তুমি বলেছিলে, "আমি এমনই। মাঝে মাঝে তোমায় কাছে পেতে ইচ্ছে হবে, মাঝে মাঝে ইচ্ছে করবে তোমায় দূরে সরিয়ে রাখতে।"
আমি ভেবেছিলাম, এ আর এমন কি? ভালোবাসার জন্য এতটুকু করতে পারবো না?
তুমি বলেছিলে, "পরিবর্তন দরকার। আমি এক সূতোয় বাঁধা পড়তে চাই না।"
আমি ভেবেছিলাম, বাঁধা পড়তে হবে না। দিনশেষে সূতো ছিড়ে আমার উঠোনে পড়লে, কুড়িয়ে নিবো; তাতেই সুখ হবে আমার।
অথচ, তখনও বুঝিনি ভাবাটা যত সহজ, করাটা ততো সহজ নয়। ভালোবাসার জন্য ধর্ণা দিতে আমি কখনো কৃপনতা করিনি। কিন্তু, পৃথিবীতে সবকিছুতেই দেনা পাওনার একটা হিসেব যে থেকে যায়। একশ দিলে এক পাবার আশা অন্তত থেকে যায়। আমার সেই একও পাওয়া হলো না। হিসেবের খাতায় শূণ্য বসাতে বসাতে নিজেই পরিণত হয়ে গেলাম শূণ্যতে। অথচ, পৃথিবী শূণ্যতা পছন্দ করে না। চাইলেই প্রকৃতির নিয়ম মেনে হারিয়ে যেতে পারি, কিন্তু, জীবনে যতটুকু দিয়েছি, তার হিসেবটুকু যে মেলাতে হবে। একটা শূণ্য নিয়ে ফিরে গেলে প্রকৃতিই বা কী আমায় মেনে নিবে? তাই, বোধহয় প্রস্থানই আমার একমাত্র পন্থা।
ভালোবাসলেই যে ঘর একসাথে বাঁধতে হবে, এমন তো কোনো নিয়ম নেই। থাকলে বোধহয় এই পৃথিবীতে কাউকেই আর কখনো অসুখী হতে হতো না। তাই, নিয়ম মেনেই ভালোবাসা বুকে রেখে সরে যাচ্ছি দূর থেকে অনেক দূরে... তবুও ভয় হচ্ছে খুব। কিসের ভয়? এতোদিনের অভ্যাস ছেড়ে যাওয়ার? ভুলে যাবে- তার? বোধহয় না। ভয়টা বোধহয়, ভালোবেসেছি যাকে তাকে ছেড়ে বেঁচে উঠার। তবুও, ভয় দিয়ে কী পৃথিবী চলে?
পৃথিবীর যে প্রান্তেই নিবাস হোক তোমার, থাকবে তুমি হৃদয়ের মণিকোঠায়। তবু থাকবে তুমি। জানি, তোমার আরেকটা নিবাস হবে। নতুন করে শুরু হবে জীবন, যে জীবনে থাকবো না আমি, থাকবে না আমার কোনো ছাঁপ। না থাকুক, তবুও তুমি ভালো থেকো, ভালোবাসায় থেকো বুকের বা'পাশটিতে। আর ব্যর্থ আমি বোহেমিয়ানের মতো চলতে থাকবো সময়ের সাথে। কেননা, যে জীবনে তুমি নেই, সে জীবনে আমার কোনো নিবাস নেই। এটাই বোধহয় আমার জীবন। নিবাসহীন ক্লান্ত ছুঁটে চলা। কি আর করার বলো? সব পথিকের কী আর একটা নিজস্ব নিবাস থাকতে হয়?
লেখক অনেক সুন্দর এবং সহজ ভাষায় আর্টিকেল লিখেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তার জন্য তাকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি এই ধরনের আর্টিকেল আপনি আরও আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন।