.
আজকে আমার বাসর রাত। ছোটবেলা থেকে এইরাতের কথা সবার মুখে শুনে আসছি। ছেলের মেয়ে উভয়ের কাছেই রাতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বংশের ভবিষ্যৎ বীজ বোনার বিশেষ রাত৷ এই রাতে বিড়াল মারতেই হবে।
রাত ১০ টা হতে চলল,কাজী সাহেব এখনো বিয়ে পড়াচ্ছে না। আমার মাথায় সকাল থেকে শুধু বাসর রাতের কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে।
তো এর কিছুক্ষণ পর বিয়ের কার্যক্রম শেষ হলো, আমরা বরযাত্রীরা তুলি (বউ) নিয়ে চলে আসলাম। পাড়ার ভাবীরা তুলিকে নিয়ে বাসরঘরে রেখে আসলো। আমি বসে আছি মায়ের রুমে, আরো নাকি কিছু কাজ বাকী আছে।
বড়ভাবী এসে একগ্লাস দুধ দিয়ে বলল, "খেয়ে নে,আবার সবটুকু খাসনি যেন অর্ধেক রাখিস।"
আমি গ্লাসের দুধটুকু খেয়ে নিলাম। আমার কাজিনরা বলেছে, বাসরাতে দুধ খেয়ে। বিবাহিত জীবন মধুর হয়।
বাকি গ্লাসের দুধটুকু নিয়ে, কাজিন আর ভাবীরা আমাকে বাসরঘরে পাঠিয়ে দিলো। আর বলল, আজ কিন্তু ছক্কা মারতে হবে। বলেই সবগুলো হেসে চলে গেলো।
.
আমি তুলির সামনে বসে আছি৷ দু'জন চুপচাপ। সবকিছুই নিস্তব্ধ, শুধু অনুভূতিরা মনের কোণে খেলে করে যাচ্ছে। আজ আর মনের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে না।
.
তুলি ইতিমধ্যে এসে পা ছুঁয়ে সালাম করলো। আমি তুলিকে বললাম,
-"কেমন আছেন।
তুলি মুচকি একটা হাসি দিল, ওর মায়াবী হাসি দেখে। শরীলে বিশেষ জায়গায় একটা কেমন যেন অনুভব করলাম।
আর বলল,
-"ভালো আছি? আপনি কেমন আছেন?
-"এইতো ভালো আছি।
অনেক্ক্ষণ কথা বলার পর তুলি ড্রেস চেঞ্জ করতে গেলো। অল্পসময়ে মাঝেই ফিরে আসলো।
-"আমরা কী এখন শুরু করতে পারি?
-"শুরু করতে পারি মানে?
-"না মানে, ঘুমানোর কথা বলছিলাম?
-"হ্যাঁ অবশ্যই কেন ঘুমাবো না।
উফফ কি করে যে বলি আমি ঘুমানোর কথা বলিনি। শালার কোন বলদকে বিয়ে করলাম। এলাকার ভাবীরা কি কিছু শিখিয়ে দেয়নি।
.
আমি তুলির হাত স্পর্শ করলাম। তুলিও কিছু না বলে আমার হাত চেপে ধরলো।
ও ভাই কি যে একটা অনুভূতি রে ভাই। বলতে পারবো না। আগে জানলে বিয়েটা আগেই করে নিতাম।
তুলি বললো,
-"এবার তো হাতটা ছাড়ুন। আর কত ধরে রাখবেন।
-"হুম
-"চলুন না গল্প করি?
-"হুম শুরু করুন।
-আমি তেমন গল্প করতে পারিনা, আপনিই বলুন।
এইতো সুযোগ তুলিকে গল্প বলতে বলতে আলতো করে জড়িয়ে ধরলাম। তুলি আমাকে একটু চেপে ধরলো। এরপর দু'জন শুয়ে পড়লাম। দেখি বাকি কাজ কি হয়।
আর হ্যাঁ আপনাদের একটা কথা বলা হয়নি। আমার খাটটা একটু পুরনো। সকালে বেলা আব্বুকে বলেছিলাম, বদলে দিতে দিলো না৷ বরং বলল,
"এতেই করে রাতটা পার করে, পরশুদিন নতুন এনে দিবো।"
কোনমতে তারকাটা, জিয়াতার দিয়ে আটকে রাখলাম। আল্লাহ জানে এখন কী হবে। একবার ভেঙ্গে গেলে,ক্যালেঙ্কারী হয়ে যাবে। তবুও কি করার বাসররাত বলে কথা, বিড়াল তো মারতেই হবে।
.
আমি তুলির চুল গুলো মুখ থেকে সারিয়ে দিলাম। কি মায়াবী চেহারা, অপূর্ব লাগছে।
তুলির ঠোঁটের উপর চোখ পড়তেই, শরীলটা একটু কেঁপে উঠলো।
লাল লিপস্টিপ দিয়েছে, যেন ইন্ডিয়ান আমটি চকলেট। আমি তুলির মুখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম।
তুলি একটু গলাঝেড়ে বলল,
-"শুধুই কী তাকিয়ে থাকবেন নাকী কিছু করবেন।"
অনুমতি যখন পেয়েছি তখন তো দেরী করা ঠিক না। ঝোপ বুঝে কোপ দিলাম।
আমি তুলির কপালে প্রথম একটা চুমু খেলাম। তুলিও একটু কেমন যেন নড়েচড়ে বসলো।
আমি তুলির ঘাড়ে, কপালে কিস করলাম। তারপর পেটে কিস দুটো করলাম। এরপর নিজেকে পুরুষত্ব প্রমাণ করতে লাগলাম।
.
সবকিছু শেষের তুলি আর আমি ওয়াশরুমের যাবার জন্য বিছানা থেকে উঠতেই,
ওমনি ধপাশ করে খাট ভেঙ্গে পড়ে গেলাম। তুলি ওমাগো বলে একটা চিৎকার দিয়ে উঠলো।
আগেই বলেছিলাম বাবাকে যে খাটটা বদলে দেও। শুনলো না তো আমার কথা, এখন দেখ কান্ড। যা ভেবেছিলাম তাই হয়েছে।
ইতিমধ্যে ভাবীরা দরজার এসে ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছে।
-"করে কি হয়েছে রে? তুলি এভাবে কাঁদছে কেন?
আমি গিয়ে দরজা খুলে দিলাম। ভাবীরা ভেতরে আসতেই, এমন কান্ড দেখে সবগুলো হো হো করে হেসে দিলো। বড়ভাবী তুলিকে নিয়ে চলে গেল। বাকিরা সবাই এখনো হাসতেছে।
কাল সকালে আমি এইমুখ নিয়ে কিভাবে বাহিরে বের। এই চিন্তা করতে লাগলাম।