রাগ শরীরের একটি অনুভূতির নাম মাত্র। রাগ হয়তো কোনো কারণে সবকিছুতেই করা যায়। কিন্তু অভিমান... সবার সঙ্গে করা যায় না। তবে অনেকেই বলেন রাগ করাটা অভিমানের চেয়ে ভালো। কারণ অভিমান বড়োই কঠিন অবস্থা দাঁড় করিয়ে দেয়।
কোনো এক বিজ্ঞ বলেছিলেন, যখন মায়া বাড়িয়ে লাভ হয় না, তখন মায়া কাটাতে শিখতে হয়।
যদিও অভিমানে ভালোবাসা থাকে, আর রাগে থাকে ঘৃণা ও প্রতিশোধের প্রবনতা। অভিমানে শাসন থাকে, আর রাগে জিঘাংষা থাকে। অভিমানে নিরবতা ও কষ্টানুভূতি থাকে আর রাগে গর্জন ও ভয়াবহতা থাকে। অভিমানে দুটি হৃদয় জড়িত থাকে, আর রাগে ততোধিক ব্যাক্তি জড়িত থাকে। অভিমানের সমাপ্তি হয় ভালোবাসার সুখানুভতি দিয়ে, আর রাগের সমাপ্তি ঘটে ধন, জন ও সম্মানের ক্ষতি দিয়ে।
ভালোবাসার দিক থেকে যদি বলা হয় তাহলে বলা যায়, রাগ অভিমান করার পাশাপাশি ক্ষমা করাও শিখতে হয়, তাহলেই ভালোবাসার সম্পর্কগুলো টিকে থাকে।
রাগ, অভিমান সবার উপর করা যায় না..আবার সবচেয়ে স্পেশাল মানুষ টার উপর সবচেয়ে বেশি আর ঘন ঘন রাগ করা যায়!...এই অভিমানীগুলোর অভিমান আছে বলেই সম্পর্ক গুলো এত অমায়িক
হয়...‘আমি রাগ করিনি’ বলেছে বলে সত্যি ই যে রাগ করে নি এমনটাও হয় না...‘আমি রাগ করিনি’ এর মাঝেও যে কতো অভিমান লুকিয়ে থাকে এটাও একসময় ধরতে পারে না...।
একটি সুন্দর সম্পর্কের মাঝে দূরত্ব বাড়তে এর চেয়ে উন্নত
কোনো ইস্যু লাগে কি?? না লাগে না, ভুলবেন না এই ইস্যু আপনার নিজের তৈরি করা..!!
মায়া একটা তীব্র মানসিক অনুভূতি। এটা দেহ-মনের উপর চাপ সৃষ্টি করে। কারো প্রতি একবার মায়া পরে গেলে তা কাটানো খুব দুষ্কর হয়ে পরে।
আপাত দৃষ্টিতে দেখতে সুন্দরী নয়, এমন একটা মেয়ের জন্যও একটা ছেলে জীবন বিসর্জন দেয় শুধু মায়ার কারণে। দু’জন প্রিয় মানুষের মধ্যে যে কোনো একজন সম্পর্ক ছেদ করলে তখন যার মায়া বেশি সে তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ক্ষত-বিক্ষত হয়।
কোনোভাবেই সে তার প্রিয় মানুষটিকে ভুলতে পারে না মায়ার কারণে। এই জন্য যাদের মায়া খুব বেশি তারা অনেক সময় মানসিক কষ্ট পায়। বলা হয়ে থাকে, যার মায়া বেশি তার কষ্ট বেশি।