সকাল সকাল তিনটা মেয়ে দৌড়ে এসে,
মেয়ে - ভাইয়া তারা তারি তিন প্লেট ফুচকা দাও তো!.
আমি - আপা একটু বসেন বানিয়ে দিচ্ছি...!
.
মেয়ে - কি হলো,তোমাকে বললাম না তারা তারি দিতে, আমাদের ক্লাস আছে,দিলে দাও না দিলে চলে যাই,
আমি - আপা আর একটু,
বলেই তারা তারি বানাতে শুরু করলাম,
মেয়ে - ছোট লোক গুলোর পরিচয় এমন,কথা বললে কানে যায় না,
।
একটা মেয়ে বাকি দুইটা মেয়ে কে বলল আমায় মিন করে,আমি কথা শুনেও না শুনার মতো আছি,হয়তো আমাদের মতো গরীবদের জীবন এটাই,তাই তারা তারি ফুচকা বানিয়ে দিলাম।
.
আমি - এই নেন আপা,
বলে তিন প্লেট ফুচকা তিনটা মেয়ে কে দিলাম।
মেয়ে গুলো দেখতে সুন্দর হলেও মনের দিক থেকে অহংকারি,বড়লোক বলে গরীব মানুষের ভালোবাসতে পারে না,হয়তো ধনী গরীব এর মাঝে এটাই তফাৎ, যাই হোক আমি আমার কাজে মন দিলাম।
.
মেয়ে - এই নেন টাকা,
বলে একটা ৫০০ টাকার নোট এগিয়ে দিলো,
আমি - আপা এটার ভাংতি হবে না,খুচরো টাকা দিলে ভালো হতো।
মেয়ে - না আমাদর কাছে খুজরো টাকা নেই।
আমি - আপা তাহলে পরে দিয়েন।
.
তার পর মেয়ে গুলো চলে গেলো,
সকাল সকাল মনটাই খারাপ হয়ে গেলো, কি আর করার গরীব হলে যা হয়,বলে দোকান করতে লাগলাম।
.
বিকালে,
এই যে শুনো,
আমি - হুমম আপা বসেন ফুচকা দিচ্ছি..!
মেয়ে - না এখন খাবো না। সকালের টাকা টা দিতে আসলাম।
বলেই মেয়েটা টাকা দিয়ে চলে গেলো,
আর আমি আমার দোকান করতে লাগলাম,
.
রাতে বাসায় এসে খাবার খেলাম,
আজ শরীরটা ভালো লাগছে না,তাই পরতে বসবো না,বলেই ঘুমিয়ে পরলাম।ও হ্যা আমি পলাশ,ইন্টার ১ম বর্ষে পড়ি, নিজের পরিবার কে সহযোগিতা করার জন্য ফুচকা বিক্রি করি।
.
পরের দিন..........
।
আজ ঘুমটা অনেক ভালো হয়েছে তাই মনটাও ভালো, আমাদের মতো গরীবদের তিন বেলা খাওয়া আর রাতটা একটু শান্তিতে ঘুমালেই আমাদের সুখ,
.
দোকানে আসতে না আসতেই সেই মেয়েটা একাই এদিকেই আসছে।
.
মেয়ে - এক প্লেট ফুচকা দাও।
আমি - এই নেন আপা। বলে ফুচকা দিলাম।
মেয়ে - এই যে শুনো।
আমি - জ্বী আপা বলেন।
মেয়ে - তোমার এখানের ফুচকা অনেক ভালো লাগে।
আমি - ধন্যবাদ।।
।
যাক ভালোই লাগলো, শকুনের মুখে প্রশংসা শুনে, মেয়েটি ফুচকা খেয়ে টাকা দিবে কিন্তু না মেয়েটিকে অনেক চিন্তিত লাগছে।
.
আমি - আপা কোনো সমস্যা।
মেয়ে - আসলে ভুল করে টাকার পাস টা কোথায় যেন ফেলে এসেছি, এখন তোমায় টাকা দিবো কি ভাবে।
আমি - ওহহ,আচ্ছা আজ তো টাকা নেই,অন্য একদিন দিয়েন।
মেয়ে - ধন্যবাদ।। বলে চলে গেলো।
।
আর আমি আমার কাজ করছি,
আর ভাবছি হায়রে বড়লোক টাকার জন্যই তোদের এত অহংকার আর আজ টাকার জন্যই আমার মতো গরীবের কাছে ছোট হইলি, বলে দোকান করতো লাগলাম।
.
পরের দিন..........
।
মেয়েটা আজ যেন একটু হাসি মাখা মুখ নিয়েই আমার দিকে আসছে।
মেয়ে -এক প্লেট ফুচকা দাও।
আমি - ফুচকা খেতে দিয়ে বসে আছি।
দোকানে তেমন কাজ নেই আর কাস্টমার ও নেই।তাই বসে বসে মেয়েটির ফুচকা খাওয়া দেখছি, ফুচকা গুলো যেন চোখ বন্ধ করে তৃপ্তি করে খাচ্ছে।আমার এবার হাসি পাচ্ছে মেয়েটির ফুচকা খাওয়া দেখে।
.
মেয়ে - ওই তুমি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছো কেন?..
আমি - না মানে আপা আপনার ফুচকা খাওয়া দেখে হাসি পাচ্ছে.!
মেয়ে - এতে হাসির কি হলো?..
আমি - কিছু না,বলে কাজ করতে লাগলাম।
মেয়ে - আচ্ছা তোমার নাম কি?..
আমি অবাক হলাম মেয়েটির কথায়।মেয়েটি আমার নাম দিয়ে কি করবে।
মেয়ে - কি হলো?..
আমি - আবির.
মেয়ে - আমি প্রিয়া।ক্লাস ফাস্ট টেন এ পড়ি,
আচ্ছা তুমি পড়ালেখা না করে এই বয়সে ফুচকা বিক্রি করো কেন?..
আমি - আপা গরীব দের ভাগ্য এটাই,আর আমি ইন্টার ১বর্ষে পড়ি।
প্রিয়া - কি আপনি ইন্টারে পড়েন?
↓
↓
↓
#চলবে_কি??....🥘🥘🥧🥧
↓
[গল্প পড়ে ভালো লাগলে প্লিজ গঠনমূলক মন্তব্ব করবেন সবাই।
আর প্লিজ সবাই ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।সবার জন্য ভালোবাসা অভিরাম।]💚❤️