নেতার রাগী মেয়ে১৭+১৮

0 165
Avatar for Koly
Written by
3 years ago

নেতার_রাগী_মেয়ে___

#পর্ব ১৭+১৮

কিহহহহহহ?৫ হাজাররররররররররররর(মিম হা করে রইল)

.

--হুম ৫হাজার!তোরা মাত্র ১হাজার টাকার বাজি ধরেছিস,আর আমি ৫ হাজাররররররর(আমি)

.

--কিন্তু সেটা কিভাবেএএএএএ(মিম)

,

--সেটা জেনে তুই কি করবি?আর নিলা সজিব আমার টাকা দে,,বলছিনা মিম আজকে আমাকে প্রপোজ করবেই,

.

--কিহহহ?তারমানে নিলা আর সজীবের সাথে তুই বাজি ধরেছিস?আমি তোকে আজ প্রপোজ করবো?

.

--হুম৷ধরেছি আর তুই তো তাই করলি রে,সবার সামনে আমাকে প্রপোজ৷হি হি হি

.

--না,আমি কাউকে প্রপোজ করিনি,আর তোর মত ছেলেকে আমি প্রপোজ করবো?

তুই এটা ভাবলি কেমনে?

.

--আলগা ভাব নিবি না৷আর তন্ময় ভাবে না এসব,যা করার সবার সামনে করে৷সবাই দেখছে তো কে প্রপোজ করছে ৷আর তোর মত মেয়েকে আমি..............হো হো হো হাসি পাইলো.

.

--তুই আমার মত মেয়ে পাবি নাকি?

.

--হাসি পাচ্ছে গো,আর হাসাইছ না

.

--আমি হাসির কি বলছি?

.

--আরে হাসির কথাই তো বলছিস,আরে বোকা শুন,তোর মত এমন মেয়ে আমার পিছনে সিরিয়াল ধরে আছে,তুই জানিস না আমি কি?????গেরাইম্মা মাল,একেবারে অরিজিনাল....

.

--আরে শালা তুই অরিজিনাল না,তুই ভেজাল,আমার সাথে এখনো ২নাম্বারি করে ৫হাজার টাকা বাজি মারলি,

.

--তুই ও তো একহাজার মারছোছ,আর তুই মারলি একটু ছোট আর আমি মারলাম. হো হো হো

.

.--এই তন্ময় শুন না একটু.......(একটু নরম করেই বলল)

.

--হুম বল.

.

--তুই তো ৫হাজার টাকা বাজিতে জিতেছিস,আমাকে ওখান থেকে ১হাজার টাকা দে না....

.

--শালার নেতার মাইয়া যে এত খচ্ছর আগে তো জানতাম না

(ভেংচি দিয়ে)

.

বলার সাথে সাথেই সবাই অনেক জোড়ে হেসে উঠল.

.

--দেখ তন্ময় বাপ নিয়া কথা বলছিস কেন?দে না একহাজার টাকা..

.

--আমারে যেদিন পাগলা কূত্তায় কামাড়াইবো ,সেদিন দিমু তার আগে না,

.

তখনি রনি বলে উঠল

.

--তন্ময়,তুই শালা একটা মালই রে মামা(রনি)

.

---আসলেই তন্ময় ভাইয়া,বুঝতেই পারিনি ,মিম আপনার প্রতি এত ক্রাস খেয়ে আছে,আর আজকে এজন্যই আমাদের টাকা টা গেল..(নিলা)

.

--নিলা এত পাম পরে ,চূপ করে টাকা দাও৷

.

তারপর নিলা ৫হাজার টাকা দিল আমায়,আমি টাকা নিয়ে হাটা শুরু করলাম৷ ঠিক তখনি মিম আবার বলে উঠল.

.

--তন্ময়,টাকা না হয় না ই দিলি.একটু রেষ্টুরেন্টে নিয়ে যা,

.

