১. করোনা থেকে বাঁচতে হাত ধোয়ার অভ্যাসটি অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। গণপরিবহনে উঠলে, ভিড় পথে চলাফেরার পর, লিফটের বোতাম, দরজার হাতল বা সিঁড়ির রেলিং ধরলে, অনেকে ব্যবহার করে এমন কিছুতে হাত দিলে, টাকা দেওয়া-নেওয়া করলে সেই হাত নাকে-মুখে-চোখে বা অন্য কোথাও লাগার আগেই ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
২. খাওয়ার আগে, টয়লেট থেকে এসে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৩. বাইরে বের হওয়ার সময় সঙ্গে ছোট একটা সাবান ও ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল আছে এমন স্যানিটাইজার নেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৪. সাধারণ মানুষের গ্লাভস পরার দরকার নেই। নিয়ম মেনে না পরলে উল্টো বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। এর চেয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া অনেক নিরাপদ।
৫. রাস্তায় বের হলে এখনকার মতো সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অফিসেও মাস্ক পরে থাকতে হবে। কাপড়ের ট্রিপল লেয়ার মাস্ক ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। তবে গরমে সমস্যা বোধ করলে ডাবল লেয়ারের বড় আকারের মাস্ক ব্যবহার করুন। বাড়ি ফিরে সাবান পানি দিয়ে মাস্ক ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
৫. মাস্ক পরলেও অন্যদের সঙ্গে ৬ ফুটের বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। না হলে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব রাখা জরুরি।
৬. চোখ নিরাপদ রাখতে চশমা না হয় সানগ্লাস ব্যবহার করুন। কারণ চোখ দিয়েও জীবাণু ঢুকতে পারে।
৭. নারীদের বড় চুল হলে ভালো করে বেঁধে স্কার্ফ বা ওড়নায় মাথা ঢেকে নেবেন। গণপরিবহন ব্যবহার করলে খোলা চুল অন্যের নাকে-মুখে উড়ে লাগতে পারে। সেই চুল পরে নিজের নাকে-মুখে লাগলে বিপদ হতে পারে।
৮. বাইরে বের হলে নিয়মিত ধোয়া যাবে এমন জুতা ব্যবহার করুন।
৯. এ সময় কোনো ধরনের অলংকার ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ ধাতুর উপর প্রায় পাঁচ দিন থেকে যেতে পারে করোনার জীবাণু। এখন ঘড়ি ব্যবহারও ঠিক নয়।
১০. অফিসে নিজের জন্য আলাদা কাপ, প্লেট রেখে দিন। খাওয়ার আগে সেগুলো সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করুন।
১১. বাইরে খাওয়ার অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। বাসা থেকে নিয়মিত খাবার নিয়ে যান। এ সময় রাস্তার পাশের কোনো দোকান থেকে কিছু খাওয়া ঠিক নয়।
১২. জুতা বাইরে খুলে ঘরে ঢুকবেন। জুতায় জীবাণুনাশক স্প্রে করে প্রতিদিন রোদে দিন। না হয় ধুয়ে ফেলুন।
১৩. বাইরে থেকে ফিরে জামাকাপড় ধুয়ে ফেলবেন।
১৪. মোবাইল জীবাণুমুক্ত করতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
১৫. বাড়িতে কাজের লোক বা অন্য কেউ এলে ঘরে ঢোকার আগে হাত এবং পা ভালো করে সাবান পানি দিয়ে ধুতে উৎসাহিত করুন।
১৬. খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।