ব্যবসায়ীদের কোনো ধর্ম নেই। তাদের ডিকশনারীতে মানবিক শন্দটি মুনাফা দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। তারা তাদের নীতি দিয়ে চলে। নীতির সংঙ্গা তাদের কাছে দুই রকম। নীতিবান অথবা নীতিহীন।
ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের দুই-তৃতীয়াংশের চেয়ে বেশি মানুষই নীতিহীন। এক তৃতীয়াংশের অর্ধেক মানুষ বাধ্যগত নীতিবান, আর বাকি অর্ধেক আদর্শিক নীতিবান। আদর্শিক নীতিবান মানুষ আর বাধ্যগত নীতিবান মানুষের মধ্যে বিস্তর ফারাক।
বাধ্যগত নীতিবান মানুষকে কিনে নীতিহীন মানুষে পরিণত করা যায়। তাদের কেনার আগে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে পারবে এমন একটি পরিস্থিতি ক্রয় করতে হয়। ঐ ক্রয়কৃত পরিস্থিতি তাদের বাধ্যগত নীতিবানের মুখোশ সহজেই উন্মোচন করে দিতে পারে।
ব্যবস্থায়ী শ্রেণির অন্তর্গত আমরা সকলেই। ছাত্ররাও ঐ শ্রেণির অন্তর্গত। আমাদের ডিকশনারীতে ব্যবসা শব্দটি 'নেটওয়ার্কিং' নামক ইংরেজী শব্দটি দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ব্যবসার মূল উপাদান হচ্ছে অর্থ আর ছাত্রদের ব্যবসার মূল উপাদান হচ্ছে 'হেল্প'। যার সহজ বাংলা করলে দাঁড়ায় সাহায্য। আমরা ছাত্ররা 'হেল্প' নামক উপাদানটি ব্যবহার করে আমাদের 'নেটওয়ার্কিং' নামক ব্যবসার প্রচার প্রসার ঘটাই। মুনাফা হিসেবে অর্জন করি 'ভাল মানুষের ট্যাগ'। এ অর্জনকৃত ট্যাগ আমাদের ব্যক্তিগত চিন্তাচেতনা, আকাঙ্ক্ষা এবং লালসাকে সূক্ষ্ম পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখে।
আমি একজন ভাল মানুষ ট্যাগপ্রাপ্ত, আত্মপ্রেমী এবং আত্মমগ্ন ব্যবসায়ী, যার মুখোশ উন্মোচনের জন্য একটি পরিস্থিতি ক্রয় করতে হবে।
nice article