--রেষ্টূরেন্টে নিয়ে যাবো?তাও আমি????

.

--প্লীজ তন্ময় ,না করিস না,নিয়ে যা না,

.

--রেষ্টুরেন্টে যাবি?

.

--হুম

.

---চল তাহলে......

.

--সত্যি?

.

--হুম কিন্তু যাওয়ার রিক্সা ভাড়া কিন্তু তোর,

.

--আবার আমার টাকা শেষ করবি?আচ্ছা রেষ্টুরেন্টূ যেহেতু তুই নিয়ে যাবি তাহলে নাহয় আমি নিজেই রিক্সা ভাড়া দিবো.

.

--হুম৷

.

তারপর মিমের সাথে রিক্সা দিয়ে রেষ্টুরেন্ট পর্যন্ত গেলাম৷আর তারপরই মিম বলে উঠল

.

--আচ্ছা তন্ময়,এখন তো রেষ্টূরেন্টে এসেই পড়ছি,আর শোন আজকে যা যা খেতে চাইব,তা তা কিন্তু খাওয়াবি !একদম কিপটেমি করবি না...

.

--এই দাড়া, দাড়া,যা খেতে চাইবি মানে?তোকে কি আমি খাওয়াবো নাকি?যে তুই যা যা খেতে চাইবি আর আমি তা তা খাওয়াবো???

.

--মানে?কি বলছিস এগূলো?খাবো বলেই তো এখানে এসেছি

.

--হুম খা না,আমি কি তোরে না করছি নাকি?তুই খেতে যা আর আমি বাড়িতে গেলাম,

.

--এই দাড়া,বাড়িতে যাবি মানে?

.

--বাড়িতে যাবো মানে,বাড়িতে যাবো,আর দেখ তুই একদম উল্টা পাল্টা কথা বলবি না,তুই আমাকে বলেছিলি তোকে রেষ্টূরেন্টে নিয়ে আসতে আমি নিয়ে এসেছি৷কিন্তু তোকে যে আমি খাওয়াবো সেটা তো বলিনি

.

--দেখ,এটা কিন্তু আমার সাথে চীট করছিস,

.

--ধুরররর তুই একা একা মুড়ি খা,আমার বাসায় কাজ আছে,আমি গেলাম

.

--তন্ময়,যাস নে তুই,আমাকে কিছু খাইয়ে যা

.

--বসে বসে মুড়ি খা

হি হি হি

.

বলেই সেখান থেকে চলে আসলাম,

শালার খচ্চরের খচ্ছর,যেই শুনছে আমি ৫হাজার টাকা বাজি মারছি,সেই আমার সাথে নরমভাবে কথা বলা শুরু করল৷৷৷৷আমার কি টাকা বেশি হইছে নাকি?এমনিতেই বাসায় আসার রিক্সা ভাড়াটা নেই৷ওই মিয়ারা ভাবছেন আমার কাছে ৫হাজার আছে কিন্তু টাকা নাই বলছি কেন?তাহলে আপনাদের সব খুলে বলতেই হয়৷

ভার্সিটিতে আসার পথে যখন নিলা আর সজিব মিলে যখন আমাকে একটা প্লানের কথা বলছে তখনই তাদের ওই প্লানটা নিলা আমাকে বলে দিল৷আর তখনই আমরাও মিথ্যা প্লান করলাম যাতে মিমকে খেপাতে পারি৷আর তাই করলাম৷নিলার টাকা দিয়েই এই মিথ্যা অভিনয়টা করে মিমকে বোকা বানালাম৷আর ভার্সিটি থেকে মিমের সাথে রেষ্টুরেন্টে যাওয়ারও কারন আছে ওখান থেকে আমার বাসায় যেতে হেটে হেটে ৫মিনিট লাগে৷আর আজকে ভার্সিটি থেকে আসার জন্য রিক্সা ভাড়া ছিলনা৷তাই মিমকে বোকা বানিয়ে আবারও বাসায় যাওয়ার রাস্তাটা একটু সহজ করে ফেললাম৷হি হি হি

যাক বাসায় গিয়ে পরে নিলার টাকা আবার ফেরত দিতে হবে৷তাই টাকাটা নষ্ট করলাম না৷

বাসায় গেলাম৷ফ্রেস হয়ে একটা ঘুম দিলাম৷

হঠাৎ রনি ডাক শুরু করল.

