গল্পটা নারীর

2 17
Avatar for Naima
Written by
4 years ago

আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে ইদানিং বেশ মারপিট, ঝগড়ার আওয়াজ শোনা যায়। কোনো মতেও তখন পড়ায় আর মন বসে না। কেন যেন বুক কেঁপে উঠে মেয়েটার জন্য। এই বিল্ডিংয়ে থাকছি আঁট বছর যাবত। কোথাও এমন শব্দ পাইনি। সবাই আমাকে এক নামে চেনে আমি খুব শান্তশিষ্ট, ভদ্র এবং কম কথা বলা মেয়ে। হ্যাঁ আমি এইচএসসি পরিক্ষার্থী। আর কেউ বলতে পারবেনা আমি পড়ায় অমনোযোগী। আমার ফ্যামিলি যত শিক্ষিত আমার কাছেও তেমন আশা করে আমার বাবা-মা। আমার বাবাও আমরা তিন ভাইবোনের জ্ঞান হওয়ার পর থেকে একটা দিনও দেখিনি আম্মুর সাথে উঁচু গলায় কথা বলতে। সবসময় নম্রতা সহকারে কথা বলেছে। পরিস্থিতি বাজে হয়ে গেলেও দু'জন বেশ শান্ত ভাবে পরিস্থিতি ঠিক করে। কিন্তু পাশের ফ্ল্যাটে এভাবে চলতে থাকলে একদিন মনই উঠে যাবে এই বাসাতে থাকাটা আর পড়তে বসাটা।

আম্মু রাতের খাবার বানাতে ব্যস্ত সেই সাথে ভাবি ভিডিও কলে ভাইয়ের সাথে কথাও বলছে আর আম্মুকে সাহায্যও করছে। আমিও যোগ দিলাম। এমন সময় আমি কোনোদিন পড়া থেকে উঠে মায়ের পাশে আসিনা, তাই একটু অবাক হয়ে আম্মু বলে উঠে,

"মায়া, কি হয়েছে এমন সময় তো তোমাকে এখানে আসতে কোনোদিন দেখিনি।"

আমি গিয়ে আম্মুর চুলোর পাশে দাড়িয়ে আম্মুর থেকে খুন্তি নিয়ে মাংস নাড়াতে নাড়াতে বলে উঠি,

"আচ্ছা আম্মু ফিজিক্যাল হ্যারাসমেন্ট এর জন্য কত ধারার শাস্তি রয়েছে আইনে?"

"এই প্রশ্ন কেন জিজ্ঞেস করছো?"

পাশ থেকে ভাবি ভাইয়ার কল কেটে মায়ার করা প্রশ্নের উল্টা প্রশ্ন করে বসলো।

"বলো না গো"

ভাবি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে উঠে,

"আমাদের দেশে যত ধারা আছে নারীদের জন্য সব কটা আদালতে না পৌছাতেই স্থগিত করে দেয়। কি ভেবে প্রশ্ন করলে আমি জানিনা। কিন্তু এই দেশে তুমি যতই মার খাও যতই কিছু করা হোক না কেন তুমি উপযুক্ত বিচার আজীবন পাবে না"

মায়া মাংস নাড়ার তেজ বাড়িয়ে দেয় চোখে অসংখ্য পানি জমেছে তার।

"ভাবি তার মানে আমি স্বামীর ঘরে গেলাম, স্বামীর কথা মত উঠবস করতে হবে, স্বামীর যদি পারমিশন দেয় তাহলেই আমি পড়তে পারবো, স্বামী যদি আমায় বাহিরে যেতে দেয় তাহলেই আমি বাহিরে যেতে পারবো, স্বামী যদি ঘরবন্দী রাখতে চায় আমি ঘরবন্দী থাকবো, স্বামী যদি চায় সে পরকিয়া করবে আমাকে সেটাই মানতে হবে আর যদি এগুলোর একটা কিছু অমান্য করি তাহলে?"

মায়ার মা গলা ধরে যাওয়া নিয়ে বলে উঠে,

"মার খেতে হবে, গালি শুনতে হবে, খোঁটা শুনতে হবে.."

"পারলে আমায় মেরে ফেলবে তাও আমার কিছু করার নেই।"

মায়া তার মা আর ভাবির কথা শুনে চুলো বন্ধ করে তেজ নিয়ে বলে উঠে,

"তাহলে তুমি আম্মু এই যে তুমি মাস্টার্স করেছো, এই যে ভাবি তুমি এখন সরকারী চাকরি করো এটার মানে টা কি? তোমরা দু'জন তো গ্রামের অশিক্ষিত মেয়ে না যে চুপ থেকে সহ্য করবে? তোমরা তো ক খ গ ঘ জানো তাইনা কোথায় কি আছে সব জানো, কোথায় কোন কথা বললে পরিবেশ শান্ত থাকবে সব জানো তাহলে কেন পুরুষ আমাদের মত চলে না? কেন তাদের কথায় উঠবস করতে হয় আমাদের?"

