অদ্ভুত সত্য: ৪
সম্প্রতি দু'দিন ধরে একটি খবর নিউজফিডে ভেসে বেড়াচ্ছে, লাহোরে একটি বিড়াল ছানা ধর্ষণের শিকার হয়েছে! তিন মাস বয়সী বিড়াল ছানাটিকে পনেরো বছরের এক কিশোর তার কাজিনদের নিয়ে একত্রে যৌন নির্যাতন চালায়। সিরিয়াসলি! একটি বিড়াল ছানা! বাচ্চাটির যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়ে ছিড়ে যায়। এক পর্যায়ে বিড়ালটি হাঁটাচলা করার শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় লোকেরা বিড়ালটিকে পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায় কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। এমন অসংখ্য নিউজ কয়দিন পরপর ভেসে আসে। কুকুর ধর্ষণ, ছাগল ধর্ষণ, গোরু ধর্ষণ, এমন একাধিক নিউজ পাওয়া যায়। এদেরকে পশু বলে গালি দিলেও তাদের কোনো গায়ে লাগবে না, বরং উল্টো খুশি হবে কেউ তাকে পশুর খেতাব দিয়েছে বলে!
পশু পাখিদের উপর যৌন আকর্ষণ অনুভব করা একটি বিকৃত যৌনাচারের অংশ, এই রোগকে #বিস্টিয়ালিটি অথবা জুফিলিয়া বলা হয়ে থাকে। বেশির ভাগ বিস্টিয়ালিটিতে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় খামারি, রাখাল এবং পোষা কুকুর বেড়াল পালনকারীদের মাঝে। হাতের নাগালে সহজলভ্য থাকায় হঠাৎ ফ্যান্টাসিকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে অস্বাভাবিক এই রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। এর বাহিরেও বহু সংখ্যক মানুষ এই নিকৃষ্ট রোগে আক্রান্ত। পশ্চিমা দেশে অনেকেই আছেন কুকুরকে তারা জীবন সঙ্গী বানিয়ে ফেলেছে। কুকুরের সাথে জাকজমক ভাবে বিয়ে হচ্ছে এমন ঘটনাও আমরা একাধিক সূত্রে দেখেছি। তাদের ভেতর অনেকেই আছে এসব পোষা প্রাণী দিয়ে নিজেদের সেক্সুয়াল চাহিদা মেটায়। বাহিরের দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের দেশেও সংখ্যাটা নেহাৎ কম নয়।
সতর্কতা: পোস্টটি কোনো পশুপাখি পড়বে না, তাই তাদেরকে সতর্ক করার উপায় নেই। কিন্তু মানুষ রূপী কিছু পশুপাখিরা পড়তে পারে। তাদের বলবো যদি এসবের সামান্য কু প্রভাব অন্তরে থেকে থাকে তবে দ্রুত নিজেকে কন্ট্রোল করে ফেলুন, কন্ট্রোলে মুক্তি মেলে। আর যদি ব্যর্থ হয়ে যান তবে দেরি না করে মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে পরামর্শ নিন, আশাকরি উপকার পাবেন।
অদ্ভুত সত্য: ৫
কয়দিন পরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ধরনের ভিডিও ভেসে আসে যেখানে দেখা যায় কেউ একজন তার যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করে নারীদের দেখাচ্ছে। কখনো বাসে, কখনো পথেঘাটে, কখনো গার্লস হোস্টেলের আশেপাশে। এরা সচারাচর দূরে দূরেই থাকে, দূর থেকে অন্যকে দেখিয়ে নিজে যৌন উত্তেজনা উপভোগ করে। কখনো রাস্তার ধারে মূত্র ত্যাগ করার অজুহাতে, কখনও বা সরাসরি। যারাই এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তারা জানেন কতটা বিব্রত পরিস্থিতি তৈরি করে এসব মানুষ। এরা প্রত্যেকে #এক্সিবিশনিজম ফোবিয়াতে ভুগছে। এমন মানুষের শিকার শুধুমাত্র নারীরাই হচ্ছে তা নয়, অনেক পুরুষরাও পুরুষদেরকে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। আমি নিজে একবার এমন দৃশ্য দেখেছিলাম, স্কুলে ক্লাসে এক ছেলে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করে আশেপাশে ছেলেদেরকে দেখাচ্ছে।