.

--এই তন্ময় উঠ,এই উঠ বলছি(রনি)

,

--কি হইছে তোর,এভাবে ডাকছিস কেন ভাই?একটূ ঘুমাতে দে না মামা,

এখন আর ডাকিস না .আমি একটু ঘুমাবো(আমি)

.

--ওই শালা উঠ,তোর ঘূমের গুল্ডি মারি,উঠ বলছি

.

তারপর টেনে আমাকে ঘুম থেকে উঠালো,তারপর বলা শুরু করল

.

--ভালই তো করতে পারিস,তুই এমন আগে জানতাম না.

.

ওর কথাটা শুনে অনেক শকড খাইলাম৷হারামি এমনভাবে কথা বলছে কেন?

.

--কি হইছে রে রনি?তুই এভাবে কথা বললি কেন?আর আমি কি করছি?যার কারনে এমন ব্যবহার করছিস?

.

--তুই কি করিসনি বলতো?তুই জানিস আজকে মিম তোকে সত্যি সত্যি প্রপোজ করছে.....

.

---এই এই এই,তু তু তুই কি বললি?(তোতলাতে লাগলাম)

.

--যা সত্যি তাই বলছি,তন্ময়,মিম তোকে অনেক ভালোবাসেরে দোস্ত,তুই কি একটুও বুঝতে পারিস না?

.

--দেখ রনি,মাল টাল খেয়ে এসেছিস নাকি? আমার তো মনে হয় তুই ওর সাথে ১হাজার টাকা বাজিতে হেরে মাথা নষ্ট করে ফেলেছিস,.....

.

--এমন কোনো কিছুই হয়নি,আর আমি যা বলছি সব সত্যি বলছি ,মিম তোকে সত্যিই ভালোবাসে,আর টাকার কথা বলছিস না তুই?শোন টাকার কাহিনী মিথ্যা ছিল....

.

--কিসের মিথ্যা,এই দেখ রনি,একদমইআমার মাথা নষ্ট করবি না৷যা বলার ক্লীয়ার করে বল.

.

--আসলে মিম তোকে আজ সত্যিই প্রপোজ করেছিলো,আর প্রপোজ করার পর যখন তুইও সাথে সাথেই রাজি হইলি মিম তখন একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল,কারন এত সহজেই তুই প্রপোজ গ্রহন করে ফেললি,তাই মিম আমাকে চোখ টিপ দিছে যেন ওই টাকার কথা বলি....

.

--দেখ রনি একদম মিথ্যা বলবি না,তোরা যদি তখন এটা প্লান করিস তাহলে নিলা,সজীব আমাকে এইটা কেন বলল যে,তোরা বাজি ধরেছিস,আর বাজি ধরে আমাকে মিম প্রপোজ করবে.

.

--সত্যি বলছি তন্ময়,ও বাজি ধরে এটা করেনি৷আর নিলা আর সজিব তখন আমাদের সাথে ছিলনা৷হয়ত যখন আমরা যখন বলছিলাম যে,তুই রাজি হয়ে গেলে,বাজির কথা বলে দেখবে তোর প্রতিক্রিয়া কেমন?আসলেই তুই রাজি নাকি মিথ্যা

.

--দেখ এটা করার মানে কি ছিল?

.

--বাজির কথা বলার কারন,ওর সাথে তুই তো আগেই অনেক চালাকি করেছিস,আর তাই বাজির কথা বলে দেখল তুই অন্য চালাকি করিস কিনা?আর তুই সেটাই করলি.

