গল্পটা হচ্ছে টা ৯ম শ্রেণীর গণিত পরীক্ষার। পরীক্ষা সময় ৩ ঘন্টা।শর্ত হচ্ছে ৭ টি সৃজনশীলের উত্তর লিখতে হবে এবং ৩০ টি নৈব্যতিকের উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষা শুরু হবে ১০টায়। তাই সব শিক্ষার্থী পরীক্ষার হল- এ প্রবেশ করলো। সবার মধ্যে এ একটু ভয় কাজ করতেছে। কারণ পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হবে আবার কোন টিচার হলে পরবে এগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা সবার। ৯ঃ৪৫ বেজে গেল,স্কুলের সবচেয়ে হার্ট টিচার প্রবেশ করলো হল-এ। সবার মুখ ত কালো হয়ে গেল তখন। টিচার সবাইকে পরীক্ষার খাতা গুলো দিল এবং বলে দিল কেউ যদি কাউকে দেখাও তাহলে ৪০ মিনিট খাতা আটকে রাখব এবং কেউ কারো কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করো ৩০ মিনিট খাতা আটকে রাখব।এ কথা শুনে কলিজায় পানি নাই কারো। এখন টিচার সবাইকে প্রশ্ন দিলেন। প্রশ্ন দেখে ত সবার মাথায় হাত। কারোই তেমন কিছু কমন পরে নাই। ক্লাসের ফাস্ট বয়ের ও পাশ মার্ক তুলতে খবর হয়ে যাবে এমন অবস্থা। যার যতটুকুই কমন পড়েছে লিখতে শুরু করলো সবাই। ক্লাশের প্রায় সবাই পরিসংখ্যানের অঙ্কটা লিখা শুরু করল। কারো টা মিলছে আবার কারো টা মিলছে না। পরীক্ষার সময় প্রায় ১ ঘন্টা চলে গেছে। প্রায় সবাই ১০-১৫ মার্কের মত উত্তর করতে পেরেছে। এখন যারা কিছুটা পারে চেষ্টা করছে আর যারা পারে না বসে আছে। দেখে লেখার ত সুযোগ ই নাই। যারা একটু দেখার চেষ্টা করছে খাতা নিয়ে আটকে রাখছে ৩০-৪০ মিনিট করে। এমনিতই প্রশ্ন হয়েছে কঠিন তার খাতা আটকে রাখেন। দেখতে দেখতে সৃজনশীল লেখার সময় শেষ হয়ে এলো। ২ঃ৩০ ঘন্টা সৃজনশীল লেখার সময় শেষ। হাতে গনা দু-চার জন পাশ করার মত পরীক্ষা দিয়েছে। এখন নৈব্যতিক শীট দিচ্ছে টিচার। সবাই শীট পূরন করল তারপর প্রশ্ন দেয়ার ঘন্টা পরে গেল। সবাইকে টিচার প্রশ্ন দিলো আর বলে দিল,"সৃজনশীলের সময় ত দেখেছোই কেমন গার্ট ছিল,সুতরাং এখনো কোনো ভাবে দেখার চেষ্টাও করো না।" নৈব্যতিক ও প্রচুর কঠিন হলো। এ যারা পারে কিছু প্রশ্নের সমাধান করে বৃত্ত ভরাট করার চেষ্টা করছে আর যারা একদমই পারে না উল্টা পালটা ভরাট করে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে আসছে।
আমাদের সবার জীবনেই পরীক্ষার হলে নানা রকম ঘটনা আছে। তাই সবার কমেন্ট প্রত্যাশা করছি।
8
29
In my exam holl i have so many memories when i remember that i fell very sad and lucky