রিয়াদঃ পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম হে রিয়া জেগে আছে।আমার তো এখনি হাত পা কাপতে শুরু করে দিয়েছে ভয়ের কারনে।যদি রিয়া সত্যি টা আবির ভাইয়া কে বলে দেয়,তাহলে তো আমার খবর আছে😰😰😰দেখলাম আবির ভাইয়া রিয়ার পাশে গিয়ে বসলো।
আবিরঃ রিয়া তোমার কি হয়েছিলো।তোমার হাতে বেন্ডেজ কেনো?( রিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)
রিয়াঃ উনার দিকে একবার তাকালাম।উনাকে দেখে মনে হচ্ছে খুব ভয় পেয়ে আছেন।হয়তো আমি সব কিছু আবির ভাইয়া কে বলে দিবো এটার জন্যই ভয় পাচ্ছে।
রিয়াদঃ রিয়া আমার দিকে একবার তাকালো।তারপর বলতে শুরু করলো।
রিয়াঃ তেমন কিছু না ভাইয়া বাড়ি থেকে আসার সময় আমি একটা গাড়ির সাথা ধাক্কা খেয়েছিলাম।আর তখনি গাড়ির দরজার সাথে আমার হাত টা লেগে কেটে গেছে।
আবির ঃ গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছো মানে।কি রে রিয়াদ তুই রিয়াকে একটু দেখে রাখতে পারিস নি।তুই থাকতে ও কিভাবে গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়।
রিয়াদঃ আসলে( মাথা নিচু করে)
রিয়াঃ উনার কোনো দোষ নেই, উনি আমাকে রাস্তার ওপরে উঠতে না করেছিলেন।আমিই উনার কথা না শুনে রাস্তার ওপরে উঠেছিলাম।আর তখনি একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা খাই।
মাঃ ও । তুমি একটু দেখে চলতে পারো না রিয়া।এখন যদি হাত টা না কেটে বড় কিছু হয়ে যেতো।
ভাবিঃ মা এখন এসব কথা বাদ দিন। মেয়ে টা এখন অসুস্থ। ওর এখন বিশ্রামের প্রয়োজন।তাই আমরা সবাই বাহিরে যাই। রিয়া তুমি বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নেও কেমন?
রিয়াঃ হুম।।।
ভাইয়া,ভাবি,মা তিন জন চলে গেলেন।আমি যেনো একটা সস্থির নিশ্বাস ফেললাম।যাক রিয়া ভাইয়া কে কিছু বলে নি।খুব বড় বাচা বেচে গেলাম।
রিয়ার পাশে গিয়ে বসলাম।আমাকে ওর পাশে বসতে দেখা মাএই ও মুখ টা অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিলো।
এটা দেখে আমি ও ওর মুখ টা আমার দিকে ঘুরালাম।ও এখনো আমার দিকে না তাকিয়ে চোখ টা নিচের দিকে নামিয়ে রেখেছে।
রিয়াদঃ ধন্যবাদ ভাইয়া কে কিছু না বলার জন্য।
রিয়াঃ চুপ🤫🤫🤫
রিয়াদঃ রিয়া প্লিজ কথা বলো।তোমার এভাবে চুপ করে থাকাটা আমার আর সহ্য হচ্ছে না।কাল না হলে ও তোমার কাছে হাজার বার ক্ষমা চেয়েছি।তবু ও তুমি আমাকে মাফ করো নি।
হে আমি মানলাম যে আমি তোমার সাথে অনেক অন্যায় করেছি।তোমাকে বিয়ে করার জন্য তোমার পরিবার কে ব্যবহার করেছি।কিন্তু সেটা আমি রাগের মাথায় করেছি।তুমি বিশ্বাস করো তোমার সাথে এতো দিন আমি যা যা করেছি সব কিছুর জন্য আমি খুবি লজ্জিত।তুমি দয়া করে আমাকে মাফ করে দেও রিয়া।আর হে আমাকে কিছু দিন সময় দেও,আমি তোমার বাবার সব কিছু আবার ফিরিয়ে দিবো।( বিনয়ের শুরে😞😞😞)
