Hope u all like my article......
মধুর উপকারিতা –
মধুর উপকারিতা নানারকম। মধুতে রয়েছে নানা প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক ভেষজ গুণ যা কোলেস্টরল থেকে শুরু করে হার্টের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা ও চুলের সমস্যার বিরুদ্ধে ভীষণভাবে কার্যকরী। নিচে বিস্তারিতভাবে মধুর নানারকমের উপকারিতার বর্ণনা করা হল:
স্বাস্থ্যের জন্য মধুর উপকারিতা –
স্বাস্থ্যের জন্যে মধুর উপকারিতা নানারকম ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। মধুর নানা ঔষধিক গুণ রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যের জন্যে মধুর উপকারিতাগুলি কি কি:
১. ওজন কমাতে মধু:
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মধু দারুণ কার্যকরী। আজকাল প্রত্যেককে বলা হচ্ছে যে চিনি খাওয়া বন্ধ করে তার বদলে মধু খাওয়ার অভ্যেস করতে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করার অভ্যেস করুন। এতে ওজন বৃদ্ধি আটকানো সহজ হয়। যদিও আপনি ভাবতে পারেন যে মধুতেও তো চিনি থাকে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে মধুতে থাকা চিনি সাধারণ সাদা চিনির তুলনায় একেবারে অন্যরকম ভাবে কাজ করে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় (১)।
২. সর্দি কাশি কমাতে মধু:
সর্দি কাশি কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। বাচ্ছাদের ক্ষেত্রে সারারাত যে কাশি হয়, মধু খেলে অনেকটা আরাম পাওয়া যায় (২)। তবে, অনেক সময় ১৪ বছরের নিচের বাচ্ছাদের মধু খাওয়া সঠিক নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে মধু খাওয়া উচিত (৩)। প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে ডিহাইড্রেশন, ঠাণ্ডা লাগা ও নানা রকমের রোগ সেরে যায় (৪), (৫)।
৩. ডায়াবেটিস কমাতে মধু:
মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল ৪৫ থেকে ৬৪-র মধ্যে যা একেবারেই মাঝারি। মধু খেলে রক্তে প্রয়োজনীয় ইন্সুলিন সঠিকভাবে উৎপন্ন হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের জন্যে মধু রক্তের লিপিড ও কোলেস্টরল কম করতে সাহায্য করে (৬)। কিছু কিছু এন্টি ডায়াবেটিক ওষুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিসের প্রতিক্রিয়া কমতে শুরু করে (৭)। তবে অনেকের ক্ষেত্রে আবার ডায়াবেটিসে মধু খাওয়া নিষেধ করা হয়, তাই এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ করে নেওয়াই ভাল (৮)।
৪. কাটা, ছেড়া জ্বালা কমাতে মধু:
মধুতে থাকা রেডিক্যাল উপাদান কাটা ছেড়া বা দাগ ছোপের বিরূদ্ধে দারুণ কাজ করে (৯)। এমনকি ছোট খাটো জ্বালা বা পোড়ার ক্ষেত্রেও মধু লাগালে উপকারিতা পাওয়া যায়। যেকোনো ব্যাথা বা জ্বালা কমাতে মধুর মত উপাদান খুব কমই আছে (১০), (১১)। আলসার বা অন্য কোনো সংক্রামক ব্যাথার ক্ষেত্রেও মধু খুব উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে (১২)।
৫. উচ্চ রক্তচাপ কমাতে মধু:
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে মধু খুব উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। এতে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে আনে ও শরীরে নির্দিষ্ট ক্যালোরি সঠিক রাখে (১৩)।
৬. কোলেস্টরল কমাতে মধু:
একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত ৩০ দিন ধরে ৭০ গ্রাম মধু খেলে কোলেস্টরলের সমস্যা প্রায় ৩%- ৮% করে কমতে থাকে এবং ভালো কোলেস্টরল বাড়তে শুরু করে (১৪)। তাই কোলেস্টরোলে ভুগলে চিনির বদলে মধু খাওয়ার অভ্যেস শুরু করা উচিত (১৫), (১৬)। মধুতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট হল এই কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করার আসল কারণ।
৭. শরীরে শক্তি প্রদান করতে মধু:
মধুতে রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণ এনজাইম, প্রোটিন, মিনারেল ও এমিনো এসিড যা শরীরে সতেজতা ও শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। যেকোনো মিষ্টান্নর তুলনায় মধু খাওয়া অনেক বেশি উপকারী। এমনকি, শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করার পর গ্লুকোসের বদলে অনায়াসে মধু খেতে পারেন (১৭)।
৮. হাড়ের জন্যে মধু:
হাড় শক্ত রাখতে বিশেষ করে মহিলাদের ৩৫ বছর বয়সের পর যে হাড়ের ভঙ্গুরতা বা ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা যায়, সেক্ষেত্রে মধু দারুণ উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে উষ্ণ গরম জলে মধু মিশিয়ে পান করলে হাড় দিনে দিনে মজবুত হতে শুরু করে ও আর্থ্রাইটিস বা যেকোনো বাতের সমস্যা কমতে দেখা যায়।
৯. রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে:
মধু, বিশেষ করে মানুকা মধুতে রয়েছে মিথাইলগ্লাইঅক্সাইল যা এন্টিব্যাক্টিরিয়াল উপাদানে ভরপুর। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় ও যেসব কোষগুলি এই ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলে সেখানে সাইটোকাইনিন উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
১০. হার্টের সমস্যায় মধু:
মধুতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট হার্টকে বিভিন্ন রকম ভাবে সুরক্ষা প্রদান করে যার ফলে অক্সিডেশন হওয়া বন্ধ করা যায়। এর ফলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমনকি, প্রতিদিন মধু খাওয়ার ফলে হার্ট এটাকের আশঙ্কা অনেকটা কমিয়ে আনা যায় (১৮)। মধুতে থাকা পলিফেনল হার্টের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বেশ কার্যকরী /
Good morning everyone,have good day.
সর্ব রোগের মহা ঔষধ যার নাম