আপনিও হতে পারেন এমন!
আমি একজন সহপাঠীর পাশে বসা ছিলাম। সে তার বেতনের টাকাটা ভাগ-বাটোয়ারা করছিলো এভাবে:
ব্যাক্তিগত ব্যয়..৩০০০/=
বিদ্যুৎ বিল- ৪৫০/=
বাবার জন্য- ৫০০/=
মায়ের জন্য- ৫০০/=
..........
.
তার কাছে জানতে চাইলাম, 'তুমি না বললে, বেশ ক'বছর আগে তোমার মা-বাবা মারা গেছেন?'
.
সে মুচকি হেসে বললো, 'দুনিয়ার বুকে তারা নেই ঠিকই, তবে তারা আমার বুকে আজীবনই থাকবেন। আমাকে তো তাদের এখন আরও বেশি প্রয়োজন। তারা মারা গেছেন বলে কি আমি তাদের জন্য দান-সাদাকাহ্ করবো না? আরে ভাই, মারা যাওয়ার মাধ্যমে তো মাতা-পিতার হক বিলুপ্ত হয়ে যায় না।'
.
[একটি আরবি পেইজ থেকে অনু্বাদ করেছেন মাওলানা Abdullah Al Masud, ঈষৎ পরিমার্জন করা হয়েছে।]
.
এর পাশাপাশি, আমাদের আরো কর্তব্য হলো: মৃত বাবা-মায়ের জন্য খুব বেশি পরিমাণে দু‘আ করা। অনেক সময় টাকার সংকট থাকতে পারে, ফলে সাদাকাহ্ (দান) খুব একটা করা সম্ভব না-ও হতে পারে, কিন্তু দু‘আ তো আমরা করতে পারি।
.
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘জান্নাতে কোনো কোনো ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। তখন সে বলবে, ‘কীভাবে আমার মর্যাদা বৃদ্ধি পেলো?’ তখন তাকে বলা হবে, ‘তোমার সন্তান তোমার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছে, তাই।’ ’’
[ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ২/১২০৭; হাইসামি, মাজমাউয যাওয়াইদ: ১০/২১০ ]
.
বাবা-মায়ের ঋণ শোধ করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। তবে, তাঁদের জন্য সাধ্যের মধ্যে কিছু করার চেষ্টা তো করতে হবে।
.
এক সময় টাকা পয়সা ছিলনা! বাপ মা বেঁচে ছিলেন, আজ টাকা পয়সা হয়েছে, খরচ করার সামর্থ্য হয়েছে, ইচ্ছে করলেই ফল-মূল কিনতে পারি কিন্তু বাপ মা অন্ধকার কবরে! এই সিজনে তাদের পক্ষ থেকে আসুন কিছু ফল-মূল অভাবী দুস্থ এতিমদের মাঝে সাদাকা করি। বাবা-মার বন্ধু বান্ধব, নিজেদের চাচা, ফুপু, খালা মামাদের খোঁজ খবর রাখাও মৃত পিতামাতার পক্ষে সন্তানের দায়িত্ব। কিছু হাদিয়া তারাও পেতে পারেন।
.
একদিন আমরাও থাকবোনা, আমাদের জন্য, আমাদের সন্তানের আগামীর কর্তব্য আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়ে যেতে হবে কিন্তু!