রিয়াঃ আমার সাথে উনি যা করেছেন তা অন্য আরেক টা মেয়ের সাথে করলে। ঐ মেয়েটা উনাকে মাফ করতো কিনা জানি না। তবে কেনো জানি আমার মনে হচ্ছে এবারের মতো উনাকে মাফ করে দেই। যতই হক উনি তো আমার স্বামি। তাছাড়া কাল থেকে লোক টা আমার কতো সেবা করলো। তারওপর উনি হাজারবার এর বেশি মাফ ও চাইলেন।হয়তো উনি আবার আমার আগের রিয়াদ হয়ে গেছে।( মনে মনে কথা গুলো বললাম)
রিয়াদঃ কি হলো রিয়া কিছু তো বলো।তুমি আমাকে আর একটা বার সুধু সুযোগ দেও।দেখবে এবার থেকে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসবো।কখনো তোমাকে কষ্ট দিবো না।দয়া করে এবারের মতো আমাকে মাফ করে দেও।
আমি তোমার পায়ে ধরছি তবুও প্লিজ আমাকে মাফ করে দেও।( বলে যেই ওর পা টা ধরতে যাবো।ও পা টা সরিয়ে ফেললো।)
রিয়াঃহয়েছে পা ধরতে হবে না।এবারের মতো আপনাকে মাফ করে দিলাম( কড়া গলায়)
রিয়াদঃ সত্যি। ( এতো টাই খুশি হয়েছি যে খুশির কারনে ওকে জরিয়ে ধরলাম😊😊😊)
রিয়াঃ আমি মাফ করে দিয়েছি তারমানে এই নয় যে আপনাকে জরিয়ে ও ধরতে বলেছি( রাগি গলায়)😡😡😡
রিয়ার মুখে এই কথা টা শুনে সত্যি খুব ভয় পেয়ে গেলাম।সাথে সাথে ওকে ছেড়ে কিছু টা দূরে সরে বসলাম।
রিয়াদঃ সরি আর এরকম ভুল হবে না( মাথা নিচু করে বসে রইলাম😞😞)
রিয়াঃ উনার এরকম অবস্থা দেখে খুবি হাসি পাচ্ছে। আমার কথায় ভয় পেয়ে কিরকম ছোট বাচ্চার মতো গাল ফুলিয়ে বসে আছেন(😂😂😂)
খুব কষ্ট হচ্ছে বিছানা থেকে উঠতে।তবুও অনেক টা কষ্ট করে উঠে বসলাম।তারপর উনার কাছে গিয়ে উনাকে জরিয়ে ধরলাম।
রিয়াঃ আপনি এতো বোকা কেনো বলুন তো।আমি মানা করলেই কি আপনি আমাকে জরিয়ে ধরবেন না।আমি আপনার বউ হই।আর বউ কে জরিয়ে ধরতে কারো পারমিশন লাগে না বুঝলেন।( বলে আরো জোরে জরিয়ে ধরলাম)
রিয়াদঃ হুম( রিয়া কে আলতো করে জরিয়ে ধরে।কারন জোরে জরিয়ে ধরলে যদি বেথা পায়।)
এভাবে প্রায় তিন মাস চলে গেলো।এখন আমি আর উনি দুজনেই খুব আনন্দেই আছি।দিনে বেলা উনি অফিসে থাকায় উনাকে তেমন দেখতে পারি না সুধু লান্চ টাইম টা বাদে।তবে ঘন্টায় ঘন্টায় উনাকে ফোন করে খোজ নেই।উনার সেই রোমান্টিক অত্যাচার এখনো আমার উপর জারি আছে।তবে সেটা রাগের জন্য নয় ভালোবাসার রোমান্টিক অত্যাচার😛😛😛
রাতের দিকে একা একা বেলকনিতে দাড়িয়ে আছি।একটু আগে দুজনেই ডিনার করে নিয়েছি।ডিনার করার পরেই উনি বাহিরে চলে গেলাম।যাওয়ার সময় বলে গেছেন জরুরি একটা কাজে যাচ্ছেন একটু পরেই ফিরে আসবে। উনি রুমে না থাকায় মন টা খারাপ।তাই বেলকনিতে এসে দাড়িয়ে আছি,আর উনার কথা ভাবছি।
