❤ এস্তেগফার মানে ক্ষমা প্রার্থনা করা।তাওবা করা।এস্তেগফার করার বিশেষ কোনো নিয়ম নেই।আপনি দিনে রাতে আপনার অবসর সময়ে বা দুনিয়াবি কাজ করার সময় মনে মনে বা মুখে উচ্চারন করে "আস্তাগফিরুল্লা
হ" পড়বেন।
.
এর জন্য আপনার ওজূ বাধ্যতামূলক নয়।হায়েজ বা প্রিওড অবস্থায় ও এস্তেগফার বা তাওবা করতে পারবেন। টয়লেট বা অপবিত্র কোন জায়গায় পড়বেন না।তবে আজান এর সময় বা নামাজ এর সময় বা কোর-আন তেলাওয়াত এর সময় এই ইবাদাত গুলোর দিকে মনোযোগ দিবেন।এই সময় এস্তেগফার এর চেয়ে উক্ত ইবাদাত অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
.
বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ুন-
ইস্তেগফার'কে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়ে নিন। চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে,কাজে-কর্মে, সবসময় বলুন
- আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।
আমাদের প্রতিটি নিশ্বাস বলুক আস্তাগফিরুল্লাহ।
.
যে ব্যাক্তি সবসময় ইস্তেগফারের সাথে সবসময় অাঠার মতো লেগে থাকে সে জীবনে পাঁচটা জিনিস পাই,
.
১।অাল্লাহ সুবাহানাওয়াতাঅালাহ তাকে সমস্ত বিপদ অাপদ থেকে সবসময় রক্ষা করবেন।
.
২। তাকে অাল্লাহ দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিবেন।
৩।এমন যায়গা থেকে অাল্লাহ তাকে রিজিকের ব্যবস্হা করে দিবে, যে যায়গা থেকে রিজিক পাওয়া তার জন্য অকল্পনীয়, অসম্ভব ছিলো।
.
৪।যতক্ষণ ব্যাক্তি ইস্তেগফারের সাথে লেগে থাকবে তার উপর ততক্ষণ পর্যন্ত কোন শাস্তি অাল্লাহর পক্ষ থেকে বর্ষিত হবে না, পাকড়াও করবে না।
.
৫।সে যে কোন দোয়া করার সাথে সাথে, অাল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাঅালা তার কবুল করে নিবেন ।
.
.
এস্তেগফার এর জন্য নিচের দুয়াগুলো পাঠ করতে পারেন।আপনি চাইলে উক্ত দোয়া থেকে একটি বা সবগুলো পাঠ করতে পারেন এতে কোনো সমস্যা নেই।
.
আপনার দিনে যতবার খুশি ততবার এস্তেগফার করতে পারবেন।তবে কেও যদি কোনো আমল দেয় বলে যে এতোবার বা ১০ বার ২০ বার পরতে হবে তাহলে সেই আমল গ্রহনীয় নয়।
.
এস্তেগফার এর জন্য পঠিত দোয়াগুলো
. তাওবা ইস্তেগফার করার জন্য কি কি দুয়া করতে পারেন? হাদিসে বর্ণিত তাওবার দোয়া সমূহ: ========================= দোয়া-১: ====== মূল আরবীঃ ﺃَﺳﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠﻪَ উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হ। অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। প্রতি ওয়াক্তের ফরয সালাতে সালাম ফিরানোর পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। [মিশকাত-৯৬১] দোয়া-২: ====== মূল আরবীঃ ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﺃَﺗُﻮْﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি। অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবা ও ইসতিগফার করতেন
.
___[বুখারী-৬৩০৭]