রুমে ঢুকতেই ছোট্ট কাগজটা চোখে পরলো৷ খুব সুন্দর করে ছোট অক্ষরে লিখা"তোর খবর আছে"৷
অবাক লাগলো একটু৷
ফুফী কখনো এসব লিখবে৷ সেটা ভাবা বোকামি৷ আর ছোট্ট ইরা এখনো লিখতে জানে না৷
রাতে ঘুমানোর সময় আমি বুকে জড়িয়ে ধরে বর্ণমালা শেখায় মেয়েটাকে৷
বিরিয়ানীর ঘ্রাণ নাকে লাগলো৷ আমি দ্বিতীয়বারের মতো অবাক হলাম৷ ফুফীর রান্না ঘরে যাওয়া বারণ৷ আর ইরারতো প্রশ্নই উঠে না৷
আমার খটকা লাগলো৷ অন্যদিন হলে, আমি ঘরে ফেরার আগ পর্যন্ত ফুফী সোফায় বসা থাকে৷
উনার সামনেই ইরা খেলা করে৷
আমি ঘরে ঢুকতেই ছোট্ট ইরা আমার কোলে ঝাঁপিয়ে পরবে৷
তারপর খুব দ্রুততার সাথে দু'চারটা চুমু দিয়ে বসবে আমার গালে,নাকে,কপালে৷
আর ফুফীর মুখটা বরাবরই থাকবে গম্ভীর৷ এই মানুষটা আমার বিয়ে নিয়ে বড্ড চিন্তিত৷ প্রতিবার পাত্রী দেখার দিন দুয়েক পর আমার রুমে এসে গম্ভীর গলায় বলবে,
ওরা না করে দিয়েছে৷ ওরা ভাবছে ইরা তোর মেয়ে৷"
আমি হাসি একটু৷ এতে ফুফী আরেকটু বিরক্ত হয়৷ সেটা আমি খুব বুঝতে পারি৷ পরক্ষণেই বলি,
ইরা আমারই তো মেয়ে৷ কে মানলো আর না মানলো সেটা ব্যাপার না৷
ফুফী আর কিছু বলে না৷ চিন্তিত মুখ নিয়ে রুম ত্যাগ করে৷
আমি জানি এই মানুষটা আমাকে নিয়ে খুব চিন্তিত৷
আমার বুদ্ধী বয়সের পর আমি বাবাকে দেখিনি৷ অন্যের বাবাদের দেখে আমি মাকে জিজ্ঞেস করতাম,
মা আমার বাবা কই?"
মা চুপ থাকতো কিছুক্ষণ৷ আমি আবার জিজ্ঞেস করতাম৷ মা উদাস হতো৷ আমি বারবার জিজ্ঞেস করতাম৷ মা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতো,
ঐতো উপরে৷"
যেবার আমি ৩য় শ্রেণীতে উঠলাম৷ হুট করে তিনিও চলে গেলেন৷ আমি চূড়ান্ত রকমের একা হয়ে গিয়েছিলাম৷
তার দিনকয়েক পরে ছোট চাচা আমাকে শহরে নিয়ে আসলেন৷ তারপর এই ফুফীর বাসা৷
আমি ধরে নিয়েছিলাম আমি লেখাপড়াটা আর হবে না৷
বাস্তবভাবে না হলেও টিভিতে দেখে বুঝে নিয়েছি এই শহরের মানুষগুলো বড্ড নিষ্ঠুর৷
ফুফীর একটা মাত্র মেয়ে৷ নাম নীরু৷ আমার চেয়ে কয়েক বছরের বড়৷
আপু তখন ৯ম শ্রেণীতে পড়ে৷ সপ্তাহখানেক পর আমাকেও স্কুলে ভর্তি করানো হলো৷
ফুফী আর উনার স্বামী বড্ড ভালো মানুষ৷ অথচ মানুষগুলোকে আমি নিষ্ঠুর ভেবে বসেছিলাম৷ ধারনাটা ভুল হলো কিছুদিনের মধ্যেই৷
