ইরা মেয়েটার গায়ের রং কালো।ঠিক কালো বললে ভুল হবে।শ্যামলা বলা যায়।যথেষ্ঠ মায়াবতী চেহারার অধিকারী ইরা।কবি-সাহিত্যকরা বলে থাকেন যে কালো মেয়েরা খুব মায়াবতী হয়।হয়তো।ইরার বাবা আলতাফ সাহেবের বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের কয়েকটা গার্মেন্টস,ফ্যাক্টরী রয়েছে।ইরা যে বাড়িতে থাকে সেটা পাঁচ তলা বিশিষ্ট।আলতাফ সাহেব সকাল দশটা খাওয়া দাওয়া করে বের হয়ে যায় আবার রাত বারোটা বাসায় ফিরে।আমেনা দীর্ঘ কয়েকবছর যাবত ইরাদের বাসায় কাজ করছে।এতদিনে ইরাদের পরিবারের একজন হয়ে গেছে।
ইরা বেলকনিতে বসে একটা গল্পের বই পড়ছে।আর বাহিরের জগতটাকে একটু বুঝবার চেষ্টা করছে।ইরার জগত বলতে এখন টিভি দেখা আর বিভিন্ন ধরনের লেখকের বই পড়া।আলতাফ সাহেব মেয়ের জন্যে বই এনে দেয়।প্রতিমুহূর্তে আমেনা বেগমকে দুধের গ্লাস হাতে বেলকনিতে দেখা গেল।আমেনা বেগম বলল।
-ইরা মা দুধটা রেখে গেলাম।সময়মতো খেয়ে নিও।
-ঠিক আছে খালা।
ইরা হুয়েল চেয়ারটা হাত দিয়ে ঘুরিয়ে দুধের গ্লাসটা হাতে নিল।ইরার বয়স যখন তেরো বছর তখন একবার মায়ের সাথে নানার বাড়ি যাওয়ার সময় গাড়ি এ্যাকসিন্ডেট ইরার মা মারা যায় আর ইরার দুইটা পায়ে আঘাত লাগে।পরে ডাক্তারেরর কথামতো পা দু'টো খেটে ফেলতে হয়।আলতাফ সাহেবের বন্ধুবান্ধবরা অনেক পীড়াপীড়ি করলেও ইরার কথা ভেবে আর ওনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন নাই।ইদানিং আলতাফ সাহেব অনেক রাত করে বাসায় ফিরেন।আমেনা টেবিলে খাবার রেখে গেলেও আলতাফ সাহেব খাবার ছু্ঁয়েও দেখে না।সকালে এসে আবার আমেনাকে খাবার ফেলে দিয়ে আসতে হয় নিচে।ইরার জন্যে আগের মতো এখন আর আগের মতো বই চকলেট নিয়ে আসে না আলতাফ সাহেব।ইরার সাথে তেমন আগের মতো আর কথাবার্তাও বলে না আলতাফ সাহেব।
কাকডাকা ভোর।যান্ত্রিক শহরের মানুষের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে।আমেনা বেগম ইরার দাত মাজার জন্যে বাশ আর টুথপেস্ট দিয়ে গেছে সাথে মগে করে পানিও।আমেনা বেগম ইরাকে বলল।
ইরা আজকেও তোমার আব্বা বাসা ফিরে নাই।যখন বাসা থাকে তখন দেকি মোবাইল নিয়ে কার সাথে অনেকক্ষন যাবত কথা বলে।ইরা নৈঃশব্দ।আমেনা সকালের নাস্তা তৈরি করার জন্যে চলে গেল।ইরা একটা গল্পের বই পড়ছে।গল্পটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছে ইরা।গল্পের নায়িকার বাবা সুলেমান এর বউ মারা যাবার এক মাস যেতে না যেতেই নতুন বউ নিয়ে একদিন বাসায় হাজির।গল্পটা পড়ে ইরা একটু আটকে যায়।তবে কি তার আব্বাও একদিন নতুন বউ নিয়ে বাসায় হাজির হবে।হয়তো? আবার অনেক সময় প্রশ্ন জাগে তার আব্বা কোনসময় এমনটা করবে না।কলিংবেলের দীর্ঘক্ষন যাবত আওয়াজ শুনা যাচ্ছে।আমেনা ছাদে গিয়েছে কাপড় রোদে দিতে।কলিংবেল একের পর এক বেজেই যাচ্ছে।ইরা হাজারো রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে।তার আব্বা কি নতুন কাউকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে?
@Greebajj ভাইয়া পড়েন গল্পটা৷ জানাবেন কেমন হলো
উফফফ গল্পটা অনেক সুন্দর হইছে। আমি আগে অনেক গল্পের বই পরছি । এখন পড়া হয় না। 😥। এই গল্পে আমি আমার সেই আগের মজাটা পেলাম। খুব ভালো লাগলো পড়ে। দোয়া করি আরো সুন্দর সুন্দর গল্প পোষ্ট করেন। অনেক অনেক লাভ কামনা মন থেকে।