শূকর পছন্দ না করেও বা না খেয়েও শূকর খেতে হয় বা ব্যবহার করতে হয় অনেকের !
শূকর পাশ্চাত্যের সবচেয়ে পরিচিত গৃহ পালিত পশু।শূকর নিয়ে চলছে তাদের বিপুল পরিমাণ ব্যাবসায়ীক লেনদেন। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে মুসলিমরা শূকরকে তীব্রভাবে ঘৃণা করে, এর কারণ ইসলামে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে শূকরের বিষয়ে।দেশে বিদেশে অনেক মুসলিম অঘোষিত ভাবেই শূকর খাচ্ছে প্রতিদিন। অতচ এই প্রাণীটাকে নিয়ে মুসলমানদের ঘৃণার শেষ নেই। ২০১৯ সালে ঢাকায় একটি সয়াবিন তেলের কারখানা বন্ধ হয়েছিল শূকর থেকে উৎপাদিত চর্বি সরাসরি সয়াবিন তেলে ব্যবহার করার কারণে। অতচ হিসাব নেই কত মানুষ এই তেল খেয়েছে।
শূকর থেকে উৎপাদিত পণ্য আমরা ব্যবহার করি এবং খায় মনের অজান্তেই!
যেমনঃ
ফুড এবং ব্যাভারেজেস: বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত খাবার হচ্ছে পানীয় এবং নুডুলস। প্রায় সব ধরনের কোমল পানীয়, আইস্ক্রীম এবং নুডুলস ও অন্যান্য চর্বি যুক্ত খাবারে উচ্চ মাত্রা প্রাণীজ চর্বি ব্যবহার করা হয়। আর চর্বির বেশিরভাগ আমদানি করা হয় ইউরোপ আমেরিকা থেকে। মুসলিম দেশগুলোতে চর্বির উৎপাদন খুব কম হয়। শূকর থেকে উৎপাদিত চর্বির গুণগত মান অন্যান্য প্রাণির ভাল এবং সহজলভ্য। শূকর থেকে কম খরচে অধিক চর্বি উৎপাদন করা যায়।আর ইউরোপ আমেরিকায় ব্যাবসায়ীক উদ্দ্যেশ্যে তৈরি হচ্ছে বড় বড় শূকরে খামার । এসব চর্বি প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশের ইন্ডাস্ট্রিতে।
আর নামি দামি ব্রান্ডের ফুড এবং ব্যাভারেজেস কোম্পানিগুলো এই ফ্যাট ব্যবহার করছে আমাদের মোস্ট পরিচিত কোমল পানীয়গুলোতে এবং খাবারে।
২) সাবান ও প্রসাধনী :
বর্তমান বিশ্বে সাবান ও প্রসাধনী ব্যবহার করেনা এমন মানুষ নেই।সবাই যার যার স্তান থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব করছে আর এতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ চর্বি আসে শূকর থেকে।
এ বিষয়ে কারো জানার আগ্রহ থাকলে এপ্লাইড ক্যামিস্ট্রি আর ফুড সায়েন্সে পড়ুয়া ব্যক্তিদের কাছে ভালো জনতে পারবেন।