কিন্তু পরদিন সকালে খেয়াল করলাম আমার শরীরটা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে।সারা শরীরে ক্ষত হয়ে গেছে।তলপেটে প্রচুর ব্যাথা হচ্ছে।উঠতে পারছি না ঠিক করে।কোন রকমে উঠে দেখি বদমাইশ লোকটা আমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছে আর আমাকে বলল
---হারামজাদী এই নে খা।খেয়ে রেডি হ।কাস্টমার আসবে দুইটা। খুশি করতে না পারলে খবর আছে।বেশি চিল্লাবি তো মাইরা তোরে ফাটাইয়া দিমু।
---দয়াকরে আপনি আর আমাকে কষ্ট দিবেন না।আমি আপনার পায়ে পড়ি।আমার শরীর ভালো না।আমি অসুস্থ এতটা কষ্ট আমাকে দিবেন না।আপনার মেয়ে হলে কি পারতেন এমন করতে।আপনি আমার বাবার বয়সী। এরকম করবেন না।
---পুরুষ মানুষ, পুরুষ মানুষেই হয় রে।ওরা বাবা,স্বামী কিচ্ছু হয় না।তাড়াতড়ি রেডি হ।
পেটে তখন প্রচন্ড ক্ষুদা ছিল।কোন রকমে খেয়ে নিলাম।তার কিছুক্ষণ পর একের পর এক লোক আসতে থাকল আর আমার ক্ষত শরীরটাকে আরও খুবলে খুবলে খেল।সেদিন মনে হয়েছিল আমি একটা তাজা মংসপিন্ড যেটাকে খাওয়ার জন্য অনেক গুলা হায়েনা প্রতিযোগিতা লেগেছে।সেদিন আমার চিৎকার কেউ শোনে নি।ব্যাথায় যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিলাম কেউ শাত্ননা দেয় নি।কখন যে অসুস্থ হলাম খেয়াল নেই।কোন রকমে কয়েকটা ব্যাথা কমার ঔষধ এনে দিয়েছিল তা খেয়ে একটু সুস্থ হলাম।
কিন্তু অসহ্য যন্ত্রণা সহ্যের পর লোকটা কয়েকদিন পর আমাকে একটা গলিতে নিয়ে গেল।খেয়াল করলাম সেখানে আমার মত আরও অনেক মেয়ে সেজেগুজে দাড়িঁয়ে আছে।একে একে পুরুষ আসছে যাকে পাচ্ছে তাকে নিয়ে রুমে ডুকছে।বুঝতে আর বাকি রইল না এটা পতিতা পল্লী।আমাকে নিয়ে গেলো একটা মহিলার কাছে মহিলার নাম ডায়না।মহিলাটা আমার দিকে তাকিয়ে দেখে লোকটাকে বলল
---হালা এ মালরে এ হাল করলি কেন।এত চাপ দিছিস কেন এ মাল রে।সারা শরীরে দাগ করে ফেলছিস এর পিছনে এখন আমাকে টাকা ভাঙ্গতে হবে।এ মালের জন্য ৩০ হাজারের উপর এক টাকাও দিতে পারুম না।মালডার কি হাল করছিস দেখছিস?
---ডায়না জি।সবে মাত্র ১৪ বছর বয়স।আর ৫ হাজার বাড়াইয়া দেন।ঠকবেন না নিলে আর ভালো সার্ভিস দেয়।সেই মাল।
অবশেষে দর কষাকষি করে আমাকে ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হল।আমি ডায়না আন্টির পায়ে আচরে পড়লাম আমাকে ছেড়ে দিতে, দেয় নি।কেন দিবেন।উনি তো পতিতা পল্লীর সর্দারনী।আমাকে এত টাকা দিয়ে কিনেছেন ব্যাবস্যার জন্য।আমার দায়িত্ব দেওয়া হল সোবাহ কে যাতে আমাকে সব বুঝিয়ে দেওয়া হয়।সোবাহ আমাকে সব বুঝিয়ে দিল।কিভাবে কাস্টমারকে খুশি করতে হয়।সোবাহ এর পায়ে ধরলাম আমাকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।কিন্তু সে ও তো এক ঘাটের মাঝি।আমারি মত ভুক্তভোগী।সে তো প্রেম করে এক ছেলেকে বিশ্বাস করে এসেছিল।আর সে ছেলে সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে বিক্রি করে চলে গেছে।
