দিনক্ষণ, সময় কিংবা বিশেষ কোনো কারণ লাগে না মন খারাপ হতে। হঠাৎই হতে পারে মন খারাপ। তবে মন খারাপ হলে শুধু মনের উপরই প্রভাব পড়ে না। তার প্রভাব পড়ে কাজ-কর্ম বা নিজের অনুভূতির ওপরও। আস্তে আস্তে এটি শরীরেরও ক্ষতি করে। তাই যতটা সম্ভব মন খারাপ না করে হাসি-খুশি থাকা উচিত। তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করলে মনটা সহজেই ভালো করা যায়।আনন্দ আর বেদনা মিলিয়েই তো জীবন। মন খারাপ থাকলে শরীরও খারাপ হবে। তাই মন খারাপ রেখে লাভ কী বলুন! হুটহাট করে মন যদি খারাপও হয়ে যায়, নিমিষেই তা ভালো করে ফেলুন। চলুন জেনে নেই মন ভালো করার কয়েকটি উপায়-
হঠাৎ কোনো কারণে মন খারাপ হলে গান শুনুন। গান মানুষের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আবার মিউজিকের তালে চাইলে একটু নাচতেও পারেন। পছন্দের কোনো গান শুনলে মুহূর্তেই আপনার মন ভালো হয়ে যেতে পারে। মনে পড়তে পারে সুখের কোনো স্মৃতি। গবেষণায় দেখা গেছে, গান মন ভাল রাখার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
. অ্যালবামে রাখা পুরোনো ছবিগুলো নেড়েচেড়ে দেখুন। এটি খুব তাড়াতাড়ি আপনার মন ভালো করে দেবে। পুরোনো ছবির পেছনের গল্প যখন আপনার মনে পড়বে তখন পালিয়ে যেতে পারে সব দুঃখ।
. এছাড়াও পছন্দের কোনো ছবি ফেসবুকে পোস্ট অথবা কম্পিউটারের স্ক্রিনসেভারে রাখতে পারেন। এতে মনে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে। ভালো মন নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।
. লিখতে পারেন ডায়েরিতে মজার কোনো স্মৃতি লিখতে পারেন। যদি নেইলপলিশ পছন্দ করেন নখটা একটু রাঙিয়েও নিতে পারেন। রান্নার যদি শখ থাকে তা হলে করে ফেলুন মজার কোনো রেসিপি।
দ্রুত মন ভালো করার ১০ উপায়
শাশ্বতী মাথিন১৫ মার্চ, ২০১৫, ১৯:১২আপডেট: ১৫ মার্চ, ২০১৫, ১৯:১২
Subscribe to Notifications
ভাবুন সব ঠিক হয়ে যাবে। ছবি : বিবিসি
ডায়েট বা ব্যায়াম স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য জরুরি। এর থেকেও জরুরি সুখী থাকা। তবে কোনো কারণে যদি মন খারাপ থাকে বা নিজেকে সুখী না মনে হয় তবে চিন্তিত হবেন না। ভাবুন সময়টি যদিও চাপের, তবে হঠাৎ মজার কিছু ঘটবে, ভালো কিছু হবেই আপনার জীবনে।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রিত হোন, পাশাপাশি কিছু বন্ধুকে দাওয়াত করুন। এরপর সবাই মিলে মজাদার কোনো খেলা খেলুন। ভালো বন্ধুদের সঙ্গ আপনার সময়গুলোকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
ঘরে যদি কিছু করার না থাকে, তবে মন ভালো করতে হাঁটতে বেরিয়ে যান। বাইরের তাজা হাওয়া আপনার মনকে সতেজ করবে।
ম্যাসেজ করবেন না, বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলুন। তাঁকে বলুন আপনার কষ্টের কথা। পরামর্শ চাইতে পারেন তাঁর কাছ থেক
নেতিবাচক ভাবনা থেকে বেরিয়ে যান। নতুন কিছু করুন। জিমে ভর্তি হোন বা রান্নার ক্লাসে ভর্তি হোন। আগামীকাল সকালে উঠে নতুন কী করবেন তাঁর পরিকল্পনা করুন।
এক বা দুই মিনিটের জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে বিছিন্ন হয়ে যান
দ্রুত মন ভালো করতে গেয়ে উঠতে পারেন পছন্দের কোনো গান। গ্যারান্টি দিচ্ছি, মন ভালো হয়ে যা
অন্যকে সাহায্য করুন। পরিবারের সদস্যদের কাজে সাহায্য করুন বা বন্ধুদের কাজে সাহায্য কর
বেশি মন খারাপ লাগলে রাঁধতেও শুরু করতে পারেন। অনেক সময় রান্না করাও আপনার মেজাজকে ভালো করে দিতে পারে।
Very nice