এভাবে কিছু সময় পেরিয়ে গেলো।
হঠাৎ অনুভব করলাম কে যেনো আমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলেন।হাতের স্পর্শ পেয়েই বুঝে গেলাম উনি এসেছেন।
রিয়াদঃ কি বেপার জান তুমি এখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কি এমন ভাবছো যে আমি রুমে এসেছি তা খেয়াল পর্যন্ত করো নি?( রিয়ার পেটে হাত টা রেখে)
উনার ঠান্ডা হাতের স্পর্শে আমার পুরো শরীর কেপে উঠলো।💚চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসছে🙈🙈🙈
রিয়াঃ আপনার কথাই ভাবছিলাম।( আসতে করে বললাম)
রিয়াদঃ তাই( পিছনের চুল গুলো সরিয়ে ঘাড়ে চুমু দিলাম)
রিয়াঃ হুম।এই আপনি এসব কি করছেন হুম।সব সময় লুচুগিরি কিন্তু ভালো লাগে না।( রাগি গলায়😡😡😡)
রিয়াদঃ কি বললা তুমি আমি লুচু।লুচুগিরির তো কিছুই করলাম এখন পর্যন্ত।আর তুমি আমাকে লুচু বানিয়ে দিলে। ঠিক আছে কিছু না করে যখন লুচু হয়েছি। তো এখন লুচুগিরি করবোই( বলেই ওকে কোলে তুলে নিলাম)
রিয়াঃ এই আপনি,,,( কিছুই বলতে দিচ্ছে না।মুখ খুললেই উনার ঠোট দিয়ে আমার ঠোঁট চেপে ধরছেন)
রিয়াদঃরিয়াকে বিছানায় শুয়ে দিলাম।এরপর ওর হাত দুটো চেপে ধরলাম।
উনি আমাকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে আমার ঠোঁটের দিকে এগুচ্ছেন।এরকম ভাবে উনি এগুতে থাকলে যে আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারবো না।😞😞😞
রিয়াঃ প্লিজ কিস করবেন না।( বিনয়ের শুরে)
রিয়াদঃ কিস করবো না কেনো?(🤔🤔)
রিয়াঃ আপনি কিস করলে যে আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারবো না।প্লিজ এরকম করবেন না।
রিয়াদঃ তোমাকে ধরে রাখতে কে বলছে( বলেই ওর গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলাম)
রিয়াঃ কিছু বলতে যেয়ে ও কিছু বলতে পারলাম না।তার আগেই উনি আমার গলায়,গালে,ঠোঁটে পাগলের মতো চুমু খাচ্ছেন। উনার এরকম উন্মাদের মতো চুমু আমাকে ও ক্রমাগত উন্মাদ করে তুলছে।উনার প্রতিটা স্পর্শে আমি কেপে কেপে উঠছি।পারছি না আর নিজেকে ধরে রাখতে।উনাকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম।আমি ও উনাকে পাগলের মতো চুমু খেতে লাগলাম।
হারিয়ে গেলাম দুজনে ভালোবাসার সাগরে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি উনি আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন,আর আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছেন।আমি উনাকে আর ডিসটার্ব করলাম না উনি উনার কাজ করুক আর আমি আমার কাজ।উনার খোচা খোচা দাড়ি আমার খুবি ভালো লাগে।তাই আমি উনার দাড়ি গুলো নিয়ে খেলতে লাগলাম।
রিয়াঃ আচ্ছা একটা কথা বলি?