.

--দেখ রনি,এটা তোরা আমার সাথে একদমই ঠিক করিসনি৷আর হ্যা মানলাম মিম সত্যি সত্যি আমাকে ভালবাসে কিন্তু আমি তাকে লাভার হিসাবে মানতে পারব না

.

--কিন্তু কেন তন্ময়?

.

--কারন ও আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড,আর প্রেমের চেয়েও এটা অনেক শক্তিশালি বন্ধন ,যে বন্ধনে কোনো স্বার্থ কাজ করেনা.

.

--হুম মানলাম৷আর সেই স্বর্থহীন বন্ধুটা যদি তোর লাইফ পার্টনার হয় সেটা তোর জন্য আরও অনেক বড় কিছু..

.

--রনি প্লীজ,আমি কোনো রিলেশনে জড়াবো না৷আর এই বিষয় নিয়ে আমাকে কিছু বলবি না

.

--কিন্তু কেন(রনি)

.

--আমি রিলেশনে জড়াবো না,আর রিলেশনে জড়িয়ে আমি আমার লেখাপড়া নষ্ট করতে চাইনা৷

দেখ রনি আমরা এইভাবেই কত ভালো ফ্রেন্ড কিন্তু সেটা ভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়ে নষ্ট করতে চাইনা৷আর প্লীজ এই বিষয়ে আমাকে আর কোন কথা বলবি না৷এখন প্লীজ আমাকে একটূ একা থাকতে দে

.

একনাগাড়ে কথাগুলো বললাম৷রনি তখন চলে গেল৷

কিছুই বুঝতেছি না কি করব?মিমের সাথে সম্পর্ক করাটা একদমই ঠিক না৷কারন ও নেতার মেয়ে৷ওর বাবা এখন আমাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু যখন শুনবে আমি ওনার মেয়ের সাথে...........

তখন আর আমাকে এমন নাও ভাবতে পারে৷ওনার চোখেও খারাপ হয়ে যাবো৷আর আমি গরিব ঘরের ছেলে৷এটা আমার জন্য একদমই মানায় না৷

ভাবতে ভাবতেই ঘূমিয়ে গেলাম৷

পরেরদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে,ফ্রেস হয়ে ভার্সিটিতে গেলাম৷

ভার্সিটিতে যাওয়ার পরই পিছন থেকে মিম ডাকতে লাগল৷তাই দাড়ালাম৷আর ও এসেই বলে উঠল.

.

--কি রে তন্ময়,তুই কি বয়ড়া হয়ে গেছিস নাকি?সেই কখন থেকে ডাকছি তোকে,একটুও শুনতে পাসনি?(মিম)

.

--বল কি বলবি?(আমি)

.

--আসলে তন্ময়,কিভাবে যে বলি?

.

--যা বলার বলে ফেল.

.

--আসলে তন্ময়..

.

--এত আসলে আসলে করার দরকার নেই,আমি বুঝতে পারছি তুই কি বলবি..

.

--এই সত্যি তুই বুঝতে পেরেছিস?তাহলে তো আমার জন্যই ভালোই,আমাকে আর বলতে হলো না৷

হি হি হি.

.

--দেখ মিম,তুই যেটা ভাবছিস বা বলতে চাচ্ছিস ,সেটা কখনোই কোনো ভাবে সম্ভব না(আমি)

.

মুহুর্তেই মিমের মুখ খানা ফ্যাকাশে হয়ে গেল৷আর বলে উঠল

.

--কিন্তু কেন তন্ময়?

.

--সেটার কোনো উত্তর নেই আমার কাছে কিন্তু তুই যেটা বলতে চাচ্ছিস সেটা পসিবল না.

.

--তন্ময়,আমি সত্যি বলছি,আমি কোনো বাজি ধরে আসিনি,আর গতকালও বাজি ধরিনি৷আর সত্যি বলছি আমি তোকে অনেক ভালোবাসি

.

