ফারাবির বয়স তখন ১৬ বছর। মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন ছাত্র। বই পড়তে খুব ভালবাসে তবে বিদ্যালয়ে পাঠ্য বই নয়। পাঠ্যবই যেন তার কাছে বড় মাথা্র বোঝা। তার পছন্দের তালিকায় ছিল সাইন্স ফিকশন, সাহিত্যের নানা স্তরের বই।
তাই তো বই পড়ার ইচ্ছা হলেই বইয়ের দোকান থেকে কয়েকটা বই নিয়ে আসত চুপি চুপি। চুরি বললেও ভুল হবে না। এই দিক দিয়ে পটু ছিল সে। কেউ বুঝে ফেলার আগেই ২-১ টা বই বেগে ভরে দ্রুত দোকান ত্যাগ করত। কেউ টেরও পেত পটু বই চোরের চুরি।
হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।তার মা ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাকে অসুখ থেকে সারিয়ে তোলার জন্য। সপ্তাহ খানেক বিছানায় পড়ে থাকার পর তার বই পড়ার ইচ্ছা তীব্র হয়। কারণ সেই কয়েকদিন নতুন কোনো তার পড়া হয় নি। কোনো মতো অসুস্থ দেহ নিয়ে শহরের একমাত্র বইয়ের দোকানে।কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়। বন্ধ ছিল সে দোকান। বই পড়া যার নেশা সে কি আর থেমে থাকে! হেটে হেটেই চলল পাশের শহরে। পাশের শহরটা বেশ আধুনিক। অনেক বড় বড় দোকান শপিংমোল। শহরের ঠিক মাথায় ইয়া বড় এক বইয়ের দোকান দেখে তার মন ভরে গেল। রীতিমতো ডুকে পড়ল দোকানে।দোকানের গার্ড একটু সন্দেহের চোখে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করল ফারাবিকে।
অনেক অনেক বই।কোনটা ছাড়বে কোনটা নিবে বুঝে উঠতে পারছে না।অনেক খোজা-খোজির পর ২ টা বই ওর পছন্দ হল। চুরি করার চিন্তা করল বই গুলো। টি-শার্টের ভেতরে বই ২ টি রেখে দিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় গার্ডের কাছে ধরা পড়ল। দোকানের মালিক রেগে আগুন। রাস্তা থেকে লোক ডেকে এনে অনেক মার মারল ফারাবিকে। লাথি ঘুষি চর। এমন নির্মম ভাবে বধয় কুকুর কেউ মারে না। ঘাড় ধরে বের করে দিল শহর থেকে।
অসুস্থ শরীর তার উপর মারের আঘাতের ব্যাথ্যা নিয়ে বাসায় ফিরল। মা-বাবা সব বুঝে ফেলে প্রচন্ড বকা দিল। সব থেকে সব থেকে বড় শাস্তি যেটা পেল সেটা ছিল লজ্জা। পড়ে কয়েক বছর পর অবশ্য সে নিজেই একজন লেখক হিসেবে আত্মপ্রকার করে ফেলল এবং একজন জনপ্রিয় লেখক হিসেবে তরুণদের কাছে পরিচিতি পেল…
বাহ অসাধারণ গল্পটা ,ভালো লাগল অনেক, আসলে ইচ্ছাশক্তিটাই সব,ইচ্ছা থাকলে বিশ্ব ও জয় করা জায়,ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা গল্প আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য, পড়তে পেড়ে ভালই লাগছে,