গল্পঃ অহংকারি জেদি মেয়ে
২য় পর্ব
লেখকঃ ইমরান হোসেন
.
রিয়াঃআব্বু আমি যখন কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম তখন ইমরান আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলো।
.
রিয়ার কথা শুনে রিয়ার বাবা কথায় জানি গেলো।একটু পর হাতে একটা বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে এলো।
রিয়াঃবন্দুক নিয়ে কথায় কথায় যাচ্ছ আব্বু?
রিয়ার আব্বুঃআজকে ইমরানকে খুন করবো।এর আগে অনেক মাফ করেছি নিহাত ইমরানের বাবা আমার বন্ধু বলে।কিন্তু এবার কিছুতেই মাফ করবো না।ইমরান কে খুন করে তবেই বাড়ি ফিরবো।
রিয়াঃনা আব্বু তুমি এইরকম করিও না।খুন করলে তোমার পুলিশ কেস হয়ে যাবে।তুমি ইমরানের বাবার কাছে নালিশ জানাও।
রিয়ার আব্বুঃওকে তাহলে এখনি চল ইমরানদের বাসায়।
.
বিকেলে বসার ঘরে বসে বাবা মায়ের সাথে টিভি দেখছিলাম তখনি কলিং বেল বেজে উঠলো।বাবা গেলো দরজা খুলতে।দরজা খুলেই বাবা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে
বাবাঃআরে হোয়াট আ সারপ্রাইজ, রফিক তুই আমার বাড়িতে?(রিয়ার বাবার না রফিক)
আব্বুকে অবাক করে দিয়ে রিয়ার আব্বু বললো
রিয়ার আব্বুঃতুই একটা কুলাঙ্গার ছেলে জন্ম দিয়েছিস আমি ভাবতেও পারিনি?
বাবাঃকেনো কি করেছে ইমরান?আর তুই এইরকম করে কথা বলছিস কেনো?
রিয়ার আব্বুঃতোর মতো চরিত্রহীন বাবার সাথে আর কিভাবে কথা বলা উচিত?আমারতো মনে হয় তোরো চরিত্র এমন ছিলো তাই এইরকম ছেলের জন্ম দিয়েছিস।
বাবা এইবার কেদেই দিলো
বাবাঃতুইতো আমাকে ছোটো থেকে জানিস তুই আমার সমন্ধে এইরকম কথা বলতে পারলি?
আমি ওখানেই দাঁড়িয়ে সব শুনছিলাম। আমার বাবার চরিত্র নিয়ে এইরকম কথা বলা আমার একদম সহ্য হচ্ছিল না।তাই আমি যেইনা কিছু বলতে যাবো ওমনি মা আমার হাত ধরে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিলো।মা আমাকে ভালো করেই জানে আমার রাগ উঠলে আমি কি থেকে কি করি তা আমি নিজেও জানিনা।আমি ঘরের ভেতর থেকেই তাদের সব কথা শুনতে পারছিলান।
রিয়ার আব্বুঃআমার মেয়ের দিকে তাকিয়ে দেখ কি অবস্থা করেছে তোর ছেলে?
বাবাঃমানে কি বলতে চাইছিস তুই?
রিয়ার আব্বুঃতোর ছেলে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলো।
রিয়ার আব্বুর কথা শুনে বাবা মাথায় হাত দিয়ে ফ্লোরে বসে পরলো।বাবা কি বলবে বুঝতে পারছে না কারণ দোষটা তার ছেলের।কোনো মেয়ের এইরকম কাপড়ের অবস্থা দেখে সবাই বিশ্বাস করবে তার কথা।
.
রিয়ার আব্বুঃতোর যদি সামান্য টুকু লজ্জাবোধ থাকে তাহলে তোর ছেলেকে শাসন করবি।তোর ছেলে বলে আমি তাকে মারিনি।তোর ছেলের জায়গায় যদি অন্য কেউ হতো তাহলে আমি তাকে খুন করে ফেলতাম।
এইরকম অনেক কিছু গালি দিয়ে রিয়া ও তার আব্বু চলে গেলো।এইদিকে বাবা তার বন্ধুর এইরকম কথা সহ্য করতে না পেরে কান্না করেই যাচ্ছে সাথে মায়েরও চোখে পানি।এই প্রথম বাবাকে কাদতে দেখলাম তাও সেটা আমার জন্য। বাবা আমাকে তার বেল্ট দিয়ে মারতো লাগলো।আমি একটুও বাধা দিলাম না।বাবা যদি আমাকে মেরে কিছুটা শান্তি পায় তাহলে পাক।বাবার শান্তির জন্য আমার সামান্য টুকু বেল্টের মার কিছুই না।আম্মু কিছু বলছে না শুধু কাদছে।একবার মনে হলো সত্যিটা বাবা মাকে বলি যে রিয়ার ওগুলো সব অভিনয় ছিলো আমাকে ফাঁসানোর জন্য কিন্তু পরক্ষণেই মনে হলো এখন তারা আমার কথা বিশ্বাস করবে না তাই বলতে যেয়েও থেমে গেলাম।
বাবা আমাকে ইচ্ছামতো মারার পর আমাকে বাসা থেকে বের করে দিলো।অবশ্য এটা হওয়ারি ছিলো।বাসা থেকে বের করে দেওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ঔষধ নিয়ে খেলাম ফলে ব্যথাটা অনেকটা কমলো।
আনমনে রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আর কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো ভাবছি।রিয়া আমার সাথে এটা কেনো করলো?কি ক্ষতি করেছিলাম আমি তার?শুধুমাত্র একটা চুমুইতো খেয়েছিলাম এর বদলে রিয়া আমাকে চর মারতো,গুন্ডা দিয়ে পিটাতো তাও আমি কিছু মনে করতাম না কিন্তু এভাবে আমার বাবাকে কষ্ট দেওয়ার কোনো মানেই হয়না।আজকে আমার জন্য বাবা তার বন্ধুর কাছে ছোট হলো। অবশ্য আমার জন্য এইসব হলো না বলে রিয়ার জন্য হয়েছে বললে ভুল হবে না কারন রিয়ার মিথ্যা অভিনয়ের জন্যই এইসব হলো।রিয়াকে আমি কোনোদিন ক্ষমা করবো না।এইসব ভাবছি আর রাস্তা দিয়ে হাঁটছি।
রাত ঘনিয়ে এলো।রাস্তার চারদিকে লাইট আর লাইট।কেনো জানি লাইটের আলোগুলো খুব বিরক্ত লাগছিলো।বাবার মারের আঘাতগুলো প্রচন্ড বেথা হচ্ছিল।শরিরের সব ব্যাথাই রাতে একটু বৃদ্ধি পায়।
রাত হয়েছে কথায় যাবো,কি করবো এইসব না ভেবে আমার শুধু একটা কথাই মাথায় আসছে রিয়া আমার সাথে এটা কিভাবে করতে পারলো?প্রচন্ড খিদে লেগেছে। পাশেই একটা রেস্টুরেন্ট দেখতে পেলাম। সেখানেই খেতে গেলাম
খাবার হাতে নিয়েই রেখে দিচ্ছি,কেমন জানি খেতে ইচ্ছে করছে না আবার খিদেও লাগছে।পেট বলছে খা আর মুখ বলছে খেওনা ।
কিছুক্ষণ ধরে দেখছি একটা বয়স্ক আমার কান্ড কির্তি ফোলো করছে।একটু পর লোকটা এগিয়ে আসলো আমার পাশের ছিটে বসলো
.
চলবে..??
0
30