--মিম এটা আবেগ,এটা ক্ষনিকের জন্য,আর আবেগ দিয়ে জীবন চলে না

.

--তন্ময়,এটা আবেগ না,তুই একটাবার আমাকে বিশ্বাস কর,আমি সত্যি তোকে অনেক ভালোবাসি রে

.

--প্লীজ মিম,এই কথা বাদ দে৷তুই আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড,এটাই অনেক বড় সম্পর্ক যে সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্ককেও হার মানায়

.

--আমি কিছু বুঝতে চাই না৷একটি বার বল,তুই আমাকে ভালবাসিস,শুধু একটা বার

.

--মিম এটা পসিবল না৷আর নেক্সট এই কথাটা প্লীজ আমাকে বলিস না৷

কারন আমি রিলেশন করব না৷

বলেই সেখান থেকে চলে আসলাম৷আসার আগে একটা জিনিস খেয়াল করলাম মিমের মুখটা কালো হয়ে গেছে৷কিন্তু কিছুই করার নেই৷

আমার কাছে বেষ্ট র্ফেন্ডের সম্পর্কটাই অনেক বড়

.

চলবে........

#নেতার__রাগী_মেয়ে

#পার্ট১৮তম__

১৭তম পর্বের পর থেকে

,

বাসায় এসে মাথাটা বালিশে রাখলাম৷

মাথায় অনেক কিছু আসা শুরু করল৷

একদম চরকির মত মাথাটা ঘুরছে৷

কোনোমতে ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে

লাগলাম৷ঠিক তখনই ফোনটা ক্রিং ক্রিং

বাজা শুরু করল৷মন চাচ্ছে শালার ফোনটা

ভেঙ্গে ফেলি৷এক টেনশনের ভিতর আরেক টেনশন৷ ফোনটা হাতে নিয়েই দেখলাম মিমের ফোন৷

তাই ফোনটা না ধরেই বালিশের নিচে রেখে দিলাম৷অনেকক্ষন ধরে ফোনটা বাজতেই রইল৷তাই আর না ধরে থাকতে পারলাম না৷

ফোন ধরতেই.

.

---ওই ওই তুই আমার ফোন ধরতে এত দেড়ি করলি কেন?তোর তো দেখছি দিন দিন

সাহস বেড়েই চলছে,....

.

--দেখ মিম,যা বলার তাড়াতাড়ি বল,আমি একটু ঘুমাবো৷খুব ঘুম পাচ্ছে...

.

--হ এখন তো ঘুম পাবেই,আমি ফোন দিয়েছি না

তাই তোর ঘুম পাচ্ছে.

.

--দেখ এত পেচাবি না৷যা বলার তাড়াতাড়ি বল৷

আমি ঘুমাবো৷

,

--দেখ তন্ময়,আমি তোকে বেশি কিছু বলব না৷শুধু একটা কথাই বলব,আর তোকে সেটা শুনতে হবে.

.

--হুম বল৷আমি শুনতেছি.

.

--ভালোবাসি.

.

--হুম বাসিস,কিন্তু আমি কি করব?

.

--কি করবি মানে?তুইও আমাকে ভালবাসবি

আর অন্যকোনো মেয়ের সাথে রিলেশন থাকলে এখনই ব্রেকআপ করে ফেল,নয়ত তোর কি যে অবস্থা করব.

.

--তুই কি আমাকে এখন হুমকি দিচ্ছিস?

.

--দেখ তন্ময়,তুই আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড,তোকে আমি ফ্রেন্ড হিসাবেও অনেক ভালোবাসি,আর জিবন

সঙ্গী হিসাবে তার চেয়েও বেশি পছন্দ করি.

.