রিয়াদঃ হে বলো।
রিয়াঃ অনেকের মুখে শুনেছি বিয়ের পর নাকি স্বামীরা যত সময় যায় তত বেশি আনরোমান্টিক হয়ে যায়।কিন্তু এখানে তো দেখছি উল্টো টা আপনি যত দিন যাচ্ছে তত বেশি রোমান্টিক হচ্ছেন। 😂😂😂
রিয়াদঃ কেনো তুমি চাও না আমি সব সময় রোমান্টিক থাকি।
রিয়াঃ হুম, আমি চাই আমার বর টা সারা জীবন এমনি রোমান্টিক থাকুক। আর আমাকে এতো এতো ভালোবাসুক।( উনাকে জরিয়ে ধরে)
রিয়াদঃ ও তাই( ডেবিল স্মাইল👹👹)
রিয়াঃ হুম( উনার গালে একটা পাপ্পি দিয়ে)
রিয়াদঃ তাহলে চলো সকাল সকাল রোমান্সের আরেক টা রাউন্ড হয়ে যাক(😂😂😂😂)
উনার মুখে এই কথা টা শোনা মাএই উনাকে ছেড়ে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে গেলাম।😰😰😰
রিয়াঃ এই না।আমার এখন অনেক কাজ আছে। আপনার জন্য ব্রেকফাস্ট বানাতে হবে তো।তাছাড়া লান্চের জন্য ও তো রান্নার সব কিছু রেডি করতে হবে।😏😏😏
রিয়াদঃ তোমার এসব কিছু করতে হবে না।ধরকার হলে আমি হোটেলে খেয়ে নিবো সাথে তোমার জন্য ও খাবার নিয়ে আসবো।তুমি সুধু আমার কাছে এসো তাহলেই হবে।😂😂😂
রিয়াঃ আর একটা ও আজে বাজে কথা বলবেন না।চুপ চাপ এখনি ওয়াস রুমে যান😡😡
রিয়াদঃ হাহাহা ওকে বাবা যাচ্ছি। তবে আমি একা ওয়াস রুমে যাবো না।😂😂
রিয়াঃ একা যাবেন না মানে?😱😱😱
রিয়াদঃ মানে আমি তোমাকে সাথে নিয়েই ওয়াস রুমে যাবো।
এটা বলার সাথে সাথে ও পালাতে চাইলো।কিন্তু তার আগেই আমি ওকে ধরে ফেললাম আর জোর করে ওয়াস রুমে নিয়ে দরজা লোক করে দিলাম😂😂😂😂
follow me and see fast
রোমান্টিক অত্যাচার
#session 2
#লেখকঃমোঃশামীম__মাহমুদ
#Part:22
এটা বলার সাথে সাথে ও পালাতে চাইলো।কিন্তু তার আগেই আমি ওকে ধরে ফেললাম আর জোর করে ওয়াস রুমে নিয়ে দরজা লোক করে দিলাম।😂😂😂😂
এবার দেখি কি ভাবে পালাও।( রিয়া হাত দুটো চেপে ধরে😁😁)দেখলাম ও ভয়ে কারনে কিছু টা কাপছে।যার ফলে ওর লাল টুকটুকে ঠোঁট দুটো ও কাপছে।
রিয়াঃ কি করছেন টা কি আপনি।প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন।এখন যে আমার অনেক কাজ পরে আছে।তারা তারি ফ্রেস হয়ে রান্না ঘরে যেতে হবে।(বিনয়ের শুরে😞😞)
রিয়াদঃ হে আমাকে ও তো ফ্রেস হয়ে অফিসে যেতে হবে।তাই ভাবলাম দুজন আলাদা আলাদা ভাবে ওয়াস রুমে ঢুকলে সময় বেশি লাগবে।তারচেয়ে ভালো দুজন এক সাথেই ফ্রেস হয়ে নেই।তাতে সময় ও বাচবে আর এই ফাকে আমরা দুজন একটু রোমান্স ও করে নিতে পারবো।😁😁😁😁
