প্রথম মুসলিম মহিলা ডক্টরেটের কথা।

3 26
Avatar for Montasin11
3 years ago

ভারতবর্ষের মুসলিম নারীরা তখন পর্দাপ্রথা ভেঙে তখন বাইরে আসতে শুরু করেছেন।সময়ের আবর্তনে তারাই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন? সর্বত্রই তো তখন নারীশক্তির জয় জয়কার শুরু হয়েছে।ইতিমধ্যে অনেক মুসলিম পরিবারের মেয়েরা নারীশিক্ষায় নেতৃত্ব দানের লক্ষ্যে এগিয়ে আসছে৷ তিনি সেই তাদেরই প্রথম সারির একজন।

তাঁর নাম শায়েস্তা সোহরাওয়ার্দী।পারিবারিক নাম শায়েস্তা আখতার বানু সোহরাওয়ার্দী।কোলকাতার লরেটো কলেজ থেকে বিএ পাশ করা হাতে গোনা মুসলিম ছাত্রীদের মধ্যে অন্যতম।পারিবারিকভাবে শিক্ষিত,মার্জিত পরিবেশে বড় হওয়া এই নারীই পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মহিলা ডক্টরেট৷ তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্স থেকে উর্দু সাহিত্যের উপর

পি এইচ ডি লাভ করেন।তাঁর ডক্টরেট থিসিস ছিল,

"Development of the Urdu Novel and Short Story"

হাসান সোহরাওয়ার্দীর মেয়ে শায়েস্তা পারিবারিকভাবে নওয়াব আব্দুল লতিফের সাথেও সম্পর্কিত ছিলেন কারণ তাঁর মা ছিলেন নওয়াব আব্দুল লতিফের নাতনি।

১৯৩৩ সালে ভূপালের দেওয়ান খান বাহাদুর হাফিজ ওয়ালিয়াতুল্লাহ এর পুত্র হাফিজুল্লাহ কে বিয়ে করার পর তাঁর নাম হয় শায়েস্তা হাফিজুল্লাহ৷পরবর্তীতে তিনি এই নামেই সর্বত্র পরিচিত হন।হাফিজুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় সিভিল সার্ভিস এর ক্যাডার এবং জাতিসংঘের প্রিপারেটরি কমিশনের অ্যাডভাইজার৷এছাড়া তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হবার পর লন্ডনে নিযুক্ত প্রথম পাকিস্তানি হাইকমিশনার ছিলেন।

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।পরে তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম মহিলা ফেডারেশন এবং মুসলিম লীগের মহিলা উপ-কমিটির নেত্রী ছিলেন।

১৯৪৫ সালে তাঁকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্মেলনে সর্বভারতীয় প্রতিনিধিরুপে অংশ নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয় কিন্তু জিন্নাহ তাকে প্রস্তাবটি নিতে নিষেধ করেন কারণ জিন্নাহ চেয়েছিলেন সেই সময় তিনি মুসলিম লীগের প্রতিনিধি হয়ে তাঁর পক্ষে কথা বলুক।

তিনি ১৯৪৬ সালে ভারতীয় গণপরিষদে নির্বাচিত হন, কিন্তু তিনি আসনটি গ্রহণ করেননি।পরে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে তিনি প্রথম দু'জন মহিলা প্রতিনিধির একজন ছিলেন।

তিনি প্রথম উর্দু নারী ম্যাগাজিন তেহজিব-ই-নিশান এবং ইসমত এর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫১ সালে তাঁর লেখা "লেটার্স টু নীনা" বইটি প্রকাশিত হয় যা ছিল দশটি চিঠির একটি সংগ্রহ।এটি নীনা নামক এক মহিলার সকল ভারতীয়দের কাছে লেখা খোলা চিঠি।

তবে তাঁর লেখা বেস্টসেলার বইটি হল "From purdah to parliament" যা মিলিয়ন কপির উপর বিক্রি হয়েছে।

হুসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবনী এবং

"Common heritage of India and Pakistan" এর অন্যতম লেখিকাও ছিলেন তিনি।

তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত মরক্কোতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এছাড়া তিনিও তাঁর স্বামীর মতো জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানি প্রতিনিধি এবং গণহত্যা বিরোধী কনভেনশনের সদস্য ছিলেন।

মুসলিম নারী সমাজের এই পথিকৃৎ ২০০০ সালে করাচিতে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান।২০০২ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান নিশান ই ইমতিয়াজ দেয়া হয়।

"বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি "এই মহীয়সী নারীকে যিনি আরো হাজার হাজার মুসলিম নারীর অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।।

Sponsors of Montasin11
empty
empty
empty

1
$ 0.00
Sponsors of Montasin11
empty
empty
empty
Avatar for Montasin11
3 years ago

Comments

ShowPreparation Every August. Every August for twelve years. Every August for twelve years we went to the same small town on holiday. Every August for twelve years we went to the same beach. Every August for twelve years my parents rented the same small house in the same small town near the same beach, so every morning of every August for twelve years I woke up and walked down to the same beach and sat under the same umbrella or on the same towel in front of the same sea.

