প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা
এবং কেবল যদি যােজকটির স্থলে ধ্রুবক প্রতীক হিসেবে = (equiv) প্রতীকটি ।
উপাদান বচন দুটির স্থলে গ্রাহক প্রতীক হিসেবে যথাক্রমে p ও q স্থাপন করলে আর
সত্যসারণী
আলােচ্য বচনটির আকার হবে p = q, যার সত্যমূল্য নির্ভর করছে পৃথকভাবে p ও
সত্যমূল্যর ওপর। আর সত্যসারণীর নিয়মানুসারে p এবং q-এর যে চারটি পৃথক সভ
অপেক্ষকে স্বরূপ ও সত্যমান নিয়ে আলােচনা করেছি তা মূলত বস্তুগত সমমানিক বচন বা।
জপেক্ষক। পরবর্তীতে যৌক্তিক বা আকারগত সমমানিক বচন বা অপেক্ষক নিয়েও বিস্তৃত
প্রতীকের সাহয্যে বিষয়টি ব্যাখ্যার ক্ষেতত্রে দৃষ্টান্তে বর্ণিত সমমানিক বচনটির, অ
আলােচনা করা হয়েছে।
পাওয়া যায় সে অনুসারে p = q-এর সত্যমান হবে নিম্নরূপ ।
১. p সত্য ও q সত্য হলে p = q সত্য;
২. p সত্য ও q মিথ্যা হলে p = q মিথ্যা;
৩. p মিথ্যা ও q সত্য হলে p = q মিথ্যা;
৪. p মিথ্যা ও q মিথ্যা হলে p = q সত্য;।
নিযেধক বচন বা অপেক্ষক
Negated statment or function
বারণভাবে কোনাে বিষয়ের স্বাকৃতি বা অস্বীকৃতি প্রকাশিত হয় বচনের মাধ্যমে। অর্থাৎ
ন বিবত বিষয়বস্তুর সত্যতা বা মিথ্যাত্বকে যেমন স্বীকার করা যায়, তেমিনি অস্বীকারও
যায়। এ প্রেক্ষিতেই আমরা দেখেছি গতানুগতিক যুক্তিবিদ্যায় বচনসমূহকে সদর্থক ও
b
কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, সমমানিক অকপক্ষকের ক্ষেত্রে p = q সত্য হবে তথনট
দু' শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। যে বচনে কোনাে বিষয়ের সত্যতা বা
স্বীকৃতি বিবৃত হয় তাকে বলে সদর্থক বচন। আর যে বচনে কোনাে বিষয়ের
বা মিথ্যাত্বের অস্বীকৃতি ব্যক্ত হয় তাকে বলে নঞর্থক বচন। প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায়
অধ্বীকৃতিকেই বলা হয় বচনের নিষেধন (Negation)। আর এই নিষেধন।
কনকে বলা হয় নিযেধক বচন। যেমন, লােকটি হয় সৎ, এ বচনটির সত্যতা বা
মিখ্যাতুকে অস্বীকার করলে আমরা যে বচনটি পাই, তা হলাে- 'লােকটি নয় সং, এ
कনটিই হচ্ছে নিষেধক বচন। প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায় এ ধরনের নিষেধক বচনের আকারকে
दল নিষেধক অপেক্ষক। এককথায় একটি সরল বচন যখন না', 'নয়, "নি ইত্যাদি জাতীয়
যৌক্তিক যােজক দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি সত্যাপেক্ষী যৌগিক বচন গঠন করে তখন সেই
कনটির আকারকে বলে নিষেধক অপেক্ষক। প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায় এই নিষেধক বচনের
নিষেধন যােজকটির প্রতীক হিসেবে ~ (negation ) প্রতীকটি ব্যবহৃত হয়। ইংরেজিতে
এতীকটিকে curl বা tilde symbol বলা হয় এবং বাংলায় একে বলা হয় তরঙ্গ বা চেউ
পৃথকভাবে p ও q সত্য হবে, অরথবা পৃথকভাবে p ও q মিথ্যা হবে। আর p =
হবে তখনই যখন পৃথকভাবে p ও q -এর যে কোনাে একটি সত্য ও একটি মিখা
উল্লেখ্য যে, p = q-কে অন্য প্রতাক দিয়েও প্রকাশ করা যায়, অরথাৎ যদি এবং কেবন য
জাতীয় যােজকের অর্থ আমরা = ব্যবহার না করে একইসাথে '5 এবং '' ব্যবহাব বায
প্রকাশ করতে পারি। অথবা একইসাথে -', : এবং V ব্যবহার করেও প্রকাশ কয
পারি। এরূপ ক্ষেত্রে আলােচ্য বচনের আর্থের কিংবা সত্যমানের কোনাে পরিবর্তন হয় ন
যেমন-
1. P = q = p হবে যাদ এবং কেবল যদি q হয়।
. (PD9) (q०p) = যদি p হয় তা হলে q হবে, এবং যদি q হয় তা হলে p ইবে।
IL. (p q) v (- p·~ q) = p এবং q অথবা p নয় এবং q নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গতানুগতিক যুক্তিবিদ্যায় নিষেধক বচনেকে যৌগিক বচন হিসেবে
কার করা হয় না। এ মতে, কোনাে বচন সরল নাকি যৌগিক তা নির্যারিতে হয় বচনের
হিসেবে
ল বচনকে ধারণ করলে বচনটিকে বলা হয় সরল বচন। আর কোনাে বচন তার অঙ্গবচন
সেবে একাধিক সরল বচনকে ধারণ করলে বচনটিকে বলা হয় যৌগিক বচন। যেহেতু
তবে প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায় সত্যাপেক্ষী অর্থে
যুক্তিবিদ্য
বেধক বচনকে যৌগিক বচন বলা হয়। এ সম্পর্কে পূর্ববর্তী অধ্যায়ে বিস্তারিত আলােচনা
নচে সারণার সাহয্যে ওপরের অপেক্ষকগুলাের সত্যমানের অভিন্নতা দেখানাে হলে।
তর্গত উপাদান বচনের সংখ্যা দ্বরা। অর্থাৎ কোনাে বচন তার অঙ্গবচন
TTF FT
d-A (b. d) (dc b) (bc d)b- d-b.d dcbbcd bd5a
বেধক বচন গঠিত হয় একটিমাত্র সরল বচন দ্বারা, সে হিসেবে গতানুগতিক
নুসারে নিষেধক বচন হচ্ছে সরল বচন
0
11