রিয়াঃ এখন উনাকে যতই বলিনা কেনো আমায় ছেড়ে দিন। উনি ছাড়বেন না,উল্টো বেশি চেচামেচি করলে উনি আমায় সারাদিন এই ওয়াস রুমেই রেখে দিবেন😰😰😰😰
তাই ভয়ে উনাকে আর কিছু বললাম না।তবে আমায় ওয়াস রুমে নিয়ে এসে উনি এতো টা দুষ্টমি করবেন তা আমি কখনো ভাবি নি।উনার এরকম দুষ্টমিতে সত্যি আমি খুব লজ্জা পাচ্ছি। উনার সাথে যত খন ওয়াস রুমে ছিলাম তত খন চোখ দুটো বন্ধ করেই ছিলাম🙈🙈🙈🙈
ওয়াস রুম থেকে ফ্রেস হয়ে দুজনেই বের হলাম।উনি রেডি হয়ে অফিসে চলে গেলেন।আর আমি রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম নাস্তা করার জন্য। উনাকে অনেক বার বললাম নাস্তা করে যেতে,কিন্তু উনি না করেই চলে গেলেন।তাই বাধ্য হয়ে উনাকে ছাড়াই নাস্তা করে নিলাম।তবে তেমন একটা কিছু খেতে পারলাম না।একটা ডিম মুখে দিতেই বমি এসে পরলো আর আমি দৌড়ে ওয়াস রুমে চলে গেলাম।কিছু দিন যাবত আমার এমন টা হচ্ছে।কিছু খেলেই বমি হচ্ছে আর মাথা ঘুরাচ্ছে।উনাকে এই বেপারে কিছু বলিনি কারন উনি সুধু সুধুই চিন্তা করবেন তাই।ওয়াস রুম থেকে এসে রুমে শুয়ে ছিলাম তখন ভাবি এসে এক প্রকার জোর করে নাস্তা করতে নিয়ে গেলো।
মা এর পা টা কয়েক দিন ধরে বেথা করছে।তাই নাস্তা করে মার রুমে চলে গেলাম।সরিষার তেল গরম করে মার পায়ে তেল মালিশ করতে থাকলাম।
মাঃ হয়েছে হয়েছে আর তেল মালিশ করতে হবে নারে মা।
রিয়াঃ এখনো কিছুই হয়নি।মা আপনি একটু চুপ করে শুয়ে থাকুন তো।আমাকে ভালো ভাবে তেল মালিশ করতে দিন।😏😏
মাঃ আচ্ছা তুমি বরং আমাকে রাতে তেল মালিশ করে দিও।এখন তো আমার ছেলেটার জন্য রান্না করতে হবে।নাহলে লান্চের সময় আমার ছেলেটা কি খাবে।
রিয়াঃ ঠিক আছে মা এখন আমি রান্না করতে যাচ্ছি। তবে রাতে কিন্তু অনেকখন তেল মালিশ করে দিবো।
মাঃ ঠিক আছে।😊😊
চলে এলাম রান্না ঘরে।উনার জন্য পায়েস রান্না করলাম।উনি যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিলেন আজ যেনো সুধু পায়েস রান্না করে উনার জন্য নিয়ে যাই।
পায়েস রান্না শেষ করে শাওয়ার নিয়ে রেডি হয়ে নিলাম।এরপর উনার পায়েস একটি টিফিন বাটিতে ভরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।অফিসে চলে এলাম।
এদিকে
মৌঃ আর কতো দিন ওয়েইট করতে হবে তুমি ঠিক করে বলোতো।?( অনেক টা রেগে😠😠)
রিয়াদঃ আমি তো আমার দিক দিয়ে পুরো পুরি চেষ্টা করছি।এখন বাকি টা আল্লাহ জানেন।
মৌঃ আচ্ছা তুমি একটা কথা বলো তো।তুমি কি,,,,,,,
ল্যান্ড লাইনের ফোন টা বেজে উঠলো।
