গল্প:- পিচ্চি বউ এর ভালোবাসা
পর্ব:- ০২
!
আর ওকে ঘুমিয়ে পিচ্চির মতো লাগছে,
!
হঠাৎ কিছুক্ষণ পর আমার পিচ্চি বৌ আমার গায়ে ওর পা তুলে দেয়,
আশ্চর্য ওর কি আমাকে কোলবালিশ বলে মনে হয়,
তখনি হঠাৎ আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,
!
আর আমি ও উপায়ন্তর না দেখে পিচ্চি বৌ কে জড়িয়ে ধরি,
!
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বৌ এখনো,
আমার বুকে মুখ গুজে ঘুমোচ্ছে,
তাই আমি ওকে না ডেকে চুপচাপ উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি,
এসে দেখি পিচ্চি এখনো ঘুম,
তাই আমি ওকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে আস্তে আস্তে ডাকতে শুরুকরি,
কিন্তু একি ম্যাডামের কোনো হেলদেল নেই,
তাই আমি মনের ভুলেই বৌয়ের গালে কিস করে বসি,
আর ওমনি আমার বৌ চোখ ডলতে ডলতে উঠে পরে,
আর তখন আমি ওর দিকে প্রেমিক পুরুষের ন্যায় চেয়ে থাকি,
!
কি হলো ভাইয়া এভাবে কি দেখছ?
!
কিছুনা,
তোমার ঘুমোতে কোনো অসুবিধে হয় নি তো?
!
না ভাইয়া,
আচ্ছা আমি আসি,
!
আরে কোই যাও তুমি?
!
ভাইয়া ফ্রেশ হতে যাই,
!
ওকে,
তারপর আমার পিচ্চি বৌ শুধু ব্লাউজ, পেটিকোট আর টাওয়াল নিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়,
ফ্রেশ হয়ে এসে আমাকে বলে,
!
আমাকে সাড়ি পরিয়ে দাও না ভাইয়া,
!
হ্যা দিচ্ছি আমার কাছে দাও,
বাসর রাতে আর কিছু হোক না হোক একটা জিনিস হয়েছিল,
আর সেটা হলো বৌ কে সাজুগুজু করিয়ে দাওয়ার স্বার্থে ইউটিউবে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখেছিলাম,
কারন আমি বুঝে গেছিলাম আমার বৌ কে আমারি হাতে সাজাতে হবে প্রতিদিন,
!
বৌ কে সাড়ি পরিয়ে আমি বিছানায় শুয়ে পরি,
!
তখনি হঠাৎ কেউ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়,
তাই পেছন ফিরে তাকাতেই দেখি,
পিচ্চি টা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,
তখন আমি ওকে জিজ্ঞেস করি,
!
তোমার কি আমার সামনে লজ্জা করে না?
!
না কেন করবে ভাইয়া?
ফুফিআম্মু তো বললো স্বামীর কাছে লজ্জা পেতে নেই,
আমার কোনো সমস্যা হলে তোমাকে বলতে বলেছে,
তুমি নাকি আমার স্বামী?
!
হ্যা আমি তোমার স্বামী,
তোমার কি কোনো সন্দেহ আছে?
!
না মানে ভাই-বোনে বিয়ে হয় কেমনে?
!
হইলে তো কিছু করার নেই,
আর যা হওয়ার তো হয়ে গেছে,
!
(এইরকম গল্প পড়তে চাইলে আর গল্প মিসস করতে না চাইলে,,,,আইডি তে flowing করে see first করে রাখুন।)
ঠিক বলেছ ভাইয়া,
!
তখনি হঠাৎ আমার ফোন টা বেজে ওঠে,
রিসিভ করতেই রিয়ায় কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই,
!
কি হলো কাঁদছ কেন?
!
সত্যি করে বলো তো তুমি কি তোমার বৌ কে ছুঁয়েছ?
ওর ক্লোজ হয়েছ?
ওর সঙ্গে ফিজিক্যালি কিছু করেছ?
!
না করিনি ছুঁই ওনি কারন আমি তোমার কাছে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ,
আর তুমি এমন কেন?
আমার ওপরে একটু ও আস্থা নেই?