এই এক্সিবিশনিজমের রোগীর মাত্রা নারীদের মধ্যেও নেহাৎ কম নয়। অসংখ্য নারী এই বিকৃত ফ্যান্টাসিতে আক্রান্ত। তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজেকে উন্মুক্ত করে দিয়ে তৃপ্তি পেয়ে থাকে। এদেরকে চিনতে হলে একটু চোখ কান খোলা রাখলেই পরিচয় পেয়ে যাবেন। পুরুষদের থেকে নারীরা এদেরকে ভালো ভাবে চিনতে পারবেন। খেয়াল করে দেখবেন তারা আপনাদের সামনে একরকম থাকছে আবার অচেনা কোনো পুরুষ তার আশেপাশে দিয়ে গেলে নিজেকে সে কিছুটা উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। শুধু পুরুষকেই নয় অনেক নারীকেও তারা দেখিয়ে থাকে। এক আপুর মুখে শুনেছিলাম তাদের হোস্টেল নিয়ে কথা। তিনি শুধু এক বাক্যে বলেছিলেন তার হোস্টেলের পরিবেশ দেখে মনে হয় এটা কোনো পতিতালয়! সেখানকার কিছু মেয়েরা সিনেমার দৃশ্যকেও হার মানিয়ে দিয়েছে, তারা কেউ কেউ এতটাই অশালীন ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে থাকে তা দেখে অন্য মেয়েরা লজ্জা পেয়ে যায়। এসব নারীদের মাঝেও কেউ কেউ এক্সিবিশনিজমে আক্রান্ত, এরা নিজেদের আপত্তিকর দেহাংশ অন্যকে দেখিয়ে তৃপ্তি পেয়ে থাকে।
সতর্কতা: এই বিষয়ে সতর্ক বলতে নিজের চোখকে সংযত রাখাটাই উত্তম। যতক্ষণ না সরাসরি আপনার পথে বাঁধা সৃষ্টি করছে, ততক্ষণ না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলুন।
অদ্ভুত সত্য: ৬
পার্কে হাঁটতে হাঁটতে হরহামেশা চোখে পড়বে কাপলরা বসে আছে। কেউ স্বাভাবিক ভাবে বসে, কেউবা অস্বাভাবিক। হঠাৎ কাউকে আপত্তিকর অবস্থাতেও পাওয়া যায়। আরেকটু খেয়াল করে দেখবেন সেই দৃশ্য পেছন থেকে মনোযোগ দিয়ে কেউ একজন উপভোগ করে যাচ্ছে কিংবা ভিডিও করে নিচ্ছে পরে আবার দেখবে বলে। সেই মানুষটা আপনিও হতে পারেন। যদি এমন হয়ে থাকে যে অন্যের অনৈতিক কার্যকলাপ লুকিয়ে দেখে আপনি উত্তেজনা খুঁজে পাচ্ছেন, খুব আনন্দিত হচ্ছেন এবং এই ইন্টারেস্ট আপনাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করছে, তবে জেনে রাখুন এটাও একটি সেক্সুয়াল রোগ। যারা পার্ক উদ্যানে গাছের চিপায় ঘাসের চিপায় কাপল খুঁজে বেড়ায় নিজেকে বিনোদিত করতে তাদের এই রোগকে মেডিক্যালের পরিভাষায় #পীপিং_টম বলা হয়ে থাকে।
সতর্কতা: কখনো পার্ক উদ্যানে আপনার প্রিয় কারো সাথে এমন অবস্থায় থাকবেন না যা অন্যকারো দৃষ্টিগোচরে উপভোগ যোগ্য হয়। তারা কখন ভিডিও করে কই কই ছড়িয়ে দিবে জানতেই পারবেন না। এসব থেকে অনেক ব্ল্যাকমেইলের ঘটনাও ঘটে থাকে।
অদ্ভুত সত্য: ৭
একজন মা তার বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দৃশ্যটা অনেক পবিত্র, অনেক ভালোবাসার। কিন্তু সবার দৃষ্টি কি এক? না, কিছু মানুষের কাছে ব্রেস্ট ফিডিং করানোর দৃশ্য তার মস্তিষ্কে যৌন উদ্দীপনা তৈরির মুখ্য কারণ! কিছু মানুষ আছে এমন দৃশ্য উপভোগ করতে সদর হাসপাতালে মা, শিশু, মহিলা এসব ইউনিট গুলোতে রোগীর আত্মীয় সেজে ঘুরে বেড়ায়। এই ধরনের বিকৃত আকর্ষণকে #গ্যালাকটোফিলিয়া বলা হয়ে থাকে।
কিছু মানুষ ছেলে/মেয়ের মূত্র ত্যাগ করতে দেখে আকর্ষণ অনুভব করে। এই রোগকে বলা হয় #ইউরোল্যাগনিয়া
কেউ আবার কাউকে বমি করতে দেখেও সুখানুভূতি পায়! -_- এটাকে বলা হয় #এমেটোফিলিয়া (কেউ এমন রোগীর খোঁজ পেলে আমাকে জানাবেন, তাকে দেখার খুব ইচ্ছা!)
সতর্কতা: বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় পর্দা অনুসরণ করুন। নিরাপদ জায়গা খুঁজুন। এবং পথেঘাটে বাচ্চাদের মূত্রত্যাগ করাতে হলে ওড়না চাদর কিংবা নিজে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে যথাসম্ভব আড়াল করে রাখুন।
সব বিষয় যেহেতু আমি বিভিন্ন অথেন্টিক সোর্স থেকে জেনেছি তাই বাস্তব জীবনের বাস্তব ঘটনার সাথে মিলিয়ে গল্পাকারে তুলে ধরছি যাতে বুঝতে এবং সতর্ক হতে সুবিধা হয়৷