মেরিন এইটি লাইব্রেরি তে গিয়ে বই দেখছিল কিন্তু কোন বই টা নিবে বুঝতে পারছে না।সে এই দিক ওই দিক ঘুরে দেখল একটি ছেলে অনেক মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছিল ,তা সে ছেলেটির কাছে গেল ।
: হাই!
কিন্তু কানেই গেল না ছেলেটার । নাকি ইচ্ছে করেই জবাব দিল না!!
মেরিনা আবার ডাকলো- এই যে শুনছেন ?
পড়া থামিয়ে মাথা তুলে তাকালো ছেলেটা। তারপর চোখ নামিয়ে বলল- জ্বি শুনছি, বলুন!
: কিসের বই এটা?
: এটা বই না ম্যাম । এটা আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থ
“আল কুরআন”।
মেরিনা জন্মসূ্ত্রে ইহুদি হলেও সে নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী।
যুবকের কথা শুনে হাসলো সে।
বলল-
: আসলে ওসব ব্যাক-ডেটেড ধর্ম- কর্মে আমি বিশ্বাসী না। আমার কাছে মনে হয় ফ্রি মুভমেন্টে(স্বাধীন চলাফেরায়) ধর্ম একটা বাইন্ডীঙ্গের মত। এটা করো, ঐটা করো না। এটা বলো , ঐটা বলো না। এরকম হাজারো বিধি- নিষেধ! যেগুলো মেনে চলা আমার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তবে তোমার সুরটা চমৎকার ছিল!😊
নিজের প্রশংসাটা সাবধানে এড়িয়ে গেল যুবক।
: দুঃখিত, আমি আপনার কথায় একমত নই । আমি মনে করি- ইন এভরিথিং একটা বাইন্ডিং থাকাই উচিত।
নিয়ম- নিতীহীন কোনকিছুই সফল কিংবা স্থায়ী হয় না।
প্রতিটা কথাই যুবক অন্যদিকে তাকিয়ে বলছে।
যেটা চোখ এড়ালো না মেরিনের।
তাই পরিচিত হওয়ার ভঙ্গিতে বলল-
: ও হ্যাঁ! আমি মেরিন। বলে হাত বাড়িয়ে দিলো।
: আর আমি সায়েল। হাত না বাড়িয়েই বলল যুবক।
চলবে…