কথায় কথায় সন্দেহ করো,
দেখো এমন হলে রিলেশন টিকিয়ে রাখা অসম্ভব,
আর আমার মেজাজ টা তুমি পুরোই বিগড়ে দিয়েছ,
তাই চৌদ্দবার ফোন করে বিরক্ত করবেনা কেমন?
!
না মানে আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে?
!
নো চান্স কারন আমার শরীর ভালো নেই,
!
দেন আমি আমার ফোন টা সুইচ অফ করে দেই,
!
কি হলো ভাইয়া রেগে আছো কেন?
!
কিছুনা,
ভাগ্যিস রিয়া কে কালরাতের কথা আর আজ সকালে বৌয়ের কথা বলিনি নইলে তো হার্ট এ্যাটাকে মারা যেতো,
যদি শুনতো আমি আমার এই পিচ্চ বৌ কে সাড়ি পরিয়ে দিচ্ছি চুমু খাচ্ছি তাহলে তো জায়গায় পটল তুলতো,
কিন্তু আমি ওকে মিথ্যা বললাম কেন?
যে আমার শরীর খারাপ?
আমি তো ওকে মিথ্যে কথা বলিনা,
!
এসব ভাবতে ভাবতে আয়নার দিকে তাকাতেই দেখি,
!
মিশকা আয়নার সামনে বসে ওর ভিজে চুল গুলো নিয়ে টানাটানি করছে,
কিন্তু কিছুতেই কিছু করতে পারছে না,
!
তাই আমি উঠে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে ওর চুল শুকিয়ে দেই,
চুল শুকিয়ে আমার হাতে হেয়ার ড্রায়ার দেখে কেঁদে ফেলে মিশকা,
!
কি হলো তুমি কাঁদছ কেন?
!
ভাইয়া এটা পচা আমার এতো এতো লম্বা চুল নষ্ট করে দিবে,
!
কেন করে দিবে?
!
ছোটো বেলায় একবার আমার সব চুল এটার মধ্যে ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছিল,
তাই চুল কেটে ফেলতে হয়ে ছিল,
!
আমি আছিনা কিছু হবেনা,
!
সত্যি?
!
ইয়েস পিচ্চি,
বাট তুমি এখন কেঁদো না প্লিজ,
!
কিন্তু বৌ আমার থামার নামি নিচ্ছে না,
ও যদি এভাবে কাঁদতে থাকে আমার তো তাহলে মসিবত হয়ে যাবে,
!
সবাই তো ভাববে আমি কাল বাসরে ওর সঙ্গে পাগলের মতো কিছু করেছি,
হায় আল্লাহ এখন কি হবে?
আর তখনি আম্মুর ডাক পরে যায়,
দরজা খুলতেই মিশকা গিয়ে আম্মু কে জড়িয়ে ধরে ভ্যা ভ্যা করে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়,
!
কি হলো মা কাঁদছিস কেন?
!
ফুফিআম্মু তোমার ছেলে না খুবি খারাপ খুবি পচা ওর সঙ্গে আমার বিয়ে কেন দিয়েছ?
!
হায়রে আল্লাহ এখন কি হবে?
আমাকে না জানি সবাই কি ভাববে?
!
তখন আম্মু আব্বুু দিকে তাকিয়ে দেখি,
!
আমাকে দেখে তারা মৃদু মৃদু হাসছে,
কি যে অবস্থা?
এতো চুরি না করেই চোর বনে গেলাম,
!
ধুর বাবা ভাল্লাগেনা এর থেকে চুরি টা করে চোর হলে না বেশী ভালে হতো,
!
তখন আব্বু আমাকে বলে,
!
কি ভাবছ বাবা?
!
কিছু না তোমার বৌ মা গেল কোই?
!
তোমার আম্মু ওকে নিয়ে গেছে,
!
ওহহহ আচ্ছা,
!
একটা কথা বলি?
!
হ্যা বলো আব্বু?
!
বাচ্চা তো এতো প্রেসার দিয়ো না,
জানি যে নতুন নতুন বিয়ের পর এমন একটু হয় তবুও বলছি যেন আর এমন না হয়,
!