মৌ এক মিনিট। ফোন টা রিসিভ করলাম।
রিয়াদঃ হ্যালো।
অফিস স্টাফ ঃ হ্যালো স্যার রিয়া মেডাম এসে গেছেন।উনি আপনার কেবিনের দিকেই যাচ্ছে।
রিয়াদঃ ওকে,ধন্যবাদ।
ফোন টা রেখে দিলাম।
রিয়াদঃ মৌ রিয়া লান্চ নিয়ে এসে গেছে।তুমি এখনি এই কেবিন থেকে বের হও।ও যদি তোমাকে আর আমাকে এখন এক সাথে দেখে নেয় তাহলে অনেক সমস্যা হতে পারে।
মৌঃ ঠিক আছে( কেবিন থেকে চলে আসলাম)
রিয়াঃ আপনার স্যার কি কেবিনে আছেন।( উনার নতুন পি,এ।মৌ কে আমার পছন্দ না বলে উনি মৌ কে অফিস থেকে বের করে দিয়েছেন।)
পি.এঃ জি ম্যাম স্যার উনার কেবিনেই আছেন।
রিয়াঃ ঠিক আছে,ধন্যবাদ। আর শুনুন এই টিফিন বাটি টা আবির ভাইয়া কে দিয়ে দেবেন।( আবির ভাইয়া খাবার)
পি.এঃ ওকে ম্যাম।
উনার কেবিনে চলে গেলাম।কেবিনে যেয়ে দেখি উনি চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন।
আমাকে দেখে বসা থেকে উঠে দাড়ালেন।
রিয়াদঃ খাবার নিয়ে এসে পরেছো।?
নীলাঃ হুম এসেছে গেছি।আপনি গিয়ে ফ্রেস হয়ে আসুন আমি পায়েস দিচ্ছি।
রিয়াদঃ ওকে।ফ্রেস হয়ে কেবিনে এসে দাড়িয়ে রইলাম।
রিয়াঃ কি হলো এখানে জিরাপের মতো দাড়িয়ে আছেন কেনো।হাত থেকে এখনো পানি পড়ছে। হাত টা মুছে এখানে এসে বসুন তো।
রিয়াদঃ তুমি তোমার আচল দিয়ে হাত মুছে দেও।আজ থেকে এটা নতুন রুলস।😊😊
রিয়াঃ উফ দিন দিন আপনার রুলস সুধু বাড়ছেই।কয়েক দিন আগেই রুলস বানালেন আপনাকে নাকি প্রতিদিন কোলে বসে খাইয়ে দিতে হবে।এখন আবার প্রতিদিন হাত ও মুছে দিতে হবে( আচল দিয়ে হাত মুছতে মুছতে)
এবার যান চেয়ারে যেয়ে বসুন।😠😠
রিয়াদঃ হুম(😂😂😂)
উনাকে খাইয়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম।
ভাবিঃ রিয়া এসে পরেছো।
রিয়াঃ জি ভাবি।
ভাবিঃ আমার একটা কাজ করে দিবে।
রিয়াঃ কি কাজ ভাবি বলুন।
ভাবি ঃ আমি একটু শপিংয়ে যাচ্ছি। তুমি কষ্ট করে ছাদে যে কাপড় গুলো শুকাতে দিয়েছি সেগুলো নিয়ে আসবে।
রিয়াঃ ঠিক আছে ভাবি।আমি এখনি গিয়ে নিয়ে আসতেছি।
ভাবিঃ ধন্যবাদ।
রিয়াঃ 😊😊😊 ছাদে চলে আসলাম।ছাদে এসে শুকনো যে কাপড় গুলো ছিলো সেগুলো নিয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামছি।তখনি মাথা টা চক্কর দিয়ে উঠলো।এই কয়েক টা দিন ধরে আমার কি যে হলো সব সময়ই বমি বমি ভাব হয় আর মাথা ঘুরায়।যাই কাপড় গুলো ছোফায় রেখে রুমে গিয়ে কিছুখন বিশ্রাম নেই।অনেক কষ্টে সিড়ি দিয়ে নিচে নামলাম।
