#নিয়তির খেলা
#লেখক lokman
#পর্ব:৫
যেভাবেই হোক ওকে খুঁজে বের করতে হবে
.
ওকে কি আপনি আগে থেকে চিনেন
.
হুম
.
কিভাবে চিনেন ওর সাথে আপনার কি সম্পর্ক
.
আমি আর ও ছোট থাকতেই একই ক্লাস পড়াতাম আমাদের সাথে পড়তো আমার চাচাতো বোন তমা আর ওর চাচাতো বোন আর্নিকা ...তমা ও আর্নিকা দেখতে খুবই সুন্দর ছিলো যে কোনো ছেলে ওদের দেখলে ওদের প্রেমে পড়ে যাবে কিন্তু ওরা অনেক রাগী ছিলো এই বয়সে অনেক রাগ দেখাতো ভাবতাম বড় হয় একটা ডাইনি হবে আমি যদি আর্নিকা কে বিয়ে করি আমার জিবন টা তেজপাতা হয় যাবে মনে হয়
.
আপনি ওকে বিয়ে করবেন কেনো
.
আর্নিকা কে আমি অনেক ভালোবসতাম কিন্তু ও আমাকে ভালোবাসতো না
.
কেনো
.
আর্নিকা ভালবাসতো রাকিব কে
.
রাকিব কি আর্নিকা কে ভালবাসতো
.
না রাকিব ভালবাসতো তমা কে
.
তমা কি রাকিব কে ভালবাসতো
.
না তমা ভালবাসতো আমাকে
.
হা হা হাহা
.
হাসেন কেনো
.
আপনার হিস্টরি শুনে
.
ওহ
.
এই তো দেখি পুরো নাটক এর মতো পরে বলেন কি হয়েছে
.
আমি আর্নিকা কে অনেক ভালোবাসতাম ওকে অনেক কিছু দিতে চাইতাম কিন্তু এটা তমা সহ্য করতো না
.
হুম সহ্য করবে কি করে ও তো আপনাকে ভালোবাসে
.
আমি যদি আর্নিকা কে কিছু দিতাম তমা বাড়িতে গিয়ে আব্বুর কাছে বিচার দিতো
.
আপনার আব্বু কি আপনাকে কিছু বলতো
.
আব্বু আমাকে অনেক মারত
.
আপনি কি তমাকে কিছু বলতে না
.
হুম তমার সাথে অনেক জঘড়া হতো এগুলা নিয়া
.
ওহ বুঝতে পারছি তারপরও কি হলো বলেন
.
আমি যকন ক্লাস ৫ পড়ি বিদায় অনুষ্ঠান এর আগের দিন স্কুলে বসে আমি ও আমরা ফ্রেন্ডরা আড্ডা দিচছিলাম হটাৎ আমাদের ফ্রেন্ড মাঝ থেকে রনি বলে উঠলো তুই যদি আর্নিকা কে একটা কিস দিতে পারিস তুই জা চাস তাই দিবো ... আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেল এর মধ্যে রনি ছিলো সবচেয়ে দুষ্ট আর ও দুষ্টামির জন্যে ক্লাস অনেক মাইর খাইতো স্যার এর কাছ থেকে
.
আমি কিছু না ভেবে রাজি হয় গেলাম
.
পরে
.
পরে বাড়িতে এসে রাতে শুয়ে ভাবতাছি আমি পারবো তো আর্নিকা কে কিস করতে কিস করলে আর্নিকা আমাকে থাপ্পর টাপ্পর দিবে না ঈশ যদি কিস করতে পারি তকন কি মজাই না লাগবে এগুলা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ি
.
তারপর
.
পরের দিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করে রেডি হয়ে নতুন ড্রেস পরে স্কুলে গেলাম গিয়ে দেখি সবাই একসাথে বসে আছে
.
মামা তোকে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে (রনি)
.
আজকে কিন্তু আর্নিকা কে কিস করতেই হবে (রাকিব)
.
আরে ও জে ভীতু ও পারবে না ও তো কথা বলতে গেলে ঠং কাপে ও আবার কিস দিবে কি করে (তহিদুল)
.
কি যে বলিস তোরা কিস কেনো দিতে পারবো না দেখবি আজ কিস দিয়েই ছাড়বো
.
ওকে দেখা যাবে (রাকিব)
.
ওকে চল দেখি আর্নিকা কই
.
আর্নিকা কে ওর বান্দবিদের সাথে লাইবেরিতে যেতে দেখছি (রনি)
.
চল গাছের নিচে গিয়ে বসি ওখান দিয়ে যাওয়ার সময় কিস দিমু নে
.
ওকে চল.. আমরা সবাই মিলে গাছের নিচে গিয়ে বসলাম
.
ওই যে ওরা আসছে (হাসিব)
.
মামা রেডী থাকো কিস দেওয়ার জন্যে (রনি)
.
কিস দেওয়াটা যেমন মুখের কথা যে চাইলাম আর দিয়া দিলাম কেউ কিছু বলো না যকন মাইর টা খাবো তখন তো আমাকে রেখে পালাবি ( মনে মনে)
.
কিরে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো (রাকিব)
.
আমি আর্নিকা এর দিকে হা করে তাকিয়ে আছি ওকে দেখে চোখ ফেরাতে পারলাম না ওকে কি যে সুন্দর লাগছে বলেও বুঝাতে পারবো না
.
ওহ অনেক সাজুগুজু করছিলো নাকি
.
হুম একটা নীল শাড়ি পড়ছে সাথে কপালে একটা নীল রঙের টিপ ঠোঁটে হালকা লিপিস্টিক লাগানো পুরো যেনো একটা নীল পরী
.
ওহ বুঝতে পারছি তারপর কি হলো বলেন
.
ও যত কাছে আসছে আমার বুকের হার্টবিট তত বাড়ছে
আর মনে মনে ভাবতাছি ওকে কি আজকে কিস্টা দিতে পারবো
.
হার্ট বিট কাপছে কেনো
.
আর্নিকা তো আমাকে ভালোবাসে না যদি ও আমাকে থাপ্পর মারে
.
হা হা হা
.
এর আগে আমার এক বড় ভাইয়া মোবাইল দেখসিলাম একটা ছেলে একটা ময়েকে কিস করছে পরে মেয়েটা ছেলেটা কে থাপ্পর দিসে এটা মনে পড়ার পর আরো বেশি ভয় বাড়তে শুরু করলো
.
হা হা হাহা পরে
.
সাথে আবার তমা ছিলো তমা যদি বাবাকে বলে দেয় বাবা তো মারবে আমাকে এই কথা মনে পড়ার পর ভয় আরো বেশি বাড়তে লাগলো
.
তারপর
.
আমার মাথা ঘুরপাক শুরু করলো কি করবো বুঝতে পারছি না একদিকে আমার মনে ভয় কাজ করছে অন্যদিকে বন্ধুদের সাথে বাজিতে জিতেই হবে এসব ভাবতাছি ওরা যতই কাছে আসছে আমার হার্টবিটততই কাপছে আর মনে মনে ভাবছি কাছে আসলে চোখ বুঝে কিস করে দোর দিবো
.
পরে কি দিতে পারছেন
.
আর্নিকা ওরা যতই কাছেই আসতেচে আর আমার ভয় বেড়ে যাচ্ছে ওরা প্রায় আমাদের কাছাকাছি চলে আসলো
.
.
# চলবে
0
0