ভারতবর্ষের মুসলিম নারীরা তখন পর্দাপ্রথা ভেঙে তখন বাইরে আসতে শুরু করেছেন।সময়ের আবর্তনে তারাই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন? সর্বত্রই তো তখন নারীশক্তির জয় জয়কার শুরু হয়েছে।ইতিমধ্যে অনেক মুসলিম পরিবারের মেয়েরা নারীশিক্ষায় নেতৃত্ব দানের লক্ষ্যে এগিয়ে আসছে৷ তিনি সেই তাদেরই প্রথম সারির একজন।
তাঁর নাম শায়েস্তা সোহরাওয়ার্দী।পারিবারিক নাম শায়েস্তা আখতার বানু সোহরাওয়ার্দী।কোলকাতার লরেটো কলেজ থেকে বিএ পাশ করা হাতে গোনা মুসলিম ছাত্রীদের মধ্যে অন্যতম।পারিবারিকভাবে শিক্ষিত,মার্জিত পরিবেশে বড় হওয়া এই নারীই পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মহিলা ডক্টরেট৷ তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্স থেকে উর্দু সাহিত্যের উপর
পি এইচ ডি লাভ করেন।তাঁর ডক্টরেট থিসিস ছিল,
"Development of the Urdu Novel and Short Story"
হাসান সোহরাওয়ার্দীর মেয়ে শায়েস্তা পারিবারিকভাবে নওয়াব আব্দুল লতিফের সাথেও সম্পর্কিত ছিলেন কারণ তাঁর মা ছিলেন নওয়াব আব্দুল লতিফের নাতনি।
১৯৩৩ সালে ভূপালের দেওয়ান খান বাহাদুর হাফিজ ওয়ালিয়াতুল্লাহ এর পুত্র হাফিজুল্লাহ কে বিয়ে করার পর তাঁর নাম হয় শায়েস্তা হাফিজুল্লাহ৷পরবর্তীতে তিনি এই নামেই সর্বত্র পরিচিত হন।হাফিজুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় সিভিল সার্ভিস এর ক্যাডার এবং জাতিসংঘের প্রিপারেটরি কমিশনের অ্যাডভাইজার৷এছাড়া তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হবার পর লন্ডনে নিযুক্ত প্রথম পাকিস্তানি হাইকমিশনার ছিলেন।
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।পরে তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম মহিলা ফেডারেশন এবং মুসলিম লীগের মহিলা উপ-কমিটির নেত্রী ছিলেন।
১৯৪৫ সালে তাঁকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্মেলনে সর্বভারতীয় প্রতিনিধিরুপে অংশ নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয় কিন্তু জিন্নাহ তাকে প্রস্তাবটি নিতে নিষেধ করেন কারণ জিন্নাহ চেয়েছিলেন সেই সময় তিনি মুসলিম লীগের প্রতিনিধি হয়ে তাঁর পক্ষে কথা বলুক।
তিনি ১৯৪৬ সালে ভারতীয় গণপরিষদে নির্বাচিত হন, কিন্তু তিনি আসনটি গ্রহণ করেননি।পরে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে তিনি প্রথম দু'জন মহিলা প্রতিনিধির একজন ছিলেন।
তিনি প্রথম উর্দু নারী ম্যাগাজিন তেহজিব-ই-নিশান এবং ইসমত এর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫১ সালে তাঁর লেখা "লেটার্স টু নীনা" বইটি প্রকাশিত হয় যা ছিল দশটি চিঠির একটি সংগ্রহ।এটি নীনা নামক এক মহিলার সকল ভারতীয়দের কাছে লেখা খোলা চিঠি।
তবে তাঁর লেখা বেস্টসেলার বইটি হল "From purdah to parliament" যা মিলিয়ন কপির উপর বিক্রি হয়েছে।
হুসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবনী এবং
"Common heritage of India and Pakistan" এর অন্যতম লেখিকাও ছিলেন তিনি।
তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত মরক্কোতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এছাড়া তিনিও তাঁর স্বামীর মতো জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানি প্রতিনিধি এবং গণহত্যা বিরোধী কনভেনশনের সদস্য ছিলেন।
মুসলিম নারী সমাজের এই পথিকৃৎ ২০০০ সালে করাচিতে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান।২০০২ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান নিশান ই ইমতিয়াজ দেয়া হয়।
"বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি "এই মহীয়সী নারীকে যিনি আরো হাজার হাজার মুসলিম নারীর অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।।
ShowPreparation Every August. Every August for twelve years. Every August for twelve years we went to the same small town on holiday. Every August for twelve years we went to the same beach. Every August for twelve years my parents rented the same small house in the same small town near the same beach, so every morning of every August for twelve years I woke up and walked down to the same beach and sat under the same umbrella or on the same towel in front of the same sea.
There was a small café on the beach where we sat every day, and every day Mr Morelli in the café said ‘Good morning!’ to my parents, and then always patted me on the head like a dog. Every day we walked down to our red and white umbrella. Every day my father sat on his deckchair and read the newspaper then went to sleep. Every day my mother went for a swim in the sea and then went to sleep. Every lunchtime we ate the same cheese sandwiches which my mother made, and then every afternoon we went