There was a small café on the beach where we sat every day, and every day Mr Morelli in the café said ‘Good morning!’ to my parents, and then always patted me on the head like a dog. Every day we walked down to our red and white umbrella. Every day my father sat on his deckchair and read the newspaper then went to sleep. Every day my mother went for a swim in the sea and then went to sleep. Every lunchtime we ate the same cheese sandwiches which my mother made, and then every afternoon we went

$ 0.00
3 years ago

ভেজা চিরকুট -- ৪১তম পর্ব। রিফাত হোসেন। ৭৬. অনুর ঘুম ভাঙল সকাল ৮টায়। কড়কড়ে ঠাণ্ডা। কম্বলটা শরীরের উপর থেকে সরিয়ে চাদর টেনে নিলো। এরপর নামল বিছানা থেকে। জানালাটা খুলে দিলো; কিন্তু ঠাণ্ডা হাওয়া শরীর নিতে পারল না নলে আবার দ্রুত আটকে দিলো জানালা। শুভ্র ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছে। এত শীতেও গোসল করেছে ছেলেটা। শুকনো তোয়ালে দিয়ে মাথাটা মুছতে মুছতে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াল শুভ্র। আয়নাতে অনুর প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছে। শুভ্র সেদিকে তাকিয়ে বলল, "টেবিলের উপর একটা কার্ড দেখলাম, ওটা কার?" অনু প্রথমে ভুরু কুঁচকে টেবিলের দিলে তাকালো। টেবিলের উপরে তাকিয়ে কার্ডটা দেখতেই কুঁচকানো কপাল মিলিয়ে গেল। চাদরটা আরও ভালোভাবে শরীরে জড়িয়ে নিয়ে বলল, "ওটা বাবা দিয়েছে। লোকটা নাকি বিশাল বড় অফিসার।" শুভ্র পিছনে ঘুরে বোনের দিকে সরু চোখ রেখে বলল, "কার্ডটা বাবা কোথায় পেলো? বাবা তো অনেকদিন ধরে এই ধরনের মানুষদের থেকে দূরে আছে।" অনু নিঃশব্দে হাসল। বলল, "বাবা কি আর আগের মতো আছে? তাঁর মধ্যে এখন বিশাল পরিবর্তন এসেছে।" "তা যা বলেছ।" মাথা দুলিয়ে তাল মেলালো শুভ্র৷ আবার আয়নার দিকে তাকিয়ে মাথার চুল মুছতে মুছতে বলল, "কাল রাতে কথা বলতে গিয়ে আমি তো ভীমড়ি খেয়েছিলাম। কথাবার্তায় খুব পরিবর্তন এসেছে। আর খুব মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা ভাবছে। মনে হচ্ছে আবার বিজনেস শুরু করবে। জমি বোধহয় বেশ ভালো দামে বিক্রি হয়েছে।" শেষের কথাটা একটু ফিসফিস করে বলল শুভ্র। সে-ও ইতোমধ্যে জেনেছে, বাবা জমি বিক্রির জন্যই কিছুদিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়েছিল। শুভ্রর কথার প্রতিউত্তরে কিছুক্ষণ নীরবে ভাবল অনু। এরপর ভাবনাটা ঝেড়ে ফেলে দিলো। দাঁড়িয়ে অন্য আরেকটা তোয়ালে বের করে শুভ্রর উদ্দেশ্যে বলল, "ভাবছি কার্ডের এই অফিসের ঠিকানায় একবার যাব। আমার চাকরি খুব দরকার।" শুভ্র আবার পিছনে ঘুরে বলল, "তুমি তো আজকাল খবরের কাগজ পড়ো। ওখানে তো অনেক চাকরির বিজ্ঞাপন থাকে।" "আমি কয়েক জায়গায় সিভি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাছাড়া আমার রেজাল্টও অত ভালো না৷ মাস্টার্স শেষ করতে পারলে তবুও কথা ছিল।" "আগে পারোনি তো কী