"দেখ মায়া, তোর বাবা আর আমার ছেলে সেসব পুরুষদের মধ্যে পড়েই না যারা অত্যাচার করে স্ত্রীদের উপর। আমি তো গর্ব নিয়ে বলতে পারি আমার স্বামী আমার উপর কোনোদিন হাত উঠাইনি"

"কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তো জারী করেছে না আম্মু?"

"সেটা তো আমার ভালোর জন্য।"

"যেমন?"

ভাবি বলে উঠে,

"এইযে পরপুরুষের সামনে বিনা পর্দায় যেতে মানা করেছে কারণ সব পুরুষদের নজর পবিত্র হয়না। যাদের নজর পবিত্র থাকে তার সামনে নগ্ন মেয়েটিও সুরক্ষিত। তাই আমরা তো জানিনা কার মস্তিষ্কে কি চলছে, তাই আমাদের স্বামী মানা করে, বাহিরে বের হতে একা মানা করে কারণ আমাদের স্বামী ভয়ে থাকে ভীড়ে যদি কোনো জানোয়ার রূপি পুরুষ আমাদের গায়ে হাত দেয়, আমাদের বাজে কথা বলে তাই তারা আমাদের সাথে চলতে বলেছে যাতে তারা আমাদের ঢাল হয়ে থাকে। বাসায় থাকতে বলেছে সর্বদা কেননা ইসলামে একটি নারী সর্বদা বাসায় মানায়। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন একটি মেয়েকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য চীনে যেতে হলে সে চীনে যাবে, একটি মেয়ে যদি চাকরি করতে চায় সে করবে, একটি মেয়ে যদি ব্যবসা করতে চায় ব্যবসা করবে কারণ আমাদের হযরত মুহাম্মদ (সা) এর স্ত্রী হযরত খাদেজা (রা) একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন কিন্তু সব কিছু পর্দার ভিতরে করতে হবে কারণ পর্দা ফরজ। তার মানে এই নয় যে পুরুষরা আমাদের চালাবে আমরা নারীরা স্বাধীন কিন্তু পুরুষ ছাড়া আমরা অচল কেননা তারা যতটা আমাদের ক্ষতি করে ততটা আমাদের সুরক্ষা দেয়।

তারা টাকা ইনকাম করে যেন আমরা তার সংসার কে টিকিয়ে রাখতে পারি।"

"দেখ তোমার ভাবি সব ঠিক বলেছে।"

"কিন্তু হাদীসে তো এটাও লিখা আছে যেই স্বামী ভুল কাজ করে সেটাকে একজন স্ত্রী কোনোমতেও মানতে পারবেনা। পারলে স্বামীকে ভুল পথ থেকে আনবে যত কষ্ট হোক না কেন।"

"তার মানে আমি অন্য মেয়েকে বাঁচাতে পারবোনা তার স্বামী যদি তার সাথে অত্যাচার করে? এই দেশ একটা স্ত্রীকে অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে দিবেনা ভাবি?"

"অবশ্যই দিবে, কিন্তু আমাদের যে হক নেই।"

"হক কিভাবে আসলো মানবতা কি এতটা নিচে নেমে গেছে যে আমাদের অন্য থেকে পারমিশন নিতে হবে একটা মেয়েকে বাঁচাতে। এত পড়ালেখা করে লাভটা কি হলো আমরা অন্যায় কে না থামাতে পারি, এত পড়ালেখা করে কি হলো যে আমরা দেশটাকে অন্যায় থেকে না মুক্তি দিতে পারি। এত পড়ালেখা করে কি হবে যে আমাদের সবসময় পুতুল হয়ে থাকতে হবে শুধু মাত্র এটা ভেবে যে আমরা নারী আমরা পারিনা অন্যায়ের মুখোমুখি হয়ে কিছু বলতে, কেন আমরা পারিনা অন্যায় কে থামাতে? কেন আমরা পারিনা একটা সন্তানকে এসব না দেখতে হয়। অন্যদেশে মেয়েরা সেফলি হাটাহাটি করতে পারে কারণ তাদের গায়ে হাত ওঠালে সেটার শাস্তি মেয়ে অথবা ছেলে দু'জনেই পাবে কিন্তু বাংলাদেশ এমন কেন পাশের বাসায় মারপিট এই পর্যন্ত শোনা যায় কিন্তু আমরা শুনেও চুপ করে থাকি আর এটা ভাবতে থাকি সব দোষ একটি মেয়ের। মেয়েটির দোষ আছে বলেই তাকে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মার খেতে হবে, মেয়েটির দোষ আছে বলেই তাকে ডিভোর্স দেয়া হলো, মেয়েটর দোষ আছে বলেই তাকে রেপ করা হলো, মেয়েটির দোষ আছে বলে সে সাবালিকায় পরিণয় হওয়ার আগেই তাকে গ্যাং রেপ করা হলো, তাইনা ভাবি যতই পড়ালেখা করা হোক একটি মেয়ের দোষ আছে বলেই তাকে এসব সহ্য করতে হয়। আজ তোমাদের শান্তশিষ্ট মেয়ে কাল নতুন সংসারে গিয়ে অত্যাচারিত নিপিড়ীত হয়েছে আর পাড়া-প্রতিবেশি, আত্মীয়রা বলল মেয়েটির দোষ আছে বলেই অত্যাচারিত হচ্ছে আর তোমরা এটা মেনে নিবে? একটুও মুখ খুলবে না যার সাথে বিয়ে হয়েছে সেই ভালো না, নাকি মুখ বন্ধ করে সব সহ্য করবে কারণ তুমি তো নারী, তুমি তো স্ত্রী, তুমি তো বোন, তুমি তো মেয়ে তাইনা?"

