Today I went to Dulabhai's farm house. Apara lives in Dinajpur city. Come to the farm house if time, opportunity. Apa came to the farm house a few days ago. He told me to go too. But I could not go on time. When I was talking to Apar in the morning, he told me that he would leave today. Right at that moment I decided to leave and meet Apar. The two sisters were together for a short time. But the time was very enjoyable. After a while, at noon, my sister, Dulabhai and I ate rice together. Of course, when the two sisters spend more time together, they start arguing. Stay, I'll tell this story another day. Now come to the description of the farm.
Huge farm house. There are about 6 chicken sheds. There are about 10 thousand chickens. About 2500 eggs are raised from the farm every day. There are many big ponds right in the middle of the farm. There are mango trees around the pond. Several trees have been cut down to break the bank. There are different species of fish in the pond. Two people feed the fish in a boat. Standing on the edge of the pond, the mind is happy to see the fish playing. There is an opportunity to bathe in this pond. When swimming in the pond, the fish also seem to swim with me.
A small pond surrounded by nets on three sides where the ducks swim. Sometimes, sometimes the ducks play hide and seek with themselves. There is a duck house next to the pond. Just as a group of naughty boys return home in the evening after playing all day, so ducks return home in the evening after swimming all day.
The number of cows is very low now. Among the three cows is their mother. And two children on either side. Seeing this scene, I wanted to know why my mother was placed in the middle. Putting two children side by side hurts each other. So the mother is kept in the middle. Wow! What a resemblance to the best creation in the world.
The farm has the most chickens. One or two people are assigned for each shed. Whoever is in charge of the shed, he takes care of that shed all day long. Due to which there is not much smell. The chicks are hatched through the machine. This hen is suitable for laying eggs within 4 months.
The nest for pigeons has been made with wood or bamboo below. In the afternoon, when the pigeons are sitting on the dock, they come very close. He came close and started calling me Bak-Bakum. It seems that the pigeons have come to make friends with us on their own.
Dulabhai and his brothers' families have come to the farm from time to time so that the house has been built with modern facilities and facilities. There are also good arrangements for those who work on the farm. There is a woman in charge of cooking. Rana at three o'clock. But when we all go together we spend time like picnics. Everyone is working together. It is cooked in a large pot in a clay oven. We bathe in the pond together. The swimming competition begins. Everyone sits together and eats.
Ah! Life is beautiful. The bonds of relationship make life more beautiful. Action may not always be together for the sake of busyness. But the tension or love of the heart never decreases. In the evening, the cool breeze of the pond, the chirping of birds in the trees, the chirping, the chirping of the insects, the call of the frogs from behind the farm all combine to make me think that being born as a human being is the best thing in life.