নীরু আপুর সাথে আমার কথা হতো না তেমন৷ একদমই না৷ উনি সারাদিন পড়া নিয়ে থাকতো৷ আমার মাঝে মাঝে আপু ডেকে কথা বলতে ইচ্ছে হতো৷
পরক্ষণেই ধমিয়ে রাখতাম ইচ্ছেটাকে৷ আমার মা যখন বেঁচে ছিল৷ আমি সারাক্ষণ কথা বলতাম মায়ের সাথে৷ পিছনে ঘুরঘুর করতাম৷ আম্মা যখন রান্না করতো৷ আমি শাড়ির আঁচল ধরে বসে থাকতাম৷
এই শহরে এসে চুপ থাকাটা আমার হজম হচ্ছিলোনা কিছুতেই৷ তাও অভ্যাস করে নিচ্ছিলাম৷
তারপর ঝুম বৃষ্টির একটা সকাল৷ হালকা করে ঠান্ডা বাতাস হচ্ছিলো৷ গায়ে কাটা দেয়ার মতো শীতলতা৷ আমি গুটিশুটি মেরে শুয়ে থাকি৷
একটু পরে অনুভব করি কে যেন গায়ে চাদর টেনে দিয়েছে৷ ঘুমের ঘোরে চোখ মেলিনি আমি৷ চাদরটা গায়ে চাপিয়ে আবারো ঘুমোনোর চেষ্টায় আমি৷
পরক্ষণে কপালে হাতের ছোঁয়া লাগে৷ আমি চোখ মেলে প্রচন্ডরকমের অবাক হলাম৷
নীরু আপু!
আমি থতমত খেয়ে উঠে বসলাম৷ আপু মিষ্টি করে হাসে৷ আমার গালটা আলতো করে টেনে বলল,
আমার ভাইটাকে দেখতে এসেছি৷"
আমি চুপ থাকি৷ লজ্জা লাগছিল আমার৷
আপু আমার নাকটা হালকা টিপে দিয়ে বলল,
ভাইটা কি লজ্জা পেয়েছে?নাকি রাগ করেছে শুনি?"
আমি কিছু বলতে পারিনা৷ আমার ভেতরটা ভালোলাগায় ভরে উঠে৷
তারপরের দিনগুলো ছিল স্বপ্নের মতো৷ ফুফা-ফুফী নিজের ছেলের মতো ভালৌবাসতো৷ কিন্তু আমার মমতার জায়গাটা ছিল নীরু আপু৷ কি যত্নটাই নিতো মানুষটা আমার৷
আমার চুল লম্বা হলে নিজেই সাথে করে সেলুনে নিয়ে যেতো৷ নিজের পছন্দের কাটিংটা দিতো আমার চুলে৷ নখ লম্বা হলে নিজেই কেটে দিতো৷ আর বলতো,
তুই ছোট মানুষ৷ ব্যাথা পাবি৷"
আমি চুপচাপ মেনে নিতাম৷ উনার বান্ধবীদের কাছে নিয়ে বলতো,
দেখেছিস আমার ভাই৷ এবার আমিও গল্প শোনাবো তোদের৷"
ঘরে ফেরার পরেই আমাকে নিয়ে তার ব্যস্ততা৷ আমার নিজের হাতে ভাত খাওয়া নিষেধ৷ সে নিজে আমাকে খাইয়ে দিবে৷
নীরু আপু টিউশন করতো৷ ওদের সাথেই আমি পড়তাম৷ অন্যরা পড়া না পারলে হালকা পিটুনি দিতো৷ আর আমার বেলায় হলে বলতো,
তোরগুলো জমা৷ সন্ধ্যায় বেঁধে পেটাবো৷
আমি ভয়ে চুপসে যেতাম৷ আর ভাবতাম, আমার খবর আছে আজকে৷
সন্ধার পর আর পাশ ঘেষতাম না আপুর৷ রুমের মধ্যে চুপচাপ বসে থাকতাম৷ কিছুক্ষণ বাদেই ঠুকঠুক শব্দ হতো দরজায়৷
আমি ভেতরটা কাঁপতো৷ দরজা খুলতেই আপু আমাকে জড়িয়ে ধরতো৷ গাল টেনে বলতো,
আমার কলিজার টুকরোটাকে আমি মারবো কেন শুনি? এত ভয় পায় কেন শুনি?"