মায়া মেঝেতে বসে কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠে।

মায়া নিজের মুখ মুছে উঠে দাড়িয়ে বলে উঠে,

"প্রতিবাদ, প্রতিবাদ করতে জানতে হয় একটা নারীকে নয়ত এই সমাজে তোমার, তুমি যে একটা নারী সেটার দাম থাকবেনা। আজ শীলা আপু তার নেশাখোর স্বামীর কাছে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মার খাচ্ছে, আর যখন সে চুপ না থেকে আওয়াজ তুলে কথা বলছে তার জন্য তাকে বেল্ট দিয়ে মারছে কেন শীলা ভাবি কি কম শিক্ষিত? আমি শান্তশিষ্ট, আমি কম কথা বলি এটা তো সম্পূর্ণ এলাকা জানে তার মানে এই নয় যে আমি কান চেপে রেখে চলা ফেরা করি, আমি কেন বিল্ডিং এর সবাই জানে শীলা আপু কেমন তাও সে যদি এভাবে থাকে তাহলে কাল কেন আজই একটা নারী পুরুষদের তুলনা কতটা কলঙ্কিত সেটা তো আরেক নারীই প্রমাণ করবে আম্মু-ভাবি। তোমরা যে কানের সাথে মুখেও প্রলেপ লাগিয়ে রেখেছো সেটা তো এতক্ষণে হারে হারে টের পেলাম, কেন আম্মু কেন ভাবি প্রতিবাদী হলেই কি ইসলাম থেকে বহিষ্কার হয়ে যাবো নাকি আমরা যে ইসলাম কে মানি আল্লাহ তায়ালাকে বিশ্বাস করি সেটা মিথ্যা হয়ে যাবে?

আজ আমরা তিনজন যদি একটি মেয়েকে পশুর হাত থেকে বাঁচাতে পারি আল্লাহ কি তার প্রতিদান আমাদের দিবে না, হাশরের ময়দানে মানবতার জন্য কোনো পুরষ্কার পাবো না? নাকি সোজা জাহান্নামে দিয়ে দিবে? একবারকি মস্তিষ্কে প্রশ্ন করা যায় না আমরা কার উম্মতের এবং নারী জাতির প্রথম কোন নারী ইসলাম গ্রহন করেছে আর সে কার বিবি? মাথায় কি একবার সেগুলো আসেনা নাকি এসেও এভাবেই চুপ থাকার ইচ্ছা?"

মায়া চুপ হয়ে যায় এখন তার মা আর ভাবির এর বদলে কি বলতে পারে সেটার শোনার জন্য আগ্রহী হয়ে আছে। কিন্তু দুমিনিট যাওয়ার পর যখন তারা কিছু বলল না তখন মায়া এবার সত্যিই হয়রান হয়ে গেছে। তাই সে ফ্রিজ থেকে পানি বের করে মুখে দিবে তখনি ভাবি আটকিয়ে বলে উঠে,

"চল, ঝাড়ু, লাঠি যা আছে সব নে আজ প্রতিবাদী না হলে তোর ভাইয়ের কাছে...

মা বলে উঠে,

" আর তোর বাপের কাছে.."