এভাবেই অসহনীয় যন্ত্রণাগুলো মেনে নিতে হয়েছিল।দেখতে দেখতে ২ টা বছর পার হয়ে গেল।আমি ডালিয়া থেকে হয়ে গেলাম ডেইজি।কাস্টমারকে কিভাবে খুশি করে টাকা বাড়িয়ে নিতে হয় সব শিখে গেছি।সে সাথে জেনে গিয়েছি পুরুষ মানুষের রূপ গুলা।সত্যিই পুরুষ মানুষ, পুরুষ মানুষেই হয় ওরা বাবা, ভাই কিচ্ছু হয় না।এখানে আসে না এমন কোন স্তরের লোক বাকি নেই।উচু নিচু সব স্তরের লোকেই এখানে আসে।এখানের মেয়ে গুলােকে তারা মংসপিন্ড ভাবে আর খুবলে খুবলে খায়।
এখন আমি এখানের সবচেয়ে ফেমাস।বাবুরা তো আমার জন্য পাগল।কথাগুলো বলে ডালিয়া হসছিল।আর আমি তার মুখ থেকে কথাগুলো শোনে থমকে গিয়েছিলাম।কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।মানুষের জীবনে এত কষ্ট ও থাকতে পারে জানা ছিলনা।ডালিয়া ওরফে ডেইজি মেয়েটা কথা গুলো বলে খল খল করে হাসলেও তার হাসির পিছনে একটা চাপা কষ্ট ছিল তা ঠিকেই বুঝতে পেরেছিলাম।
কিন্তু এর কিছুদিন পরেই ডালিয়ার জীবনে একটা ঘটনা ঘটে।ডালিয়ার পেটে বাচ্চা আসে।সাধারণত পতিতাদের বাচ্চাগুলোকে মাঝে মাঝে রেখে দেওয়া হয় মেয়ে জন্মানোর আশায়।ডালিয়ার বাচ্চাটাও তার অনুরোধে ডায়না রাখতে দেয়।কিন্তু ডালিয়ার এর মধ্যে কাজ বন্ধ।তাই সবকিছুতেই জামেলা হচ্ছিল।তার উপর তিন মাসের বাচ্চা পেটে।এর মধ্যে ও কয়েকটা কাস্টমারকে তার খুশি করতে হয়েছে।সেদিন খানিকটা অসুস্থ ছিল।তাই ডায়না তাকে কাজ করতে নিষেধ করে।কিন্তু হুট করে ডায়নার কাছে একটা ভদ্রলোক আসে আর ভদ্রলোকের নাম অরণ্য।অরণ্যকে নিয়ে আসে তারেই পরিচিত একজন।অরণ্যকে দেখে ডায়না বলল
---বাবু আসুন আপনি মনে হয় এখানে নতুন।বলুন কোন মাল পছন্দ আপনার।পছন্দ হলে আমাকে জানান।
অরণ্য চারপাশ ঘুরে হঠাৎ রুমের এক কোণে বসা ডালিয়াকে দেখতে পেল।অরণ্য ডালিয়াকে ইঙ্গিত করে বলল
---আমার ঐ মেয়েটাকে চাই।
---ডেইজিকে?কিন্তু বাবু ঐ মেয়েটা তো পোয়াতি আর অসুস্থ।আজকে ওকে ছেড়ে দিন।
---যত টাকা লাগে ততই দিব আমার ঐ মেয়েটাকেই চাই।আর ওকে আমার সাথে নিয়ে যাব।এক লাখ দুই লাখ কত লাগবে বলুন
ডায়না এত টাকার কথা শোনে চমকে গেল।।মনে মনে ভাবল।নিয়ে যা ইচ্ছা করুক। পোয়াতি মেয়ে এমনেই ইনকাম কম।এর থেকে কিছুদিন এর জন্য বেচে দেই এটাই ভালো হবে।
--আচ্ছা বাবু তিন লাখ দিলেই চলবে।তবে এক বছরের বেশি রাখতে পারবেন না।আর জেনে শোনে পোয়াতি নিচ্ছেন সার্ভিস খারাপ দিলে বদনাম করতে পারবেন না।
---সে নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।এ নিন চেক।আর আমাকে আমার মাল বুঝিয়ে দিন।
