- আসলে মা, তোমার কথা খুব মনে পড়ছিল।তাই এসে পরলাম।
- ভালো করেছিস, আমার ও একদম ভাল লাগছিল না।
- হুম তাই তো এসে পরলাম।
- যা এখন ফ্রেশ হয়ে আয়,আমি খাবার বেড়ে দিচ্ছি।
- হুম যাচ্ছি।
তারপর রুমে গেলাম, ফ্রেশ হয়ে খেতে আসলাম।খেয়ে আবার রুমে চলে আসলাম। ঢাকার কথা আবার মনে পড়ে গেল,মনটাই খারাপ হয়ে গেল।তাই একটু ফেসবুকে ঢুকলাম।
⏬
গল্প লিখতেছি, এমন সময় সাকিব (আমার বন্ধু)কল করল.....
- মামা কেমন আছো।
- এইতো ভালো তোর কি খবর।
- ভালোই,কই তুই।
- বাসায় ই আছি।
- সেকি রে কাল না মামার বাসায় গেলি। আবার আসলি কবে।
- আজ সকালে এসে পরেছি।
- তা বিকালে আয় আড্ডা দিবো নি।
- ওকে মামা থাকিস।আসবো নি,এখন বাই।
- হুম বাই।
তারপর আর কিছুক্ষণ গল্প লিখে, আড্ডা দিতে চলে গেলাম। আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
⏬
রাতের খাবার খাওয়ার সময় আব্বু বলল..
- কিরে কাল গেলি আবার আজ ই চলে আসলি।(আব্বু)
- এমনি চলে আসলাম।
- এমনি এমনি কেউ আসে।তোর মামা কি ভাববে।(আব্বু)
- আরে কিছু ভাববে না, আমাদের ছাড়া ওর ভালো লাগছিলো না তাই এসে পরছে।(মা)
- হুম, বুঝলাম (আব্বু)
তারপর খেয়ে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ ফেসবুক চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
⏬
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে,নাস্তা করতে গেলাম। নাস্তা করার সময় আব্বু বলল......
- তোমার মামা নাকি আজ আমাদের বাড়ি আসবে।(আব্বু)
- ওহহ,কখন?
- রওনা দিয়েছে, দুপুরের মধ্যে চলে আসবে।(বাবা)
- ওহহ।
- তুই একটু গিয়ে রিসিভ করে নিয়ে আয় না বাবা।(মা)
- আমি কেন যাবো।
- সে কিরে তাহলে কে যাবে।(মা)
- সে আমি কি জানি।
- ও তার মানে আমি অফিস বাদ দিয়ে, রিসিভ করতে যাই।আর তুই বসে থাক।(বাবা)
- তা কখন বললাম,তারা তো একাই আসতে পারে তাইনা।
- অনেকদিন ধরে আসে না চিনবে কি করে।(মা)
- তা অবশ্য ঠিক।
- তাই তো বলছি।ওরা তো গাড়ি নিয়েই আসবে।তুই শুধু বাস স্টেশন এর ওই যায়গায় যাবি।আর ড্রাইভার কে রাস্তা বলে দিবি।(মা)
- হুম।
- আচ্ছা আমি তাহলে যায়,আর কোনো চিন্তা থাকলো না।(বাবা)
- হুম সাবধানে যেও।(মা)
নাস্তা করে রুমে চলে আসলাম।
⏬
ভাবতেছি এমনি যাবো নাকি বাইক নিয়ে যাবো।ভেবে দেখলাম বাইক নিয়ে গেলে ভালো হবে।নবাব জাদিদের গাড়িতে তো আর উঠতে হবে না,আর রাস্তা দেখাতেও সুবিধা হবে।
অনেক দিন ধরে বাইক টা পরিষ্কার করি না,তাই বাইকটা পরিষ্কার করতে লাগলাম।ময়লা দিয়ে একাকার হয়ে গেছি,তাই গোসল করে নিলাম। এবার আনতে যেতে হবে,তাই আর দেরি না করে বাইক নিয়ে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর মামা কল করে বলল - বাস স্টেশন এ এসে পরেছে। তারপর আমি গেলাম সেখানে....
- আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন মামা?
- আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি।
- হুম ভালো।
- নাও গাড়িতে উঠে পরো।
- না মামা আমি তো বাইক নিয়ে এসেছি।
- ওহহ।
- আমি সামনে বাইক চালাচ্ছি আমার পিছন পিছন আসেন।
- হুম।
ওদের দুই বোনের দিকে তাকালাম,আমার তাকানো দেখে মুখ ঘুরিয়ে নিলো,কি ভাব।
তারপর ওদের নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
⏬
গাড়ি বাসার সামনে থামানোর পর। জুঁই বলল...
- লাগেজ টা নিয়ে যাও তো।(জুঁই)
- আমি কারো বাপের টাকায় কেনা চাকর না।
- তো কি,লাগেজ টা নিয়ে যা বলছি।(জারা)
- ওই সাউন্ড আসতে,এটা তোমাদের বাবার রাজপ্রাসাদ না। আমি গেলাম যার যার টা সে সে নাও।
তারপর চলে আসলাম।রুমে এসে একটু শুয়ে আসি।এমন সময় সাকিব কল করলো...
- কি করো বন্ধু।
- এইতো শুয়ে আছি তুই।
- আমিও, আচ্ছা শোন আজ বিকালে বাইক নিয়ে তোদের বাসার সামনে যাবো।তুই থাকিস, একটু ঘুরে আসবোনি।
- আচ্ছা আসিস।
- হুম এখন বাই।
- বাই।
⏬
একটু ঘুমিয়ে নিলাম,বিকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম। গিয়ে দেখি দুই বোন বাহিরে DSLR নিয়ে ছবি উঠতেছে।আমাকে দেখে DSLR নিয়ে বেশি মাতামাতি করতেছে।রিতিমত আমাকে দেখানোর চেষ্টা করতেছে, আমিও বাসার ভিতরে গিয়ে আলমারি থেকে DSLR টা বের করে আনলাম।বাইক নিয়ে বের হবো এমন সময়....
- বাহ্,বাইক দিয়ে তো তোমায় ভালোই মানিয়েছে ভাইয়া।(জুঁই)
- না ফক্কিনিদের কি আর দুই লাখ টাকার বাইক এ মানায়।
- বাইক টা কি তোমার ভাইয়া।(জুঁই)
- না,এক বড়লোকের বাড়ির সামনে পরে ছিল। নিয়ে আসছি।
- তুমি আমাদের সাথে এভাবে কথা বলো কেন।(জুঁই)
- আমার মতো ফক্কিনি আবার কি বললো।
- এইযে ইনসাল্ট করে।(জুঁই)