আমার ভয়টা ততক্ষণে গায়েব৷ আমার বিরিয়ানি পছন্দ ছিল৷ সেটা শুনতেই বিরিয়ানী রান্না শেখার জন্য আপুর সে কি ব্যস্ততা৷"
মায়া-মমতা মাখানো ভালোবাসা দিয়ে আমাকে বড় করেছে মানুষটা৷ আমি যেবার কলেজে উঠলাম আপুর তখন পড়ালেখা শেষ৷
আপুর বিয়ের কথা চলছিল৷ আমার মনটা বিষণ্ণতায় ভরা তখন৷
গভীর রাতে চাপা কান্নার আওয়াজ আসে আমার কানে৷ একটু পরে বুঝতে পারি নীরু আপুর রুম থেকে ভেসে আসছে৷
দরজায় কান পাততেই ফুফার কড়া আওয়াজ শুনি৷ আমার মনে হলো, সবকিছু ঠিক নেই৷
পরদিন আপুকে জিজ্ঞেস করি৷ বরাবরের মতো নির্লিপ্ত মানুষটা৷ কষ্টের কথা চেপে রাখাটা তার অভ্যাস৷ মানুষটার জীর্ণশীর্ণ চেহারা দেখে আমার ভেতরটা ধুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিলো৷ টুপ করে আমার বড় হতে ইচ্ছে করে৷ আপুর চুলে বিলি কেটে দিই আমি৷ আপুর মাথাটা আমার কোলে৷
আপু হাসে৷ মিষ্টি হাসি৷ আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছিল সেদিন৷ কপালে চুমু দিয়ে বলেছিল"আমার ভাইটা"৷
তারপরের দিন আপুকে আর পাওয়া গেলনা৷ জলজ্যান্ত মানুষটা হাওয়া হয়ে গেল এক রাতেই৷ আমি ফুফীকে জিজ্ঞেস করি৷
ফুফী নির্লিপ্ত মুখে বলে,
জাহান্নামে গিয়েছে৷
তার দিনকয়েক পরেই ফুফা মারা গেলেন৷ নীরু আপুকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন মানুষটা৷
আমি ২য় বারের মতো বুঝতে পারি স্বজন হারানোর বেদনা৷ ফুফী বুকফাটানো কান্না করেছিল সেদিন৷ আমি কিছু বলতে পারিনি৷ শুধু জড়িয়ে ধরে বসেছিলাম৷
মানুষটার কষ্টটা আমি খুব বুঝতাম৷ হারানোর ব্যাথাটা আমার ভেতরে আবারও প্রশমিত হয় প্রতিনিয়ত৷
২
রুমের লাইটটা হুট করে জ্বলে উঠে৷ ছোট্ট ইরা জ্বালিয়েছে৷ আমির কপালে টুপ করে চুমু দেয় মেয়েটা৷ আমার হাতটা ধরে বলল,
বাবাই! মাম্মাম ডাকে!"
আমি হাসি পিচ্চিটার কথায়৷ হাত দু'টো বাড়িয়ে দিতেই কোলে উঠে বসলো৷ ছোট কানের পাশে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললাম,
মাম্মাম কে?"