হয়েছে? এবার পারবে।" "এই বয়সে?" অনু ঠাট্টার ভঙ্গিতে হাসতে শুরু করল। শুভ্র সিরিয়াস ভাবে বলল, "এই বয়সে মানে কি? তুমি কি বুড়ি হয়ে গেছে? মাঝে তো দু'টো বছর গ্যাপ গেছে শুধু।" হাস্যরতভাবে অনু বলল, "এখন আবার ফাস্ট ইয়ার থেকে শুরু করতে হবে। আসলে দোষটা আমারই। পড়াশোনা নিয়ে কখনোই অত সিরিয়াস ছিলাম না। ভেবেছিলাম বিয়েসাদী করে সংসার করব, অত ফাস্টক্লাস রেজাল্ট দিয়ে কী করব।" শুভ্র হেসে বলল, "হু, বিয়ে করেছ তো।" "হু, করেছি। কিন্তু টিকলো কই? তাছাড়া যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম, জীবন তো সেভাবে পরিচালিত হয়নি। সব এলোমেলো হয়ে গেছে। এরজন্য অবশ্য আরও অনেকেই দায়ী।" অনুর গলার স্বর গম্ভীর হয়ে এলো সহসা। প্রায় নিভে যাওয়া আলোর মতো টিপটিপ করতে লাগল। চোখের কোণা ভিজে এলো সামান্য। শুভ্র কিছুটা সময় নিয়ে ধীর কণ্ঠে বলল, "বাবা বলছিল তোমার বিয়ের কথা। বলছিল তোমাকে ভালো একটা ছেলের হাতে তুলে দিতে পারলে তিনি স্বস্তি পাবেন।" "মানে?" অনু জ্বলে উঠল হঠাৎ। যেন টিপটিপ করে জ্বলতে থাকা আগুনে হঠাৎ কেরোসিন ঢালা হয়েছে। শুভ্র হকচকিয়ে উঠল বোনের গলার আওয়াজ শুনে। ইতস্ততভাবে বলল, "না মানে, বাবা বলছিল আরকি। ওই যে কাল রাতে বাবার ঘরে গেলাম, তখন বলছিল।" অনু জবাব দিলো না। নিচের ঠোঁটটা কামড়ে ধরে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকল কিছুক্ষণ, এরপর ফুঁসতে ফুঁসতে তোয়ালে হাতে ওয়াশরুমে চলে গেল। শুভ্র হতবিহ্বল হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকল। বোন ওয়াশরুম থেকে বেরুনোর আগেই সে চট করে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ল। ৯টার দিকে খাওয়াদাওয়া শেষ করল অনু। বাড়িতে এখন বৃষ্টি আর মমতাজ বেগম ছাড়া কেউ নেই। শুভ্র ইউনিভার্সিটিতে চলে গেছে অনেকক্ষণ আগেই। বাঁধনও অনেক সকালে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছে। আর আজ খুব সকালেই বিশেষ কাজের কথা বলে বেরিয়ে গেছেন নুরুল ইসলাম। দ্বিতীয় প্রশ্ন করার সুযোগ স্ত্রীকে দেননি তিনি। অনু গেইট দিয়ে বের হওয়ার আগেই দারোয়ানের মুখোমুখি হলো। দারোয়ান তাকে দেখেই খবরের কাগজ এগিয়ে দিয়ে হাস্যোজ্জ্বল গলায় বললেন, "আপা, আপনার কাগজ।" কাগজটা হাতে নিলো অনু। তাঁর খবরের কাগজটা উপরে যায় না। এখানেই দারোয়ানের কাছে জমা থাকে। সে সকালে বেরুনোর সময় কাগজ নিয়ে যায়, এরপর বাসে বসে বসে মামুনের নতুন লেখা পড়ে। আজও মামুনের একটা লেখা বেরিয়েছে। সাথে সুন্দর একটা রঙিন ছবি। সরু গলি ধরে হাঁটতে হাঁটতে মামুনের ছবিটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল অনু। জীবনটা ভারি অদ্ভুত। একদিন হঠাৎ করে দেখা হয়েছিল এক রিকশাচালক এর সাথে। এরপর পরিচয়। মানুষটা তাকে ঘিরে রেখেছে। নিজের বিপদে মানুষটাকে পাশে পেয়েছে সবসময়। এমন ভালো মানুষ আজকাল দেখা যায় না। "আরে অনু, কেমন আছো?" কাগজের দিকে তাকিয়ে হাঁটছিল অনু। ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসির রেখা ফুটে উঠেছিল। এমন সময় দ্বিতীয় ব্যক্তির কথাটা কানে এলো। কিছুটা চমকিত হয়ে সামনে তাকালো অনু। মাঝবয়সী এক মহিলা বাজারের ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। মহিলাটি তাঁদের বিল্ডিংয়ের দু'তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকে। আগে বেশ ক'বার দেখা হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই এখানে থাকায় আলাপ বেশ অনেকদিনের। নিজেকে সামলে নিয়ে অনু কোমল স্বরে বলল, "আমি ভালো আছি, আন্টি। আপনি কেমন আছেন?" মহিলা হালকা হেসে বললেন, "আছি ভালোই। তা কোথায় যাচ্ছো?" মহিলার হাসিতে যে কতটা উপহাস আছে, তা অনুমান করতে পারছে অনু। তিনি ঠিক কোন কারণে এইসময় খাতির জমাতে এসেছেন, তা-ও অজানা নয়। অনু তবুও নিজেকে শান্ত রেখে জবাব দিলো, "ঢাকা যাচ্ছি।" অনুর কথা শুনে মহিলার মুখের হাসি প্রশস্ত হলো। তিনি তিরস্কারের স্বরে বললেন, "শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছ নাকি? কিন্তু আমি তো শুনেছিলাম তোমাদের ডিভোর্স হয়েছে।" অনু মুখ শক্ত করে বলল, "আপনি ঠিক শুনেছেন।" "ওহ্ হো!" ভারি দুঃখী প্রতিক্রিয়া দেখালেন মহিলা। নিচের দিকে তাকিয়ে খানিকটা বিষণ্ণ গলায় জানতে চাইলেন, "তা ডিভোর্সটা হলো কেন?" অনু ম্লানস্বরে বলল, "ডিভোর্সের কারণ জানার জন্য দাঁড় করিয়েছেন, নাকি কোথায় যাচ্ছি সেটা জানার জন্য দাঁড় করিয়েছেন?" অনুর জবাবে অসন্তুষ্ট হলেন মহিলা। দাঁতে দাঁত চেপে তিনি রুক্ষ গলায় বললেন, "বড়দের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয় সেটা ভুলে গেছ নাকি? এখন বুঝতে পারছি কেন ডিভোর্স হয়েছে। নিশ্চয়ই তোমার এই বেয়াদবি শ্বশুর বাড়ির কেউ মেনে নিতে পারেনি।" অনু বিস্ময়পূর্ণ কণ্ঠে বলল, "আমি আপনার সাথে বেয়াদবি করলাম কখন?" "অবশ্যই করেছ।" মহিলার কণ্ঠস্বর অত্যন্ত দৃঢ়। তিনি চোখ কটমট করে তাকিয়ে বললেন, "যা জিজ্ঞেস করেছি, তা না বলে কথা পেঁচাচ্ছ কেন? তোমাদের মতো মেয়েদের বিয়ে কেন টেনে না, তা আমাদের জানা আছে। নিশ্চয়ই আরও কোথাও তোমার সম্পর্ক আছে।" অনুর মেজাজ চটে গেল এবার। সে মহিলার দিকে ভয়ঙ্কর চোখ করে তাকিয়ে বলল, "ঠিক ভাবে কথা বলুন আন্টি। আমি আপনার মেয়ের বয়সী।" মহিলা ক্ষিপ্ত গলায় বললেন, "আমার এমন মেয়ে থাকলে কবেই গলা টিপে মেরে দিতাম।" অনু নাক-মুখ কুঁচকে তিক্ত গলায় বলল, "কাউকে মারার জন্য আপনার কথাই যথেষ্ট। আমারই তো কেমন যেন লাগছে এখন।" অনুর কথা কিছুতেই হজম করতে পারলেন না মহিলা। তিনি উত্তপ্ত গলায় চেঁচাতে শুরু করলেন, "তোমার এতবড় সাহস। মায়ের বয়সী একটা মানুষের সাথে এভাবে কথা বলছ তুমি। বাড়িতে যে একদমই শিক্ষা দেয়নি, তা তো বুঝতেই পারছি। আর শিক্ষা দিবেই না কে? ছোট থেকেই তো সৎ মায়ের বাড়িতে আছো। ভদ্রতা বলে তো কিছু নেই। ছি:! আবার বড় বড় কথা। কে জানে কার সাথে কী অপকর্মে জড়িয়েছিলে, আর সেটা জানতে পেরে স্বামী ডিভোর্স দিয়েছে। সবকিছু জানা আছে আমার। বয়স তো এমনি এমনি হয়নি। আমরা জানি, ঠিক কোন