--দেখ মিম,তুই আমার ফ্রেন্ড,ফ্রেন্ড হিসাবে আমি তোর পাশে সারাজীবন থাকব৷কিন্তু লাইফ পার্টনার হতে পারব না৷কারন তুই অনেক বড়লোকের মেয়ে,আর আমি খুব গরীব......

.

--ওই একদম চুপ,তোর ডায়লগ শুনতে ফোন দেইনি৷তোকে খুব ভালোবাসি আমি সেজন্য তোকে আমি ভালো ভালই বলছি ,আর যদি রাজি না হস তাহলে....

.

--তাহলে কি?জোড় করে ভালবাসবি নাকি?নাকি আমাকে মারবি,আর মেরে ভালোবাসা আদায় করবি?

.

--এই এই, এই বুদ্ধিটা তো আগে মাথায় আসেনি৷ভালো একটা বুদ্ধি দিলি তো

.

--আমি আবার কি বুদ্ধি দিলাম?

.

--ওই যে জোড় করে ভালোবাসা আদায় করব,আর তারপরও ভালোবাসা না পেলে মেরে

হাত পা ভেঙে ফেলব,যেন হাটতে না পারিস,খেতে না পারিস,,.........

.

--এগুলো কেন করবি?আমি না খেতে পারলে তো মরে যাবো

.

--এই হারামী মরার কথা বলবি তো মেরে হাত পা এখনি ভেঙে ফেলব৷তারপর তোকে আমি নিজ হাতে খাইয়ে দিব৷কাউকে সামনে আসতে দিব না৷শুধু আমি তোর পাশে থাকব....

.

--আর আমি কি বসে বসে মুড়ি খাবো নাকি?আমার কি হাত পা নেই?

.

--তুই মুড়ি খা আর ঝুড়ি খা সেটা তোর বিষয়৷এখন রাজি না হলে ,তোকে মেরেই ভালোবাসা আদায় করে নিব,আর জানিস ই তো আমি কে?নেতার মেয়ে বুঝেছিস?.

.

--কি গুন্ডি মেয়েরে!!!!

.

--কি বললি তুই ?গুন্ডি,তোর দাদা গুন্ডী তোর চৌদ্দ গুষ্টি গুন্ডি৷তোর অবস্থা শেষ করে ফেলবো আমি,.....

.

--দেখা যাবে,আমার নামও তন্ময় হাসান!আমি গেরাইম্মা মাল,ভেজাল ছাড়া অরিজিনাল.

.

--আরে রাখ তোর অরিজিনাল,তুই শেষ হারামিইইইইইইইইইই(চিৎকার দিয়ে)

.

শালার ফোনটাই দিলাম কেটে,কি মেয়েরে বাবা,ফোনেই এত জোড়ে চিল্লানি দিছে আর একটু হলে আমার কানটাই নষ্ট হয়ে যেত,আর সামনে দিলে তো কানের পর্দা ফাটাইয়া ফেলব৷

আল্লাহ বাচাও৷আগে ফ্রেন্ড ছিলনা,যার কারনে ও যা করছে সাথে সাথে তার প্রতিশোধ নিছি কিন্তু এখন মিম আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড৷এখন তো ইচ্ছা করলেও সব করতে পারব না৷

পরেরদিন ভার্সিটিতে গেলাম ৷সবাই আড্ডা দিচ্ছিলাম৷ঠিক তখনই

সজিব বলে উঠল.

.

--মামা,মিম কিন্তু তোকে হেব্বি ভালবাসে.(সজিব)

.

--একদম ঠিক বলেছিস সজীব,মিম আগে অনেক খারাপ ছিল,আর এখন অনেক ভালো হয়ে গেছে,তাহলে তন্ময় কেন ওকে ফিরিয়ে দিচ্ছিস,?(রনি)

.

--কিরে শালারা?মিম কি তোদের সবাইকে জাদু করছে নাকি?আমার পক্ষে কথা না বলে ,মিমের পক্ষে কথা বলছিস,?(আমি)

.