ছোফায় কাপড় গুলো রেখে যেই রুমের দিকে পা বাড়াবো।ঠিক তখনি হঠাৎ করে মাথা টা এমন ভাবে চক্কর মারলো যে নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না।সেখানেই সেন্সলেস হয়ে গেলাম।
যখন আমার জ্ঞান ফিরলো তখন অনুভব করলাম আমার পাশে কিছু মানুষ কথা বলছেন।চোখ দুটো আসতে আসতে খুললাম।আমার পাশে মা আর ভাবি বসে আছেন।আমি চোখ খুলা মাএই মা আমাকে জরিয়ে ধরলেন আর কপালে চুমু খেলেন।
মা আর ভাবি কে দেখে মনে হচ্ছে উনারা আজ অনেক খুশি।কিন্তু কি জন্য মা,ভাবি এতো খুশি তা বুঝতে পারলাম না।
রিয়াঃ মা,ভাবি কি হয়েছে, আপনাদের আজ এতো খুশি খুশি লাগছে।
মাঃআমাদের আজ এতো খুশি হওয়ার কারন হচ্ছো তুমি।তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মা।
রিয়াঃ আমি (😱😱অনেক টা অবাক হয়ে)
ভাবিঃ হুম তুমি রিয়া😊😊😊😊
বিছানা থেকে উঠতে চাইলাম। কিন্তু মা বকা দিয়ে আবার শুয়ে দিলেন।
মাঃ আজ একদম বিছানা থেকে উঠবে না।ইনফেক্ট যত দিন না পর্যন্ত আমার দাদু ভাই পৃথিবীতে আসছে তত দিন বিছানা ছেড়ে উঠবেই না।
রিয়াঃ পৃথিবী, দাদু ভাই এসব আপনি কি বলছেন মা।আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।😰😰😰
মাঃ তোমার এতো কিছু বুঝতে হবে না আমি বরং তোমার জন্য মিস্টি নিয়ে আসি।
মা মিস্টির কথা বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।এদিকে তো আমি কিছুই বুঝতেছি না।মা বিছানা থেকে উঠে যেতেই ভাবি আমার কাছে এসে বসলেন।
রিয়াঃ আচ্ছা ভাবি মা তো আমায় কিছুই বললেন না।অন্তত আপনি তো বলুন আপনারা এতো খুশি কেনো।
ভাবিঃ আমরা এতো খুশি তার কারন হলো এই বাড়িতে একটা বাবু আসতে চলেছে।
রিয়াঃ মানে🤔
ভাবিঃ মানে তুমি মা হতে চলেছো।
রিয়াঃ কি আমি মা হতে চলেছি।( বলেই আনন্দে লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে যেতে নিলাম😊😊😊)
ভাবিঃ এই রিয়া তুমি এসব কি করছো।পেটের বাবুর তো ক্ষতি হবে।এখনি চুপ করে শোও বলছি।এই জন্যই মা তোমাকে কিছু বলে নি।
রিয়াঃ ওকে ওকে আমি শুয়ে পরছি।ভাবি সত্যি আমি মা হতে চলেছি😊😊😊😊
ভাবিঃ হে গো সত্যিই তুমি মা হতে চলেছো।আমাদের বাড়িতে কিন্তু ঐ প্রথম বেবি।তাই সাবধান এমন কিছু করো না যাতে বেবির ক্ষতি হয়।
রিয়াঃ আচ্ছা ভাবি।😊😊😊😏
মা আমাকে বলছিলো যখন মা জানতে পারে আমি উনার পেটে।সেদিন নাকি মা সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলো।মার কথা আমি সেদিন বিশ্বাস করিনি।তবে আজ যখন আমি জানতে পারলাম আমি মা হবো তখন মার কথা টা বিশ্বাস করতে বাধ্য হলাম।কারন সত্যিই আজ আমি সবচেয়ে বেশি খুশি যা এর আগে কোনো দিনো হইনি।😊😊😊