ইরা কিছু বলেনা৷ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায় আমার দিকে৷
পরক্ষণেই ইরার ডাক পরে৷ নারীকন্ঠটা আমার বড্ড চেনা৷ আমার ভেতরটা কেঁপে উঠে৷
গলাটা চিনতে ভুল হয়নি আমির৷ এইটা নিধির স্বর৷ নীরু আপুদের দুই ফ্ল্যাট পরেই থাকতো নিধিরা৷ নীরু আপুর কাছে পড়তে আসতো৷ অন্যদের চেয়ে নিধি বেশি আসতো৷ আমার সাথেও দারুণ সখ্যতা ছিল৷ তুই তোকারির সম্পর্ক একদম৷ একটা সময়ে এসে আমি অনুভব করেছিলাম, এই হাস্যোজ্জল চন্ঞ্চল মেয়েটাকে আমার প্রচন্ড রকমের ভালো লাগে৷
আমি স্বপ্ন দেখতাম,
একটা গৌধূলি বিকেল কিংবা মিষ্টি রোদের এক সকালে৷ নিধি মেয়েটার পাশে হাঁটতে হাঁটতে হুট করে হাতটা ধরে বলবো,
তুই আমার হবি মেয়ে?"
ভাবতেই আমার ভেতরটায় শিহরণ বয়ে যেতো৷ নিজেকে সুখী মনে হতো৷ আকাশের দিকে তাকাতেই মনটা হুট করে পাল্টে যেতো৷ আমার মা-বাবাকে মনে পরে যায়৷ আমি ভাবতাম, আমি কে? নিধি আমার হবে কেন?"
প্রশ্নগুলো তালগোল পাকিয়ে ফেলতো মনের ভেতর৷ নিধির ভাবনা বাদ দিতাম আমি৷
নীরু আপু চলে যাওয়ার পর বাসা বদলেছি আমরা৷ আমার খুব ইচ্ছে ছিল নিধিকে একবার দেখবো৷ তা আর হয়নি৷ নিধির সামনে দাঁড়িয়ে বিদায় বলার সাহস হয়নি আমার৷"
আমি নিধির সামনের সোফাটাতে গিয়ে বসি৷ চোখ দু'টো লাল হয়ে আছে মেয়েটার৷ ইরাকে কাছে ডাকে নিধি৷ ফিসফিস করে কানে কি যেন বলেছে আমার শোনা হয়নি৷ ছোট্ট ইরা বাধ্য মেয়ের মতো সরে পরে৷
-শুভ্র!
গম্ভীর গলায় বলল নিধি৷
-হু
-এদিকে তাকা৷"
আমি শান্ত দৃষ্টিতে নিধির দিকে তাকায়৷
-মিথ্যে বলেছিলি কেন সেদিন?"
নিধির সাথে আমার বছর দুয়েক আগে দেখা হয়েছিল একবার৷ আমাকে পেয়ে যেন পুরো পৃথিবীর রাজত্ব পেয়ে বসেছিল মেয়েটা৷ খানিক বাদে যখন বলেছিলাম,
"আমার ছোট্ট পরীর মতো মেয়ে আছে একটা৷"
নিধির চোখে বিষণ্ণতা দেখেছিলাম৷ আর বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারিনি আমি৷ একরকম পালিয়ে চলে এসেছিলাম৷"
-শুভ্র জবাবটা দিবি?"