--দেখ তন্ময়,আগে মিম যা করেছে তা একদমই ঠিক করেনি,যার কারনে আমরা তোর পক্ষে ছিলাম কিন্তু তুই এখন যা করতেছিস সেটা একদমই ঠিক করছিস না,একদমই ঠিক না তন্ময়(রনি)

.

--দেখ,তোরা এই বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলবি না,আমি কোনো রিলেশন করব না৷আর এটা হয়না(আমি)

.

--কি বলছিস তন্ময়,হয়না মানে?অবশ্যই হয়,আর মিম কোন দিক দিয়ে তোর যোগ্য না,কোন দিক দিয়ে ও কম,সুন্দর চেহারা,এখন তো অনেক ভালোও হয়ে গেছে, আর যেই মেয়েটা তোকে ভালাবাসা শুরু করছে আর তখনই তুই ভাব নিচ্ছিস তাই না?(রনী)

.

--রনি তুই এভাবে বলতে পারলি?এই ৩টা বছরে এই চিনলি আমায়?আমাকে এত ভালো বুঝতে শিখলি রে রনি,যার কোনো তুলনা হয়না(আমি)

.

--এটা আমি না,যে কেউ এই কথাটাই বলবে,তাহলে বল কেন এমন করছিস?কেন রিলেশন করছিস না?বল

.

----শোন তাহলে কেন এমন করছি?

ভালো করে শোন,তারপর আমাকে যা বলার বলিশ,আগে শুন,

আজ থেকে প্রায় ৩০বছর আগে এমনই কোনো একটা নেতার মেয়ের সাথেই আমার বাবা প্রেম করত৷আর সেই মেয়েটা আমার মা৷ বাবা আর মা প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করে ,কারন আমার বাবা ছিল অনেক গরীব,যার কারনে আমার বাবার প্রেম কেউ মেনে নেয়নি,আর অনেক অপমানিত হয়েছিল আমার বাবা,কিন্তু আমার আম্মূ বাবাকে অনেক ভালোবাসত তাই নানার বিরুদ্ধে গিয়েই বিয়ে করে৷আর তার জন্য আমার মাকে তেজ্য করে দেয়,আর বাবার অনেক ক্ষতি করার জন্য অনেক গুন্ডা লাগিয়ে দেয়,আর বাবা শহর ছেড়ে কোনো একটা গ্রামে চলে যায়,আর আমি যখন হই তখন আমার মুখটা পর্যন্ত আমার নানা দেখতে আসেনি,আর আমার নানা যখন মারা যায় তখন আমার আম্মুকে তার লাশটা পর্যন্ত দেখতে দেয়নি,আর সেজন্য আম্মু এখনও কান্না করে,যদি আজ সে পালিয়ে বিয়ে না করত তাহলে নিজের বাবা এমন করত না৷আর আমি আমার নানার আদর থেকে,মামার আদর থেকে বঞ্চিত হয়েছি,আমি আজও জানি না আমার নানার বাসা কোথায়?কে আমার নানা,কে আমার মামা,?তারা কোথায় আছে?কথায় আছে মামার বাড়ি রসের হাড়ি কিন্তু আমার কপালে তা জুটলনা(কান্না করতে করতে আমি)

.

--এটার সাথে মিমের সম্পর্ক কি?(রনি)

.

--মিমের সম্পর্ক অবশ্যই আছে,কারন ও নিজেও একটা নেতার মেয়ে,আর আমি চাইনা,যদি আমরা রিলেশন করি তাহলে ওর বাবা যদি মেনে না নেয়,তাহলে ওর অবস্থা আমার মায়ের মতই হবে. আর আমি চাইনা ও বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হৌক...আমি চাইনা আমার সন্তানও নানার আদর থেকে বঞ্চিত হৌক(আমি)

.

--এটা তোর ভুল ধারনা,সব বাবা এক না,

.