ডায়না ডালিয়াকে এনে অরণ্যের হাতে তুলে দিল।আর ডালিয়াকে বলল বাবু তোকে ১ বছরের জন্য কিনেছে।বাবুর বাড়িতেই থাকবি।আর বাবু যা বলে তাই করবি
।তুই পোয়াতি এটা জেনেই বাবু তোকে নিয়েছে।বাবুকে খুশি রাখবি।এ বলে অরণ্যের হাতে ডালিয়াকে তুলে দিল।
অরণ্য ডালিয়াকে নিয়ে বাসায় গেল।ডালিয়া বুঝতে পারল না তার মত পোয়াতিকে কিনে লোকটার কি লাভ।ডালিয়া ঘরে ডোকার পর খেয়াল করল ঘরটা বেশ সাজানো গোছানো।লোকটার বয়স ও বেশি না এই তো ৩৫ -৩৭ হবে।দেখতেও বেশ সুন্দর।আর বুঝায় যাচ্ছে অনেক টাকার মালিক।আর দেয়ালে একটা লিখা দেখে ডালিয়া থমকে যায়।দেয়ালে লিখা ছিল পৃথীবীর সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ হল মেয়ে মানুষ।এমনটা লিখার কারন ডালিয়া বুঝতে পারল না।ডালিয়া ঘরে ঢোকার সাথে সাথে অরণ্য ডালিয়ার হাতটা ধরে আছরে ফেলে দেয়।আর বলল
--- আজকে থেকে আমি যা বলব তুই তাই করবি।আমার কথার নড়চড় হলে শেষ করে দিব।মেয়ে মানুষকে আমি সবচেয়ে বেশি ঘৃনা করি।দুনিয়ার যত মেয়ের জাত আছে সব মেয়েকে আমি ঘৃনা করি।তুই যদি আমার কথার বাইরে নড়িস তোর খবর আছে।তোকে আমি শারিরীকভাবে পাবার জন্য এখানে আনি নাই।তোকে এনেছি যখন কোন মেয়ের প্রতি আমার গৃণা জন্মাবে তখন তোকে একটা করে শাস্তি দিয়ে আমার রাগ মিটাবো।
---সে আপনি যায় করুন অরণ্য বাবু আজকে আমাকে একটু বিশ্রাম নিতে নিন।শরীরটা খুব খারাপ কালকে থেকে আমি আপনার সব কথা মেনে চলব।আমি পোয়াতি আপনি তো জানেনেই।
---নাহ।এখন কোন বিশ্রাম নাই তোর জন্য।আমার গা হাত পা টিপ।আমার কথার বাইরে গেলে তোর খবর আছে।
ডালিয়া শান্ত স্বরে চুপ করে বসে হাত, পা টিপতে লাগল।ক্লান্ত শরীর যেন আর কিছুই মানছে না।মনে হচ্ছে একটু চোখ বুজতে পারলে ডালিয়ার ভালো লাগত।এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ডালিয়া অরণ্যের পায়ের উপর ঘুমিয়ে গেল খেয়ালেই করে নি।হঠাৎ অরণ্য ডালিয়াকে এভাবে দেখে রেগেমেগে আগুন হয়ে যায়।জোরে ডালিয়ার পেট বরাবর একটা লাথি মারে।আর ডালিয়া খাট থেকে ফ্লোরে পড়ে যায়।সাথে সাথে ফ্লোরটা রক্তে মেখে যায়।ডালিয়ার বাচ্চাটা মিসক্যারেজ হয়ে যায়।আর ডালিয়া কাতরাতে থাকে যন্ত্রণায় আর বলে
---প্লিজ অরণ্য বাবু আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান না হয় আমার বাচ্চাটা মরে যাবে।এতটা নির্দয় হবেন না।এ বাচ্চাটা আমার কাছে অনেক কিছু।জীবনে প্রথম মা হয়েছি।অনেক কষ্ট পেয়েছি বাচ্চা হারানোর কষ্টটা আমাকে আর দিবেন না।আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
---হারামজাদী আমি নিয়ে যাব তোকে ডাক্তারের কাছে।আমি নিজেই একজন প্রাক্তন ডাক্তার। কিন্তু ডাক্তারি ছাড়তে হয়েছে তোদের মত নষ্টা মেয়ে মানুষের জন্য।হারামজাদী তোর বাচ্চাটা শেষ হলে তো তুই কষ্ট পাবি অনেক তাই না?