কারণে ছাড়াছাড়ি হয়।" একনাগাড়ে কথাগুলো বলে আর দাঁড়ালেন না মহিলা। রেগেমেগে চলে গেলেন সামনে থেকে। অনু হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল কিছুক্ষণ। আশেপাশের কেউ কেউ দাঁড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে। এতক্ষণ তামাশা দেখেছে সবাই। তামাশা শেষ হয়নি ভেবে এখনো দাঁড়িয়ে আছে, অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছে তাকে। অনুও আর দাঁড়াল না। মুখ কালো করে হাঁটতে লাগল। সাভার স্ট্যাণ্ডে গিয়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ। অনু অবাক দৃষ্টিতে দেখল সামনের ভবনটা। বেশ বড়। উপরে কোম্পানির নাম লেখা। গেইটের দারোয়ানের কাছে গিয়ে কার্ডটা দেখাতেই সে বলল, একটু অপেক্ষা করতে। বাইরে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করল অনু। প্রায় ১০ মিনিট পর স্যুট-প্যান্ট পরা একটা লোক এসে দাঁড়ালো অনুর সামনে। গায়ের রং ফরসা। গালভরতি ছোটছোট ঘন দাড়ি। দেহের গড়ন বেশ ভালো। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী তিনি। সামনে দাঁড়িয়ে পলকহীন ভাবে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে রইল অনুর দিকে। অনু একটু অপ্রস্তুত হয়ে কাশতেই লোকটা বিব্রত কণ্ঠে বলে উঠল, "আপনিই অনু?" অনু কিছুটা সময় নীরব থেকে লোকটার পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভালোভাবে চোখ বুলালো একবার। বয়স অনুমান করা মুশকিল। মুখের চামড়া বেশ টানটান। দেখতে বেশ হ্যান্ডসাম। খুব বেশি লম্বা না হলেও অনুর থেকে উচ্চতায় বড়। জবাবে অনু বলল, "অহনা।" লোকটা হাসল মৃদু আওয়াজ করে। হেসে বলল, "সবাই তো অনু বলেই ডাকে, তাই না?" ভুরু নাচিয়ে অনু 'হ্যাঁ' সূচক মাথা ঝাঁকালো। লোকটা আবার বলল, "আমার নাম অর্ক। এই কোম্পানিতে ছোট্ট একটা চাকরি করি।" অনু অবাক হয়ে বলল, "বাবা বলেছিল আপনি মস্তবড় অফিসার।" আবারও মৃদু আওয়াজ করে হাসল অর্ক। সামনের দিকে ধীর গতিতে পা বাড়িয়ে বলল, "ওই আরকি। আসুন আপনি।" অনু কথা বলল না আর। সেও অর্ক'র পাশ দিয়ে ধীর গতিতে হাঁটতে লাগল। গেইট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকে লিফটে উঠল। অর্ক অনুর দিকে তাকিয়ে ওকে দেখল আরেকবার। খুব সাধারণ সাজে এসেছে মেয়েটা। অথচ দেখতে কী অসাধারণ লাগছে! বিমুগ্ধ হয়ে অনুকে দেখতেই গন্তব্যে এসে গেল ওরা। দু'জনে আবার হাঁটতে শুরু করল। মৃদুস্বরে অর্ক বলল, "আচ্ছা, আপনার ডিভোর্স হয়েছে কতদিন হলো?" অনু থমকে গেল কথাটা শুনে। ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে খানিক শুকনো গলায় বলল, "কী আজব!" অর্ক ইতস্তত বোধ করল কিছুটা। সচারাচর এমনটা হয় না। অবশ্য এমন প্রশ্ন আগে কখনো কাউকে করেনি সে। অর্ককে নীরব দেখেই অনু রূঢ় গলায় বলে উঠল, "এই ইন্টারভিউ নিয়ে যেটুকু সম্মান আমার মধ্যে ছিল, আপনি দেখি সেটুকুও খতম করে দিলেন। এখন তো আমার মনে হচ্ছে এই ইন্টারভিউ'র মানে হলো মানুষের অনুভূতি নিয়ে দাবা খেলা।" অর্ক হাতের আঙ্গুল