সব কিছুই তো ভাইরাল করে ফেলি আমরা। 'বাবু খাইছো' থেকে শুরু করে 'ফেসবুক এভাটার' কিছুই বাদ নেই।
এই অবলা পশু গুলোর জন্য কেনো সবার মায়া জন্মালো না??
আমাদের ' social media power ' উবে গেলো কেনো??
কতোগুলো কুকুর মারা গেছে, লাঠির আঘাতে অজ্ঞান হয়েছে সে খবর কে রাখে!!
এদের অপরাধ কি? উপরওয়ালা পৃথিবীর জায়গা শুধু মানব জাতির জন্যই নির্দিষ্ট রেখেছেন??
যদি এদের সংখ্যা কমাতেই হয় ধরে নিউটার করান কয়েক মাস। তাতেই কাজ হবে। কিছু তে কিছু হতেই মেরে ফেলা অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাচ্ছে কি আমাদের??
আর কুকুর গুলো মানুষের কি ক্ষতি করছে, অনেক ভাবার পরও বোধগম্য হচ্ছে না আমার। যারা এদের মারার পক্ষে তাদের যুক্তি কি জানেন?? রাতে নাকি কুকুরের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় তাদের। এটাই কারন।🙂
যাদের একদিন একটা ড্রাইকেক দিলে, তারপর হাজার বার আপনার কথা মনে রাখে। একটু ভালোবাসা দিলে জীবন দিয়ে দিতে পারে। এমন মায়াভরা প্রানী গুলোর জন্য হয়তো সবার মায়া জন্মায় না। পৃথিবীর মানুষ দিন কে দিন নিষ্ঠুর হচ্ছে। উপরওয়ালা হয়তো এভাবেই মানব জাতির পাপ বাড়াচ্ছেন। দোযখ/নরকের জায়গাগুলোতো আর খালি রাখা যাবেনা।
আমার খুবি খারাপ লাগে ওদের জন্য। নিজের মুখের কতো খাবার আমি ওদের দিয়ে দিয়েছি, তার হিসেব আমি রাখিনি। সবাই হয়তো ওদের আমার মতো ভালোবাসে না। তাই বলে নিশ্চুপ থাকবে সব? এটা কি অন্যায় না??
এই অবলা প্রানীগুলো জানেও না, কি তাদের অপরাধ, কেনো তাদের লাঠির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে। অবুঝ প্রানের অভিশাপ যেনো লাগে ওদের। 🙂
আমি যদি ভুল কিছু বলে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন🙂🙂
রাস্তায় কখনো কুকুরের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন? যদি এটার অভিজ্ঞতা থাকত আপনার তাহলে এই পোস্ট লিখতেন না। মানবতা বেচে আছে বলেই গত বছর জুলাই কিংবা জুনে কিংবা জুনের আগে দুইজন বাইকার কুকুরকে বাচাতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলো। পাগলা কুকুরের উৎপাতে নিজের বাচ্চাকে বাসায় বন্দীনকরে রেখেছেন? কিংবা কুকুরের কামড়ের ফলে বাচ্চাকে নিয়ে ভোগান্তি পোহালে এইটা নিয়ে পোস্ট দিতেন না। আর সিটি কর্পোরেশন এর জরিপ অনুযায়ী কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধিতেই এই পদক্ষেপ। যদিও খুবই দুঃখজনক কিন্তু কোন উপায় কী আছে এটা ছাড়া? জনসাধারণকে বাঁচাতে? লকডাউনে কুকুরকে টিকা দিচ্ছিলো, তখন গুজব ছড়িয়ে টিকা দানকারী মানুষগুলোকেও হয়রানি করেছে।