বাংলাদেশের কয়েকটি বিখ্যাত জলপ্রপাত ও ঝরনা নিয়ে আজ কথা বলতে চাই।।
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত:
বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত জলপ্রপাত মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় অবস্থিত মাধবকুণ্ড জলপ্রপার। মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের উৎপত্তি বড়লেখা থানার পাথুরিয়া পাহাড় থেকে। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পানি ১৬২ ফুট ওপর থেকে নিচে পতিত হয়। এই মাপটি সরকার কতৃক স্বীকৃত।
ঝরনা :
বাংলাদেশে শীতল পানির ঝরনা আছে কক্সবাজারের হিমছড়ি পাহাড়ে। বাংলাদেশে উষ্ণ পানির ঝরনা আছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড়ে।
হাম হাম জলপ্রপাত :
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত বা ঝরণার নাম হলো হাম হাম। এর অন্য নাম স্থানীয়দের দেওয়া চিতা ঝরনা। এই ঝরনাটির উচ্চতার সঠিক মাপ পাওয়া যায়নি। ১৩৫ ফুট, ১৪৭ ফুট অথবা ১৬০ ফুট ইত্যাদি মতান্তর আছে এর উচ্চতা নিয়ে।
শৈলপ্রপাত :
শৈলপ্রপাত নামের এই জলপ্রপাতটির অবস্থান বান্দরবান জেলার মিলনছড়িতে।
শুভলং ঝরনা :
শুভলং ঝরনাটি রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত।
খৈয়াছড়া ঝরনা: খৈয়াছড়া ঝরনা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজার থেকে ৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। খৈয়াছড়া ঝরনাকে বাংলাদেশের 'ঝরনা পানি' বলা হয়।
নাফাকুম জলপ্রপাত :
বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় 'নাফাকুম জলপ্রপাত ' অবস্থিত। মারমা ভাষায় খুম মানে জলপ্রপাত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। জলপ্রপাতটি রেমাক্রি হয়ে সাংগু নদে মিলেছে। সেই মিলনস্থলে সৃষ্টি হয়েছে রেমাক্রি ফসল। বান্দরবান শহর থেকে প্রথমে থানচি, তারপর সেখান থেকে রিজার্ভ ট্রলারে করে রেমাক্রি বাজার। রেমাক্রি বাজার থেকে ৩ ঘন্টা হেঁটে গেলেই দেখা মিলবে 'নাফাকুম' জলপ্রপাতটির।
আজ এই পর্যন্তই। সময় পেলেই আবার কখনো চলে আসবো ভালো লেখা পড়তে এবং কিছু লেখার চেষ্টা করতে৷