দিয়ে কপালের একপাশ হালকা চুলকিয়ে বলল, "আমার আসলে এভাবে প্রশ্নটা করা উচিত হয়নি।" "তা ঠিক বলেছেন। এইরকম প্রশ্ন করা আপনার উচিত হয়নি। কিন্তু আমায় এটা বলুন, আপনি আমার ডিভোর্সের ব্যাপারে এমন প্রশ্ন করলেন কীভাবে? আমি তো মুখে লিখে রাখিনি, যে আমি ডিভোর্সী।" আবার ধীর পায়ে হাঁটতে শুরু করল অনু। অর্কও হাঁটতে হাঁটতে নত কণ্ঠে বলল, "তা লিখে রাখেননি।" "তাহলে?" "আচ্ছা, আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে না, আমি হঠাৎ আপনার জন্য উপর থেকে নিচে কেন চলে গেলাম? আমি তো চাইলেই দারোয়ানকে বলতে পারতাম, উনাকে আমার কেবিনে পাঠিয়ে দিন।" অর্ক এবার মৃদু হাসল। পাল্টা প্রশ্ন করতে পেরে স্বস্তি পেলো কিছুটা। অনু বলল, "অবাক হয়েছিলাম বটে। তবে প্রশ্ন করার কথা ভাবিনি।" "কেন ভাবেননি?" অনু অসন্তুষ্ট হলো কিছুটা। বিরক্তির শ্বাস নিয়ে বলল, "আপনি কি এভাবে হেঁটে হেঁটেই ইন্টারভিউ নিবেন?" অর্ক ঠোঁট চেপে হাসল কিছুক্ষণ। একটা কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল হঠাৎ। হাসি থামিয়ে অনুর মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, "হেঁটে হেঁটে ইন্টারভিউ দিতে আপনার কি অসুবিধে আছে?" অনু বিদ্রুপের সুরে বলল, "আপনি হলেন মস্তবড় অফিসার। আপনি যেভাবে ইন্টারভিউ নিবেন, আমাকে সেভাবেই দিতে হবে।" সামনের দরজাটা ধাক্কা দিয়ে অর্ক ভিতরে যেতে যেতে বলল, "আপনি বোধহয় আমার মস্তবড় অফিসার হাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না। সেজন্য বারবার এটা বলে আমাকে খোঁচাচ্ছেন।" এবার মনেমনে হাসল অনু। তবে প্রকাশ না করে দাঁড়িয়ে থাকল দরজার বাইরে। অর্ক নিজের চেয়ারে বসতে বসতে বলল, "দাঁড়িয়ে রইলেন কেন? আসুন।" ভিতরে ঢুকল অনু। টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে মৃদু হেসে সালাম দিলো, "আসসালামু আলাইকুম স্যার।" অর্ক মাথা তুলে দেখল অনুকে। মেয়েটার হাবভাব পুরোপুরি একজন ইন্টারভিউ দিতে আসা পদপ্রার্থীর মতো। অর্ক হালকা আওয়াজে কেশে বলল, "ওয়ালাইকুমুস সালাম। বসুন।" অনু বসে ব্যাগ থেকে নিজের সিভিটা বের করল। সেটা এগিয়ে দিলো অর্ক'র দিকে। অর্ক বলল, "এটা লাগবে না।" অনু হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল অর্ক'র দিকে। অর্ক হেসে বলল, "আমি বললে আপনার চাকরি কেউ আটকাতে পারবে না। সেজন্যই আপনার বাবা বলেছেন, আমি মস্তবড় অফিসার। সহজেই আপনার চাকরি কনফার্ম করার ক্ষমতা আমার আছে।" অনু চোখ পিটপিট করে বলল, "আপনি আমার বাবার থেকে ঘুষ খেয়েছেন নাকি?" অর্ক চুপসে গেল একেবারে। এমন করে কেউ তাকে বলেনি কখনো। তাই হজম করতে সময় লাগছে। অর্ককে নিভে যেতে দেখে অনেককিছু বুঝে ফেলল অনু। সে মুখ শক্ত করে বলল, "কত টাকা ঘুষ খেয়েছেন বলুন তো? টাকাটা আমায় ফিরিয়ে দিন। আমি আপনার চাকরি করব না। চাকরির দরকার বলে তো আর ঘুষ দিয়ে চাকরি নিতে পারি না। আমার এইটুকু আত্মসম্মান অবশ্যই আছে।" মিনমিন করে অর্ক বলল, "আমাকে দেখে কি ঘুষখোর মনে হয়?" অনু বিড়বিড় করে