ফিরিয়ে নেই।
আমি কিছুটা লজ্জা পেলাম নিজের নির্বুদ্ধিতায়। শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
--তুমিই বেস্ট। আমি সরি, তোমাকে রাগানোর জন্যই ওটা বলেছিলাম।
শুভ্র মুচকি হেসে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।
ও মামা