আচ্ছা আব্বু মনে থাকবে,
আজব তো কিছু করলামি না আর সবাই আমাকে জ্ঞান দিতে উঠে পরে লেগেছে,
!
দেন আমি ব্রেকফাস্ট করতে নিচে চলে যাই,
!
সেখানে গিয়ে দেখি আম্মু আমার পিচ্চ বৌ টাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে,
আর পিচ্চি টাও বাচ্চার মতো একটু একটু করে খাচ্ছে,
!
খাওয়া দাওয়া শেষে আব্বু আমাকে জানায় আমাকে বিজনেসের কিছু অফিসিয়াল কাজের জন্য uk যেতে হবে,
!
তখন আমি ও মুখ ফসকে বলে ফেলি,
!
তোমাদের বৌ মা কেও কি সাথে করে নিয়ে যাবো?
!
তখন আম্মু আমাকে হেসে হেসে বলে,
!
তোমার আমার মেয়ে কে নিয়ে কাজ নেই গো বাবা,
ওকে তুমি আমার কাছে রেখে যাও,
একদিনেই তো অবস্থা খারাপ করে ফেলেছ ওর,
জানিনা ওখানে গিয়ে আবার কি করবা,
কাজেই আমার মেয়ে আমার কাছে থাক,
!
আম্মুর কথা গুলো শুনেই সবাই হা হা করে হসে দেয়,
আর আমার তাতে মেজাজ টা বিগড়ে যায়,
তবুও খাওয়া শেষে ব্যাগ প্যাক করতে রুমে চলে যাই,
!
সেখানে গিয়ে দেখি,
আমার পিচ্চি বৌ নিজের হাতে আমার ব্যাগ টা প্যাক করে দিচ্ছে,
!
ওর ব্যাগ প্যাকিং শেষে খেয়াল করে দেখি,
!
বৌ আমার আন্ডারওয়্যার গুলো বাদে সবকিছুই প্যাক করেছে,
!
তাই আমি ওকে গিয়ে বলি,
!
এই পিচ্চ আন্ডারওয়্যার গুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়ে দাও,
!
না আমার লজ্জা করে,
!
কেন?
!
ওগুলো পচা,
!
কেন ওরা কি করেছে?
!
ওরা টিভি তে অ্যাড করে আমি দেখেছি,
একটা লোক নাঙ্গুপাঙ্গু হয়ে এই ছোটো ছোটো প্যান্ট গুলো পরে বডি মাসাল দেখিয়ে অ্যাড করে,
কি লজ্জা কি লজ্জা ছিছিছি,
!
পিচ্চির কথা গুলো শুনে হেসে ফেলি আমি,
!
তাই আমি ওকে হেসে হেসে বলি,
!
শুধু এই গুলোর অ্যাড দেখেছ?
আরো তো অনেক কিছুর অ্যাড দেয় সে গুলো দেখনি?
!
তখনি খেয়াল করে দেখি পিচ্চিটা লজ্জা পাচ্ছে খুব,
!
কি হলো লজ্জা পাচ্ছ কেন?
!
আসলে ভাইয়া ছেলেরা না খালি গায়ে কেমন যেন লাগে তাই?
!
ও এই কথা,
দাড়াও পিচ্চি তোমাকে দেখাচ্ছি মজা,
!
ওকে মজা দেখাতে গিয়ে ওরি সামনে আমার পাঞ্জাবি টা খুলে ফেলি,
আর ও লজ্জায় লাল হয়ে যায়,
দেন আমি ওকে আরো ভয় দেখাতে এক পা এক পা করে ওর ক্লোজ হতে থাকি আর পিচ্চি ও ভয় পেয়ে একটু একটু করে পেছাতে থাকে,
!
এভাবে আগাতে আগাতে পেছাতে পেছাতে আমরা আলমারির সাথে গিয়ে ধাক্কা খাই,
আর তখন আমি শার্ট বের করে ওকে দেখিয়ে বলি,
!
ভয় পাচ্ছ কেন আমি তো রেডি হতে শার্ট কোর্ট নিতে এসেছি,
!
ও তাই?
!
হুমমমমম,
!