---হ্যা অরণ্যবাবু অনেক কষ্ট পাব।দয়াকরে আমার একটা ব্যাবস্থা করুন।আমার বাচ্চাটাকে বাঁচান।
---হাহাহা।তোর এ কষ্টটায় আমি উপভোগ করব।তুই কাদঁ আমি তোকে দেখি।এক ঘন্টা পর তোর বাচ্চা পুরোপুরি নষ্ট হলে তোর চিকিৎসা করব এর আগে না।হাাহাহা
ডালিয়া মেঝেতে কাতরাতে লাগল।ভাবল আর কত দুঃখ তার কপালে লিখা আছে।আর কত কষ্ট পাবে সে।শেষ পর্যন্ত নিজের বাচ্চা হারানোর যন্ত্রণাও পেতে হল।পেটের ব্যাথায় ডালিয়া চিৎকার করতে লাগল।কিন্তু সে কান্না শোনে অরণ্য শুধু হাসতে লাগল।১ ঘন্টা পর ডালিয়া নিস্তেজ হয়ে পড়ল।রক্তে সারা শরীর আর মেঝে মেখে গেল।ডালিয়া সেন্সলেস হয়ে গেল।
ডালিয়ার সেন্স ফিরার পর ডালিয়া খেয়াল করল ডালিয়ার হাতে সেলাইন দেওয়া।জেগে উঠার সাথে সাথে অরণ্য বলে উঠল
একটু মন দিয়ে পড়ুন--
পরবর্তী অংশ অর্থাৎ সবগুলো পর্ব এই I'd তে দেয়া হবে, পুরো গল্পটি পড়তে রিকুয়েস্ট দিয়ে সাথেই থাকুন। আর যারা ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা! ভালো ভালো গল্প পেতে এই আইডির সাথেই থাকুন!
ধন্যবাদ।
---চিন্তা করে লাভ নেই তোর বাচ্চা আর নেই।তোর বাচ্চাটা শেষ।তোর বাচ্চাটা মারা গেছে।তোকে কষ্ট দিতে পেরে কি যে আনন্দ হচ্ছে কি বলব।ইশ ডেইজির বুঝি খুব কষ্ট হচ্ছে।
---আপনি আমাকে কেন কিনে এনেছেন বলবেন?
---বললাম তো তোকে মানসিক যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য।তোকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে শেষ করে দিব।
---আমাকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে আপনার লাভ?
---লাভ, ক্ষতি কিচ্ছু জানি না।এতে আমার শান্তি।
---কিন্তু কেন?
---কারন মেয়ে মানুষকে আমি ঘৃণা করি।মেয়ে মানুষকে কষ্ট দিতে পারলে আমি শান্তি পায়।তাই তোকে একের পর এক মানসিক কষ্ট দিব আর আমি মানসিক শান্তি নিব।হাহাহাহা।এবার খেয়ে নে।১৫ দিন তোকে কিছু করব না।যা করার ১৫ দিন পর করব।
ডালিয়া অরণ্যের কথা শোনে অবাক না হয়ে পারল না।ডালিয়া বুঝতে পারল না অরণ্যবাবুর মনে মেয়েদের প্রতি এত ঘৃনা কেন।আর ডালিয়াকে মেরে সে কি শান্তি পাবে।এসব ভাবতে ভাবতে ডালিয়া অস্থির হয়ে গেল।ডালিয়া বুঝতে পারল তার জীবনে সুখ শব্দটা আর নেই।ভেবেছিল অরণ্য বাবু হয়ত বুঝবে।কিন্তু পুরুষ মানুষ যে সব এক সেটা আবার প্রমাণিত হল।বাচ্চাটার কথা ভেবে ডালিয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল।আচমকা সে জোরে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল।আর ডালিয়ার কান্না শোনে অরণ্য হাসতে লাগল।অরণ্যের হাসি শোনে যেন ডালিয়ার আরও বুক ফেটে কান্না আসল।
১৫ দিন অরণ্য ডালিয়ার আশে পাশেও আসে নি।খাবার গুলা শধু কাজের লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে।এর মধ্যে ডালিয়া একটু সুস্থ হল।হাঁটতে চলতে পারছে।আচমকা ডালিয়া হাঁটতে গিয়ে সাবান পানিতে পিছলে পড়ল।ডালিয়ার মনে হল এবার কলিজাটা বের হয়ে গেল।ডালিয়া পড়ে ছটফট করতে লাগল।বুঝতে পারল না সাবানের পানিটা কে রাখল এখানে। হঠাৎ অরণ্য হাসতে হাসতে বলল
---ডার্লিং ব্যাথা পেয়েছ?সাবানের পানিটা আমি ঢেলেছি।যাতে তুমি পড়ে গিয়ে এভাবে ছটফট করতে পার আর আমি হাসতে পারি। হাহা।
---আপনি কেন আমার সাথে এমন করছেন?
---বলেছি তো মেয়ে মানুষ আমার সহ্য হয় না।তোকে কষ্ট দিতে পারলে আমার শান্তি লাগে।হাহাহা
ডালিয়া কোনরকমে মেঝে থেকে উঠে বিছানায় গেল।ডালিয়ার আজকে বুক ফেটে কান্না আসল আর কত কষ্ট তাকে পেতে হবে।আর কত কষ্ট তার কপালে লিখা আছে।এ কোন নরকে এসে সে পড়ল।ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেল।পরদিন সকালে ডালিয়া অরণ্যকে দেখে চমকে গেল কারণ..
চলবে....?