বলল, "সাধু-ও তো মনে হয় না।" অসহায় ভঙ্গিতে একবার নিচের দিকে তাকালো অর্ক। আবার সামনে তাকিয়ে মিনমিন করে বলল, "আমি আসলে বলতে চেয়েছি, আপনার চাকরিটা নিশ্চিত। এই চাকরির ব্যাপারটা আসলে আমার হাতেই। ঘুষটুষ কিচ্ছু আমি খাইনি।" অনু একটু নড়ে বসল। নরম সুরে বলল, "এমনিতেও ইন্টারভিউ দিলে যে আমার চাকরি কখনোই হবে না, তা আমি জানি।" চিবিয়ে চিবিয়ে অনু বলল, "কিন্তু তাই বলে ঘুষের চাকরি আমি করব না।" "আচ্ছা আচ্ছা। আপনাকে ঘুষের চাকরি করতে হবে না। দিন, আপনার সিভিটা দিন।" হাত বাড়িয়ে সিভিটা নিলো অর্ক। চোখ তুলে একবার অনুকে দেখে নিলো। মেয়েটা তীক্ষ্ণ ভাবে পুরো রুম পর্যবেক্ষণ করছে। যেন সে একজন গোয়েন্দা। গোপনে হাড়ির খোঁজখবর নিতে এসেছে। চোখ নামিয়ে সিভিটা দেখল অর্ক। কিছুক্ষণ পর অস্ফুটস্বরে বলল, "আপনার রেজাল্ট তো মাশাল্লাহ।" অনু সচকিত হয়ে অর্ক'র দিকে তাকালো। প্রতিউত্তরে লজ্জাপূর্ণ ভাবে বলল, "হু, টেনেটুনে পার হয়েছি আরকি। আসলে কখনো চাকরি করার কথা ভাবিনি। জাস্ট পরেছি, আর।" অনুকে থামিয়ে দিয়ে অর্ক বলল, "আর প্রেম করেছেন। আপনার প্রাক্তন প্রেমিকের নাম যেন কী? উমম।" ঠোঁট চেপে নামটা মনে করল অর্ক। "হ্যাঁ, মনে পড়েছে। নাম শান্তনু।" অনুর চোখ দু'টো ভয়ঙ্কর হলো এবার। ফোঁস করে ওঠে বলল, "আপনি কে বলুন তো?" অর্ক রসিক সুরে বলল, "আমি মস্তবড় অফিসার।" অনু কড়া গলায় বলল, "প্রশ্নের সোজাসাপটা উত্তর দিন। না হলে আমি চলে যাব। আপনার চাকরির প্রতি কোনো উৎসাহ আমার আর অবশিষ্ট নেই। বাবা যে কোথায় পাঠাল আমায়!" আফসোস হলো অনুর। এখানে না এলেই বোধহয় ভালো হতো। অনুর প্রতিক্রিয়া দেখে উচ্চস্বরে হাসতে লাগল অর্ক। আর অনু ওর হাসি দেখে ক্রমশ ক্ষিপ্ত হতে থাকল। অর্ক এক পর্যায়ে হাসি থামিয়ে বলল, "আঙ্কেল আপনাকে ঠিক জায়গাতেই পাঠিয়েছে। অবশ্য আঙ্কেল আপনাকে বলেছিল, ইচ্ছে হলে এখানে আসতে। আপনার ইচ্ছে হয়েছিল।" অনু বলল, "আপনি কীভাবে জানলেন?" "আপনার বাবা নিজের মুখেই তো বললেন। উনি তো একটু আগেই এসেছিলেন৷ আমি বাইরে গিয়ে তাঁর সাথে দেখা করে এসেছি।" "আপনি কে বলুন তো?" প্রশ্নটার পুনরাবৃত্তি করল অর্ক। চোখ খুব কড়া। অর্ক হাসতে হাসতে বলল, "আপনি যাকে উকিল আঙ্কেল বলেন, আমি তাঁর ছেলে।" "আপনি উকিল আঙ্কেলের ছেলে?" অনুর মুখ 'হা' হয়ে গেল এবার। অর্ক মাথা নাড়িয়ে বলল, "আজ্ঞে হ্যাঁ, ম্যাডাম। আমি আপনার উকিল আঙ্কেলের ছেলে।" মুখের সামনে হাত দিয়ে হেসে উঠল অনু। বলল, "আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না। বাবা কিচ্ছু বলেনি আমায়। তাছাড়া আমি জানতামও না উকিল আঙ্কেলের এতবড় একটা ছেলে আছে।" "কতবড়?" অর্কর চোখেমুখে দুষ্টুমি। অনু মৃদুস্বরে বলল, "মস্তবড়।" অর্ক বলল, "এবার নিশ্চয়ই বলবেন না আমি ঘুষ খেয়ে আপনাকে চাকরি দিচ্ছি।" অনু লাজুক কণ্ঠে বলল, "সরি এটার জন্য।" অর্ক হেসে বলল, "তাহলে চাকরিটা করতে আর অসুবিধা নেই?" "কী অদ্ভুত! এতদিন চাকরি পাচ্ছিলাম না। আজ এতবড় অফিসার আমাকে জিজ্ঞেস করছে চাকরি করতে