-যাই হৌক আমি কোনো রিলেশন করব না৷আর রিলেশন করলে আমার বাসায় মেনে নিবে না৷প্লীজ তোরা এগুলো আর বলিস না.

.

ঠিক তখনই পিছন থেকে আওয়াজ আসল.

.

--তোকে তো আমাকে ভালো বাসতেই হবে,নয়ত তোর অবস্থার ১৩ বাজিয়ে ফেলব...

.

পিছনে তাকিয়ে দেখি মিম দাড়িয়ে আছে৷

.

--মিম তুই(আমি)

.

--হুম,অবাক হবার কিছুই নেই,দেখ তন্ময়,তুই আমার সাথে এমন করিস না,আর তোকে নিয়ে আমি পালিয়ে বিয়ে করবও না,কারন আমার বাবাকে রাজি করিয়েই বাবার আর তোর ফ্যামিলির সিদ্ধান্ত নিয়েই আমরা বিয়ে করব(মিম)

.

--হুম,যদি তা হয়,সেটা পরে হবে কিন্তু রিলেশন আমি করব না.আর করলে বাসায় মেনে নিবেনা৷আমি চাইনা আমার বাবা মাকে কষ্ট দিতে

.

--তোকে তো করতেই হবে৷নয়ত অনেক খারাপ হয়ে যাবে.

.

--সেটা দেখা যাবে

..

--হুম সেটাই তোকে এখন দেখাবো.

আমি কতটা খারাপ করতে পারি,সেটা তুই দেখবি,আর যখন দেখবি তখন কিছুই করতে পারবি না৷

.

--কি বলছিস তুই,আর তুই কি করবি?

.

--সেটা না হয় পরেই দেখবি৷

.

বলেই মিম রেগে বাসার দিকে চলে গেল,

আটকানোর চেষ্টা করলেও লাভ হলোনা৷

যাক বাসায়,বাসায় গিয়ে ওর মাথা টা একটু ঠান্ডা হৌক৷

আমি ক্লাস করার জন্য ক্লাসে গেলাম৷

বাসায় গেলাম দুপুরে৷গোসল করলাম৷

তারপর ভাত খাবো বলে ভাত মাখা শুরু করলাম৷ যখনি মুখে ভাত নিব ঠিক সেই মুহূর্তে রনি দৌড়ে আসল,এসেই বলা শুরু করল

.

--খা,ভালো করে খা(রনি)

.

--এভাবে কথা বলছিস কেন?(আমি)

.

--কিছুনা কিন্তু তোর আপদ দূর হয়ে গেছে,এখন শান্তিতে খা,আর কোনো অশান্তি হবে না(কান্না করতে করতে)

.

(কথাটা শুনে কেন জানি বুকটা ধুক করে উঠল,এভাবে বলছে কেন?মিমের কিছূ হয়নি তো)

--মানে?এভাবে বলছিস কেন?কি হইছে রনি?ভাই এভাবে না পেচিয়ে বল ভাই?মিমের কিছু হয়নি তো?

.

--(চুপ)

.

--এই রনি,কথা বল,কি হইছে বল?মিম ঠিক আছে তো?ভাই চুপ করে থাকিস না,কথা বললললললললললল(কান্না করে চিৎকার করে বললাম)

1
$ 0.00
Avatar for Koly
Written by
3 years ago

Comments

dhonnobad lekhok ke amon interesting article likhar jonno...ashay roilam future aI aro valo kichu pawar

$ 0.00
3 years ago

Sundhor post. Donnobad writer. Pore golpo ta khub valo laglo. Amon sundhor sundhor post share korben writer. Opekhay roilam

$ 0.00
3 years ago

I read it just now.

$ 0.00
3 years ago

Thanks you for writing this interesting article. I hope you will write next story very soon.

$ 0.00
3 years ago

This article is very good. I read out this post. I am very excited to this post . Thank you for your writing.

$ 0.00
3 years ago