আমাদের সমাজে আজ একটি ঘৃনিতো শব্দ হলো নেশা। যে ছেলে নেশা করে তাকে আমরা নেশা খোর বলে অপমান করি। আমরা তাদের ভালো উপদেশ না দিয়ে নেশার জগত থেকে ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে তাদের দিই এক রাশ অবহেলা যে অবহেলায় তারা হারিয়ে যায় অন্ধকার এক নেশার জগতে। আমাদের সভ্যসমাজের মানুষ কোনদিনও জানতে চায় না যে তারা কেন নেশা করে??
জানতে চায় না তাদের অতিতকে। সবাই শুধু বর্তমানটাই দেখে।
কোন একদিন ছিল! যখন ওই নেশাখোর ছেলের জীবনেও রঙিন কিছু স্বপ্ন ছিল??
ওই নেশাখোর ছেলেটাও আর দশটা ছেলের মত স্বাভাবিক জীবনযাপন করতো।
ওই ছেলেটি যখন নিজের অতীতের দিকে ফিরে তাকায়। তখন সে দেখতে পায় শীতের রাতে তার সেই ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে হাত ধরে পথ চলা প্রতিটা মুহূর্তের দৃশ্য।
তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে দিনের পর দিন বাইকে করে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য।
একসময় সেই ভালোবাসার মানুষটা বলতো তোমাকে না দেখে একটা দিন বেঁচে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। (((তার বলা সেই মিথ্যা কথা গুলো ভুলতে ছেলেটি আাজ নেশা করে)))
ভালোবাসার মানুষের অবহেলা একটা মানুষকে কতদূর নিয়ে যেতে পারে তা ওই নেশাখোর ছেলেকে দেখলেই বোঝা যায়।
কোন মানুষই ইচ্ছা করে নেশা করে না। দিনের আলোতে একটা মানুষকে তুমি যতটা সুখি দেখবে রাতের আঁধারে সেই মানুষটিকে সব থেকে বেশী কাদতে দেখবে।
তাই কাউকে ভালোবাসতে হলে মন থেকে ভালবাসো তোমার ভালবাসার উপর একটা ছেলেটার জীবন নির্ভর করে। যদি তুমি তাকে ছেড়ে যাও তাহলে তোমাকে ভুলতে ছেলেটি নেশাখোর হবে না হলে সমাজের চোখে অবহেলিত হবে। হয়তো হাজার বার নেশা করে তোমায় ভুলতে পারবে না। কিন্তু নিজেকে অবশ্যই মানসিক রোগী বানাতে পারবে।
আমার মত সব নেশাখোর ছেলের জীবনের পেছনে একটা গল্প থাকে। যারা নেশা করে তারাও মানুষ তাই তাদের অবহেলা না করে ভালো পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি।
আর প্রতিটা আপুকে বলি নিজের ভালবাসার মানুষকে কখনো কষ্ট দিওনা। তোমার থেকে পাওয়া কষ্ট তাকে নেশার জগতের নিয়ে যেতে পারে। সমাজের চোখে বানাতে পারে অবহেলার পাত্র।