একটি খামার বাড়িঃ
আজ গিয়েছিলাম দুলাভাইদের খামার বাড়িতে। আপারা দিনাজপুর শহরে থাকেন। সময়, সুযোগ হলে খামার বাড়িতে আসেন। আপা কয়েকদিন আগেই খামার বাড়িতে এসেছে। আমাকেও যেতে বলেছে। কিন্তু সময় করে যেতে পারছিলাম না। সকালে যখন আপার সাথে কথা বলছিলাম তখন সে জানালো আজকেই সে চলে যাবে। ঠিক সেই মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নিলাম এখনোই রওনা হবো আপার সাথে দেখা করবো। দুইবোন অল্প কিছু সময় একসাথে ছিলাম। কিন্তু সময়টা ছিল দারুণ উপভোগ্য। কতোদিন পর দুপুরে আমি, আমার বোন, দুলাভাই একসাথে ভাত খেলাম। অবশ্য দুইবোন একসাথে বেশি সময় থাকলেই ঝগড়া শুরু করি। থাক, এই গল্পটা আরেকদিন বলবো। এখন খামারের বর্ণনাতে আসি।
বিশাল খামার বাড়ি। মুরগির শেড রয়েছে প্রায় ৭ টি। মুরগি আছে ১০ হাজারের মতো। প্রতিদিন খামার থেকে প্রায় ২৫০০ ডিম উঠানো হয়। খামারের ঠিক মাঝে রয়েছে অনেক বড় পুকুর। পুকুরের চারপাশে রয়েছে আম গাছ। পাড় ভেঙে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছে। পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। দুজন লোক নৌকাতে করে মাছদের খাবার দেয়। পুকুর পাড়ে দাঁড়ালে মাছদের খেলা দেখে মন আনন্দিত হয়। এই পুকুরে গোসল করার সুযোগ রয়েছে। পুকুরে যখন সাঁতার কাটি মাছগুলোও যেন আমার সাথে পাল্লা দিয়ে সাঁতার কাটে।
ছোট একটি জলাশয় তিনদিকে জাল দিয়ে ঘেরানো সেখানে হাঁসগুলো সাঁতার কাটে। আবার কখনো,কখনো হাঁসগুলো নিজেদের সাথে লুকোচুরি খেলে। জলাশয়ের পাশেই রয়েছে হাঁসদের থাকার ব্যবস্হা। দূরন্ত বালকদের দল যেমন সারাদিন খেলাধুলা করার পর সন্ধ্যায় বাধ্য ছেলের মতো ঘরে ফিরে তেমনি হাঁসগুলো সারাদিন সাঁতার কাটার পর সন্ধ্যায় আপন ঘরে চলে আসে।
গরুর সংখ্যা এখন খুবই কম। তিনটি গরুর মধ্যে মাঝে রয়েছে তাদের মা। আর দুই পাশে দুই সন্তান। এই দৃশ্য দেখে আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে মাকে মাঝখানে রাখা হয়েছে কেন। দুই সন্তানকে পাশাপাশি রাখলে একে অপরকে আঘাত করে। তাই মাকে মাঝে রাখা হয়। বাহ ! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির সাথে কতো সাদৃশ্য।
খামারে সবচেয়ে বেশি রয়েছে মুরগি। প্রত্যেকটি সেডের জন্য এক বা দুইজন করে লোক নির্ধারণ করা আছে। যার যেই সেড দায়িত্বে রয়েছে সারাদিন সে সেই সেড পরিচর্যা করে। যার কারনে গন্ধ তেমন নেই। মেশিনের মাধ্যমে মুরগির বাচ্চা হয়। ৪ মাসের মধ্যে এই মুরগি ডিম দেওয়ার উপযোগী হয়।
নিচে কাঠ অথবা বাঁশ দিয়ে উপরে কবুতরের জন্য বাসা তৈরি করা হয়েছে। বিকেলবেলা যখন পুকুর ঘাটে বসা হয় তখন কবুতরগুলো একদম কাছে চলে আসে। কাছে এসে বাক-বাকুম বলে ডাকতে থাকে। মনে হয় কবুতরগুলো নিজের থেকেই আমাদের সাথে সখ্যতা তৈরি করার জন্য এসেছে।
দুলাভাই এবং উনার ভাইদের পরিবার যেন মাঝে, মাঝে এসে থাকতে পারে তার জন্য খামারের মধ্যেই আধুনিক সুযোগ, সুবিধা রেখে বাসা তৈরি করা হয়েছে। খামারে যারা কাজ করে তাদের থাকার জন্যও সু ব্যবস্হা রয়েছে। রান্নার দায়িত্বে একজন মহিলা রয়েছে। তিন বেলা রানা করে। তবে আমরা সবাই যখন একসাথে যায় তখন আমাদের পিকনিকের মতো সময় কাটে। সবাই একসাথে কাজ করা হয়। মাটির চুলাতে বড় পাতিলে রান্না করা হয়। একসাথে পুকুরে গোসল করি। সাঁতারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সবাই একসাথে বসে খাবার খায়।
আহা! জীবন সুন্দর। সম্পর্কের বন্ধন জীবনকে আরো সুন্দর করে। কর্ম ব্যস্ততার জন্য হয়তো সবসময় একসাথে হওয়া হয় না। কিন্তু তাই বলে অন্তরের টান বা ভালোবাসা কখনো কমে যায় না। সন্ধ্যায় পুকুরের শীতল বাতাস, গাছে, গাছে পাখিদের কিচির মিচির শব্দ, ঝিঁ, ঝিঁ পোকাদের আলো, খামারের পিছন থেকে ব্যাঙের ডাক সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয় এই পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে জন্ম গ্রহন করাটাই জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া।