তখন ও আমার বুকের ওপরে হাত রেখে বলে,
!
আচ্ছা ভাইয়া যাওয়ার আগে আমাকে মিষ্টি দিয়ে যাবে তো?
!
হুমমমম,
!
ভাইয়া তুমি না খুব ফর্শা একদম আমার মুয়িম ও মুইন ভাইয়ার মতো,
!
তাই?
!
হুমমমমমম,
!
কেন জানি ও আমার কাছে আসায় মোটে ও বিরক্ত লাগছেনা আমার,
আর ওকে ছেড়ে যেতেও মন চাইছে না আমার,
!
এতো পিচ্চি ও একা একা থাকবে কি করে?
!
কি হলো ভাইয়া কি ভাবছ?
রেডি হবে না?
!
হ্যা হচ্ছি,
দেন আমি রেডি হয়ে এয়ারপোর্টের জন্য বাসার বাহিরে গিয়ে দাড়াই,
তখনি আমার খেয়াল হয় যে আমি ওকে মিষ্টি দিয়ে আসিনি,
আমার মন প্রাণ চোখ দুটো যেন ওকেই খুজচ্ছে,
এই দুদিনে ও আমার মনে একটু হলেও যায়গা করে নিয়েছে,
!
তখন খেয়াল করে দেখি বাসার সবাই আমাকে এগিয়ে দিতে আমার সাথে গেট পর্যন্ত আসলেও আমার পিচ্চি বৌ টা আসেনি,
!
ও কি রাগ করেছে মিষ্টি বা দাওয়ায়,
তখন পকেটে হাত দিয়ে দেখি ফোন টা পকেটে নেই,
নির্ঘাত রুমে ফেলে এসেছি,
এই তো সুযোগ পিচ্চি টাকে মিষ্টি দেওয়ার তাই আমি এক দৌড়ে বাসায় ছুটে যাই,
!
বাসায় ঢুকেই দেখি বৌ আমার ফোন নিয়ে শিরি দিয়ে নামছে,
কিন্তু আমি তার তোয়াক্কা না করে দৌড়া শিরি দিয়ে উঠে ওকে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেই,
!
সত্যি ওকে মিষ্টি দিয়ে মন টা ভালো হয়ে গেছে আমার,
তাই আমি ওকে গেটের কাছে নিয়ে যাই এবং আমার পিচ্চি বৌ আমাকে সবার সামনে ফ্লাইং কিস ছুড়ে বিদায় জানায় তখনি সবাই হা হা করে হেসে দেয়,
!
আর আমি ও খুশি মনে এয়ারপোর্টে চলে যাই,
আমি জানি আমার ওকে নিয়ে টেনশন হচ্ছে কারন ও আমার ভালোবাসা না হলেও বিয়ে করা বৌ,
তাই ওর ওপরে আমার কিছু দায়িত্ব কর্তব্য আছে,
আর এগুলো আমাকে পালন করতে হবে অ্যাট এনি কষ্ট,
uk এর ফ্লাইটে বসে ও আমার বৌ টাকে মিছ করছি এমন আমি,
!
Uk গিয়ে হোটেল প্যারাডাইসে পৌঁছে ফ্রেশ হয়েই পিচ্চি বৌ টাকে ভিডিও কল করি,
!
পিচ্চি টা কল রিসিভ করতেই মেজাজ টা বিগড়ে যায় আমার,
তাই আমি ওকে বকা দিয়ে বলি,
!
এই পিচ্চি এই এতো পতলা সাড়ি পরেছ কেন?
আর এই এটা কি ব্লাউজ পরছ?
যাও গিয়ে চেঞ্জ করে আসো,
!
তুমি আমাকে বকছ কেন ভাইয়া?
!
একটা মাইর দিবো যাও গিয়ে চেঞ্জ করে আসো,
!
তারপর পিচ্চি বৌ টা ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি গিয়ে সাড়ি ব্লাউজ চেঞ্জ করে আসে,
!
এখন তো বলো বকলে কেন ভাইয়া?
!
তেমার ব্লাউজের গলা বড় তাই ,
!
এটা শোনর আগেই পিচ্চি টা ফোন কেটে দেয়,
চলবে----
0
9