আমিঃ আচ্ছা তোমার আম্মু এত কঠোর কেন?
স্টুডেন্টঃ কেমন কঠোর, স্যার?
আমিঃ এই যেমন তোমার সাথে কোনো গল্প করা যাবে না, উনি বাসায় না থাকলে পড়ানো যাবে না, ডাইনিং রুমে পড়াতে হবে, তোমার সাথে ফ্রি হওয়া যাবে না, পড়াশোনার বাইরে কোনো ব্যাপার নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করা যাবে না, পড়ানোর সময় উনি পাশে বসে থাকেন। আরো কত কি!
এসবের কারণ কি??
স্টুডেন্টঃ এসবের কারণ বলা যাবে না স্যার। অনেক কাহিনি। অনেক.…
আমিঃ আচ্ছা বলো কি কাহিনি?
স্টুডেন্টঃ আমার যে নানা আছে না, তিনি এক সময় আমার নানীর প্রাইভেট টিচার ছিলেন।
আমিঃ ভাল কথা।
স্টুডেন্টঃ কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো পড়ার টেবিলে তাদের মধ্যে ইটিস-পিটিস শুরু হয় এবং পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। আর নানা এতদিন আমেরিকায় ছিলেন।
আমিঃ বাহ! শুনেও ভাল লাগলো।
স্টুডেন্টঃ স্যার.... আর বলব?
আমিঃ হ্যাঁ অবশ্যই বলবা। আন্টি তো এখন টিভি দেখছেন, নির্ভয়ে বলো।
স্টুডেন্টঃ আমার আব্বুও (এই বলে চুপ হয়ে গেল)
আমিঃ তোমার আব্বুও কি??
স্টুডেন্টঃ আমার আব্বুও একসময় আম্মুর লজিং মাস্টার ছিলেন। মানে, আমার নানার বাসায় থাকতেন এবং আম্মুকে পড়াতেন। পড়ার টেবিলে তাদের মধ্যে ইটিস-পিটিস শুরু হয়। এবং আব্বু আম্মুকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। আব্বু বর্তমানে আমেরিকায় আছেন।
আমিঃ ওমা! বলো কি! মজার ব্যাপার তো!
স্টুডেন্টঃ স্যার? আর বলবো?
আমিঃ হুম, বলো বলো।
স্টুডেন্টঃ আমার দুলাভাইও আগে আপুর প্রাইভেট টিচার ছিলো। আপু তখন ক্লাস টেনে ছিল। ওদের মধ্যেও ইটিস-পিটিস শুরু হয়ে যায়, পরে ওরা পালিয়ে বিয়ে করে।
আমিঃ 🙄🙄🙄
স্টুডেন্টঃ আর, দুলাভাইও বর্তমানে আমেরিকায় আছে।
আমিঃ আজিব ব্যাপার!
স্টুডেন্টঃ এই জন্য আম্মু আমাকে নিয়ে টেনশনে আছেন। এই ভয়ে এত বছর আমার জন্য কোনো টিচার রাখেননি। এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে উচ্চতর গণিত আর পদার্থ বিজ্ঞানে ফেল মারবো। তাই আপনাকে এনেছে।
আমিঃ হুম, তুমি কোনো চিন্তা করো না।
স্টুডেন্টঃ স্যার?
আমিঃ হুম বলো।
স্টুডেন্টঃ আপনারও কি আমেরিকায় যাওয়ার চিন্তাভাবনা আছে?
আমিঃ হোয়াট???😡😡