সত্যসারণী
১০৫
একইভাবে আলােচ্য বচনটি থেকে উভ্ভৃত জটিল
সত্যাপেক্ষকটিতে যতিচিহ্নর স্থলে।
বন্ধনী ব্যবহার করলে দুটি ভিন্ন যৌগিক অপেক্ষক
পাওয়া যায়। যেমন-
ip (q v r)
ii. (p - q) v r
এখন অপেক্ষক দুটির অন্তর্গত ও 'v' প্রতীকদ্বয়ের
পরিধি সুস্পষ্ট হয়েছে এবং মূল ।
অপেক্ষকের ছার্থকতাও দূরীভূত হয়েছে। কারণ
ওপরের অপেক্ষক দুটির আকার থেকেই।
বােঝা যাচ্ছে, এদের মানশত এক নয়। এখানে
প্রথম অপেক্ষকটির অর্থ হচ্ছে, p ঘটবে, এর।
যে কোনাে একটি ঘটতে পারে। এবং পরের
অপেক্ষকটির অর্থ হচ্ছে, p এবং
টবে, অথবা শুধু r ঘটবে। অর্থাৎ প্রথম বচনে p-
এর গুরুত্ব q এবং r-এর চেয়ে বেশি
ক দ্বিতীয় বচনে r -এর গুরুত্ব p এবং q- এর
চেয়ে বেশি। আর অপেক্ষক দুটির এরূপ
আত ভিন্নতা প্রতিপাদিত হয়েছে মূলত অপেক্ষক
দুটিতে বন্ধনীর ব্যবহারে হেরফেরের
কারণে।
উদেখ্য যে, এ প্রসঙ্গে গণিতে বন্ধনী প্রয়ােগের
বিষয়টি তুলনা করা যেতে পারে।
ন 5 x৩ + ২। এই সমীকরণটির ক্ষেত্রে গুণ ও
যােগের মধ্যে কোন কাজটি আগে
কতে হবে তা স্পষ্ট নয়। এ জন্য সমীকরণটির
ফলাফল কী হবে তা বলা যায় না। এক্ষেত্রে
ব্নী ব্যবহার করে সমীকরণটিকে দুভাবে সাজানাে
যায় এবং তা করা হলে পৃথক সমীকরণ
দুটির ফলাফল বের করা সহজ হবে। যেমন-
(৪x ৩) + ২ = ১৪
৪x (৩ + ২) = ২০
কাজেই প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা এবং গণিত উভয়
ক্ষেত্রেই প্রতীকের ব্যবহার অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। ওপরের আলােচনা থেকে দেখা যায় যে, বন্ধনী ব্যবহারের প্রয়ােজন হয় মূলত
জটিল সত্যাপেক্ষকের ক্ষেত্রে। যখন দুটি সরল
বচন কোনাে যৌক্তিক যাজক দ্বারা যুক্ত হয়ে
একটি সত্যাপেক্ষী যৌগিক বচন গঠন করে, তখন
কোনােরূপ বন্ধনী ব্যবহার করার প্রয়ােজন
ইয না। কারণ এরূপ অপেক্ষকে সংযাজকের
পরিধি কেবল দুটি বচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ
ধাকে। এক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা যেতে
পারে। যেমন- p q। এ অপেক্ষকটিতে
0
5