অসুবিধা আছে কী না। এতদিন শুধু শুনেই এসেছি মামা-খালু থাকলে চাকরির অভাব হয় না। আজ নিজের চোখেই দেখলাম।" "আমি কিন্তু আপনার মামা-খালু নই।" অর্ক কায়দা করে সতর্কবার্তা শুনিয়ে দিলো। অনু বলল, "হু, তা ঠিক। আমার অবস্থা খারাপ না হলে চাকরির জন্য আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিতাম না। কিন্তু এখন চাকরিটা দরকার। না হলে বাঁচা অসম্ভব।" অর্ক দীর্ঘঃশ্বাস ছেড়ে বলল, "হু, আমি জানি সবটা।" অনু বিস্মিত কণ্ঠে বলল, "সবটা জানেন?" মাথা ঝাঁকালো অর্ক, "হ্যাঁ। আঙ্কেল সবটা বলেছেন আমাকে। তাছাড়া আপনার হয়ে বাবা যে কেইসটা লড়েছেন, সেটা সম্পর্কেও আমি সবটা জানি। তবে আপনাদের অবস্থা এমন থাকবে না। আঙ্কেল এবার শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছেন।" অনু মাথা নাড়ালো শুধু। কিছুটা সময় নীরব থেকে বলল, "সত্যিই কি ইন্টারভিউ ছাড়াই আমি চাকরি পেয়ে গেলাম?" অর্ক সিরিয়াস ভাবে বলতে লাগল, "দেখুন, আপনার এই পোস্টে আরও কিছু লোক আমরা নিয়োগ দিচ্ছি। আর এটার দায়িত্ব আমার উপরেই। আপনার ইন্টারভিউও আমিই নিতাম। আপনি আঙ্কেলের মেয়ে। আমি এইটুকু ভরসা করে আপনাকে একটা পোস্ট দিতেই পারি। এই ক্ষমতা আমার আছে।" কিছুক্ষণ ভাবল অনু। এছাড়া উপায় নেই। তাঁর রেজাল্ট খুব ভালো নয়। স্ট্রাগল করে চাকরি পাওয়াটা মুশকিল। ভেবে অনু বলল, "আচ্ছা। আমি রাজি।" অনুর কথা শুনে অভিভূত হলো অর্ক। উজ্জ্বল হাসি দিয়ে বলল, "আমরা আরও কিছু লোক নিয়োগ দিয়ে একটা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করব। সেই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমেই আপনি কাজটা শিখতে পারবেন। এরপর আপনি জয়েনিং লেটার পেয়ে যাবেন।" অনু উচ্ছ্বসিত হয়ে মাথা ঝাঁকালো। অর্কর সাথে আরও কিছুক্ষণ কথা বলে অফিস থেকে বেরিয়ে এলো অনু। মুখটা উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ। হাঁটতে হাঁটতে বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। তাঁর জন্যই হয়তো এত সহজে চাকরিটা পেয়ে গেল। এবার সামনে এগোনোর পালা। সকালে শুভ্রর কথা শুনে বাবার উপর যতটা রাগ অনুর হয়েছিল, এখন ততটাই ভালোলাগা কাজ করছে। মানুষটা তাঁর ভালোর জন্যই এইসব করছে। হয়তো সবসময় ভালোটা হয়নি, কিন্তু তাঁর উদ্দেশ্য তো ভালো ছিল। মনেমনে অর্কর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল অনু। অত বড় একজন কর্মকর্তা, অথচ আচরণ কী আন্তরিক! তাঁর বাবাকে কত সম্মান করে। অনু মনেমনে বলল, লোকটা নিজের বাবার মতোই হয়েছে। ভদ্র, আন্তরিক, বন্ধুসুলভ আচরণ। ঘড়ির কাঁটায় সময় ১২টা অতিক্রম করছে। অনুর হঠাৎ মনে হলো, একটা জায়গায় যাওয়া দরকার। এবং সেখানে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। সেই ভাবা সেই কাজ। বাসে ওঠে পড়ল অনু। বাস ছুটে চলল সামনের দিকে। ৪১ পর্ব এখানেই সমাপ্ত। পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই আসছে।

$ 0.00
3 years ago

Ow acca..tik asa vai

$ 0.00
3 years ago