কামাতে কত কষ্টই না করতে হয়। বহু পরিশ্রম করে ও ঘাম ঝরিয়ে অর্থ আসে ঘরে। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কী আর আয় করা যায়? একটা উপায় হতে পারে টাকা ব্যাংকে রেখে সুদের মাধ্যমে আয় করা কিন্তু এটা হারাম। এর জন্য শ্রম দিতে হবে না। আর কী উপায় থাকতে পারে? আছে আরো কিছু হালাল উপায়। আপনি ঘুমিয়ে গেলেও আয় থেমে থাকবে না। এভাবে ঘুমিয়ে থেকেও আয়ের পদ্ধতি জেনে নিন হালাল পন্থায়।
ব্লগিং
প্রযুক্তির এই যুগে ব্লগিং অর্থ উপার্জনের দারুণ জনপ্রিয় উপায়। প্রথমে একটি ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে ফেলুন। এরপর সেখানে মজাদার এবং আকর্ষণীয় কিছু লেখতে থাকুন। অন্যদের লেখতে উদ্বুদ্ধ করুন। লেখার ক্ষেত্রে মানুষের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহালে আয় করা সহজ হবে। যদি আপনার ব্যবসা ভালো লাগে, তা হলে ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন পরামর্শমূলক লেখা লিখতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে লিখুন না কেন, তা অবশ্যই জনপ্রিয় হতে হবে।
পণ্য বিক্রি
কোনো বিষয়ে আপনার সমৃদ্ধ জ্ঞান থাকলে তাকে কাজে লাগান। ওই জ্ঞানের প্রয়োগে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পণ্য তৈরি করুন। যেমন ই-বুক বা ভিডিও তৈরি। এবার সেগুলোকে ব্লগে বিক্রি করুন। এটা আপনার পণ্যের বাজার তৈরি করতে খুব কাজে দেবে। এভাবে আপনার নিজস্ব পণ্য বিক্রি করে আয় করুন। এর জন্য বাজারে ছোটাছুটি করতে হবে না।
সম্মানী নিন, আয় করুন
আপনার যদি সুর, অভিনয় বা লেখালেকি বিষয়ে আগ্রহ ও জ্ঞান থাকে, তো ঘুমিয়েই আয় করতে পারবেন। আপনার আয়ের পথ খোলা রয়েছে। কাজের বিনিময়ে ভালো সম্মানী পাবেন। সৃজনশীল কাজগুলো মানুষ ব্যবহার করবে, বিনিময়ে আপনাকে টাকা দেবে। আপনার যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিভা থাকে, তাহলে অনলাইনে এমন অনেক সাইট আছে সেখানে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। সেখানেই আপনার সৃজনশীল কাজে বেঁচা-কেনা চলবে।
লেখকেন দল
যদি একটি দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন, তাহলে কয়েকজন সদস্য সংগ্রহ করে একটা দল তৈরি করুন। এসব সদস্যেদের কাছ থেকে ভালো মানের লেখা নিন এবং তার বিনিময়ে সম্মানী প্রদান করুন। এসব লেখার তথ্যগুলো অনন্য ও আকর্ষণীয় বিষয়ে হবে। এবার এগুলো নিজের ব্লগে পোস্ট করে খুব সহজে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি
ওয়েবসাইট তৈরি করতে শিখুন। ভালো র্যাঙ্কিং অর্জন করতে পারলে এসব সাইট বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতে পারবেন। সাইট বিক্রি করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন বাজার রয়েছে। যেমন- ফ্লিপ্পা। এসব অনলাইন বাজারে সাইট বিক্রি করে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।