আমার প্রতুত্যর না পেয়ে আবার বলল নিধি৷
-মিথ্যে বলিনি৷ নীরু আপার মেয়ে মানেই তো আমার মেয়ে৷ তুইতো জানিস নীরু আপা আমাকে কি পরিমাণ মায়া-মমতা দিয়ে বড় করেছে৷
আমি প্রচন্ডরকমের ভালোবাসতাম৷ জানিস! ইরার মাঝে আমি নীরু আপাকে খুঁজে পাই৷ ইরার যখন আমি আদর-যত্ন করি৷ আমি নীরু আপাকে অনুভব করি৷
ঝুম বৃষ্টির একটা সকালে নীরু আপা আমাকে ভাই বলে ডেকেছিল৷ গায়ে চাদর জড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিল৷
তেমনি একটা সকালে নীরু আপার কাছে ডাক পরে আমার৷ আমার নাদুস নুদুস চেহারার আপাটা কে দেখে সেদিন আমার মনের আকাশটাতে বজ্রপাত হয়েছিল৷ ভয়ংকর রকমের বজ্রপাত৷
কঙ্কালসার শরীরটাতে বিন্দুমাত্র শক্তি ছিল না আমার বোনটার৷ যে মানুষটার হাত ধরে ঘর ছেড়েছিল৷
সেই মানুষটায় জীবনের মাঝরাস্তায় হাত ছেড়ে পালিয়েছিল৷ শেষ স্মৃতি ছিল ছোট্ট ইরাটা৷
নীরু আপার কোল থেকে আমি ছোট্ট ইরাকে কোলে তুলেছিলাম৷ নীরু আপা আমার খোচাখোচা দাড়িতে হাত বুলিয়ে বলেছিল,
আমার ভাইটা বড় হয়েছে খুব৷ আমি জানি আমার শেষ স্মৃতিটাকে তুই সামলে রাখবি৷"
আমার ইচ্ছে ছিল, ইরার সাথে নীরু আপাকেও নিয়ে আসবো৷ আপা আসেনি৷
তার দিনকয়েক পর আমার নীরু আপাটা চিরতরে ঘুমিয়ে গেল৷"
আমি হারানোর ব্যাথাটা বারবার পেয়েছি নিধি৷ কিন্তু প্রত্যেকবারই কেউ না কেউ এসে পূরণ করে দিয়েছে সেটা৷
মা-বাবার বদলে নীরু আপাকে পেয়েছিলাম৷ নীরু আপার বদলে ইরা৷ খুব একটা খারাপ নেই আমি৷ ছোট্ট মেয়েটাও আমাকে ভালো রাখে৷
জানিস?
গত দু'বছর ধরে ফুফী আমাকে বিয়ে দিতে উঠে পরে লেগেছে৷ যা পাত্রী দেখেছে৷ তারা কেউ ইরাকে মেনে নিবেনা৷
আমার ভালোই লাগে৷ ইরা যখন কথা বলতে শিখলো৷ ফুফী আমাকে ইরার সামনে মামানি বলে পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করতো৷ কিন্তু আমি বরাবরই "বাবাই" ডাকা শিখিয়েছি মেয়েটাকে৷"
আমি নিধির দিকে তাকালাম৷ মেয়েটার মুখ বেয়ে জল গড়িয়ে পরছে৷ অনুভব করি, আমার চোখটাও ভিজে এসেছে৷
নিধি গুটি পায়ে হেঁটে আমার পাশে বসে৷ আমার হাতটা তার দু'হাতের মাঝখানে রেখে বলল,
-আমার না ইরার মাম্মাম হওয়ার খুব শখ জেগেছে! পূরণ করবি?"
আমি উত্তর দিই না৷
"পিচ্চিটা মাম্মাম ডেকেছে বুঝলি৷ এবার তার বাবাইকে পটাতে পারলেই হলো৷ ইরার বাবাই কি রাজি?"
আমার ভেতরটা খুশিতে ভরে উঠে৷ তবুও উত্তর দিই না আমি৷ নিধি রাগ করে একটু৷ মেকি রাগ৷ আমার পাশ থেকে উঠে বলল,
রাজি না হলে ঘরছাড়া করবো আজকে৷ আর বিরিয়ানী রেঁধেছি৷ সেটাও পাবি বলে মনে হয় না৷"
উল্টো হেঁটে রুমের দিকে পা বাড়ায় নিধি৷
আমি হালকা চিৎকার দিয়ে বলি,
ইরার বাবাই ও রাজি কিন্তু৷"
সমাপ্ত