মা ভাবি একসাথে বলে উঠে,

"সম্মান থাকবেনা"

মায়া চোখ বন্ধ করে আরেক ফোঁটা পানি গড়াতে দেয় তারপর সেটাও মুছে ঘরে যত জিনিস আছে যেগুলো দিয়ে বেশ ভালো মার দেয়া যাবে সেগুলো নিয়ে দরজা খুলে শীলা আপুর বাসায় ধাক্কানো শুরু করে।

দশ সেকেন্ডও লাগেনি শীলা আপুকে মারা বন্ধ করতে। মায়া চোখ বুলিয়ে দেখে কয়েকজন দরজা খোলা রেখেছিলো তাদের মারের শব্দ লাইভ টেলিকাস্ট শোনার জন্য। তারাও উঁকিঝুঁকি দিলে মায়া ভাবিকে বলে ভাইয়াকে কল দিয়ে যেন র‍্যাব নিয়ে আসতে। বেশ ঝামেলা হবে ভাবি বুঝে তাড়াতাড়ি ভাইয়াকে ইনফর্ম করে দিলে সেও মাথায় হাত রেখে কি হবে সেটা বুঝতে আরম্ভ করে।

শীলার হাজবেন্ড দরজা খুলতে...

অতঃপর যা হয় তা না হয় না বললাম, কেননা আমার ইচ্ছা নেই এসব ব্যাখ্যা বলে বলার। আমার যা পৌছানোর সেটা আপনাদের কাছে পৌছে দিলেই ইনাফ।

বিঃদ্রঃ অপরাধ অপরাধ হয়, স্বামীর কথা মত চলো সেটা তো একজন স্ত্রীর কর্তব্য। কিন্তু স্বামী যদি বিনা কারণে আপনাকে অত্যাচারিত করে একটা মুসলিম নারীকে সেটা সহ্য করার কোনো হক নেই, একজন নারীর কোনো হক নেই অন্য নারীকে এভাবে অত্যাচারিত হতে দেখেও চুপ থাকার। প্রতিবাদী হওয়া কোনো গুনাহ না প্রতিবাদী হয়ে যদি একটা অত্যাচার কমিয়ে আনা যায় সেটা ভালো কাজ।

"সমাপ্ত"

2
$ 0.00
Avatar for Naima
Written by
4 years ago

Comments

খুব সুন্দর একটি গল্প আমরা পড়েছি। নারী মানে অসহায় পুরুষশাসিত সমাজে নারীর কোন মূল্য নেই। সে যে কোন স্তরে নিজের ঘর "স্বামীর ঘর"রাস্তায় চলাচল করে তখনো তাকে হেনাস্থ করে।অফিসে যেকোনো জায়গায় নারীকে দেখা হয় অন‍্য সৃষ্টি তে। যদি নারী সচেতন হতো সমাজ বদলে যেত এত সহজ নয় সবকিছু বুঝে নিজের দাবী রাখা। তুমি যেদান অন‍্যায়ের পথে লড়বে,সেদি কোনো সমাজআর অচ‍্যার করবে না। নিজের ক্ষমতা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।

$ 0.00
4 years ago

পরিবারের মেয়েরা শুধু শারীরিক না মানসিক ভাবে ও বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে। বিভিন্ন রকম চাপ তাদের উপর দিয়ে যাচ্ছে ।তার শ্বশুরবাড়ি হোক বা তার স্বামীর পক্ষ থেকে হোক, জানিনা এই সমস্যার সমাধান কবে হবে তবে এটুকু নিশ্চিত যে আমার অধিকারের জন্য যদি আমি নিজে লড়াই না করি তাহলে অন্য কেউ এসে আমার অধিকার আদায় করে দিতে পারবে না ।নিজেকে শক্ত হতে হবে, নিজের অধিকার নিজেকে বুঝে নিতে হবে তাহলেই সমাজের পরিবর্তন আনা সম্ভব তাহলেই আমার পাশে আমি কাউকে পাব। আর নয় তো নিজে যদি চুপ হয়ে থাকি, নিশ্চুপ হয়ে বসে যাই তাহলে কেউ এগিয়ে আসবে না আমাকে সাহায্য করার জন্য ।আমাকে সাহস দেওয়ার জন্য।আর ধর্ম কখনই নারীকে বলেনি যে চুপ হয়ে শুধু অত্যাচার সহ্য করো শুধু মার খেয়ে যাও শুধু গালি খেয়ে যাও যদি আমার একটু রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমি সমাজটাকে পরিবর্তন করতে পারি তাহলে এতে ক্ষতি কি ?আর সমাজের পরিবর্তন তখনই সম্ভব যখন আমি আমার নিজ পরিবারকে পরিবর্তন করতে পারব।আমার আপনজনের মানসিকতা পরিবর্তন ঘটাতে পারব।ধন্যবাদ তোমাকে সমাজের এত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক তুলে ধরার জন্য এবং নারীদেরকে তার অধিকার এবং সম্মান আদায়ের প্রতি সচেতনতা মূলক বার্তা প্রদানের জন্য।💖🌺

$ 0.00
4 years ago