রিয়াঃ আচ্ছা ভাবি আমি যে মা হতে চলেছি এটা কি তোমরা উনাকে বলে দিয়েছো।
ভাবিঃ এখনো বলিনি তবে একটু পর বলবো।
রিয়াঃ না ভাবি আপনারা আজ কেউ উনাকে কিছু বলবেন না।দু দিন পর উনার জন্মদিনে আমি উনাকে এই কথা বলে সারপ্রাইজ দিবো।😊😊😊
ভাবিঃ ঠিক আছে বলবো না।এখন আমি যাই রহিম কাকা কে দিয়ে তো মিস্টি আনতে হবে অনেক গুলো।আজ আমাদের বাড়িতে নতুন অতিথির খবর এলো।পাড়ার সবাইকে তো মিস্টি দিতে হবে।
রিয়াঃ 😊😊😊😊
রিয়াদঃ রাত দশটার দিকে বাড়ি ফিরলাম।বাড়িতে ঢুকে তো আমি অবাক।ড্রয়িং রুম ভর্তি মিস্টির বক্স।এতো মিস্টি আমাদের বাড়িতে আর কোনো দিন দেখিনি।
এসব ভাবছিলাম তখনি দেখি রহিম চাচা প্লেট ভর্তি মিস্টি নিয়ে কোথায় যেনো যাচ্ছেন।
রিয়াদঃ রহিম চাচা আপনি মিস্টি নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন।
রহিম চাচাঃ বাবা তোমার সাথে ফাল্ত পেচাল পারার মতো এতো সময় আমার কাছে নেই।আজ আমার অনেক কাজ আছে।পরে তোমার সাথে কথা বলবো( চলে আসলাম)
কি আমি ফাল্তু কথা বলি😡😡 আশে পাশে ভাবি,মা কে ও কোথাও দেখছি না।তাই উপরে রুমে চলে গেলাম।আমি রুমে ঢুকা মাএই রিয়া এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো।
রিয়াদঃ কি বেপার রিয়া আজ হঠাৎ করে আমায় নিজ ইচ্ছায় জরিয়ে ধরলে যে।
রিয়াঃ কিছু না।আপনি এখানে বসুন তো( উনাকে বিছানায় বসিয়ে এক প্লেট মিস্টি নিয়ে আসলাম)
হা করুন
রিয়াদঃ হা করলাম।রিয়া আমাকে একটা মিস্টি খাইয়ে দিলো।
আজ বাড়িতে কি হয়েছে। বাড়ির ড্রয়িং রুমে অনেক গুলো মিস্টির বক্স দেখতে পেলাম।আর মা,ভাবি কে ও কোথাও দেখলাম না।
রিয়াঃ আমাদের বাড়িতে একজন নুতুন মেহমান আসবে তার জন্যই এতো মিস্টি এনেছে।আর ভাবি,মা উনারা পাশের বাড়ির আন্টির কাছে গেছেন সেই জন্য মিস্টি দিয়ে আসতে।
রিয়াদঃ নতুন মেহমান আসবে মানে।কে আসবে,কিছুই তো বুঝলাম না।
রিয়াঃ আপনার এতো কিছু বুঝতে হবে না।আবার হা করুন তো।( উনাকে আরেক টা মিস্টি খাইয়ে দিলাম।যাতে আর কথা না বলতে পারে।)😊😊😊
কাল থেকে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা সাতটায় গল্প পোস্ট করা হবে সবাই প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা সাতটায় আমার আইডি চেক করলেই গল্প পেয়ে যাবেন