মাস্তানের সম্রাট
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে নীল, পড়ালেখায় খুব ভালো,, সবাই তাকে পারপেক্ট বয় নামে চিনে, কখনও কারো সাথে ঝগড়া করে না, স্যার দের আদরের ছাত্র ও, এখানে তার একটা গ্রালফ্রেন্ড ও আছে তার নাম নিলাদ্রী,
সবার সাথেই মিলেমিশে চলে সে,
কিন্তু তার এ ভালো থাকা বেশিদিন টিকতে দিলো না প্রকৃতি, প্রকৃতি যেন তাকে আবার পিরিয়ে নিতে চায় তার আগের জীবনে,
একদিন ভার্সিটিতে যাওয়ার পর সুন্দর মতো ক্লাশ করে সে বাহিরে বের হলো, তখনই দেখলো কিছু বাজে ছেলে নীলাদ্রী কে ডিসট্রাভ করছে,
নীল সেখানে গিয়ে সবার কাছে অনুরোধ করে নিলাদ্রী কে ছেড়ে দেওয়ার জন্য,তখন ঐ বাজে ছেলে গুলোর লিডার বলে উঠলো কিরে মেয়েটা তোর কী হয়,
নীল খুব করুন কন্ঠে বলল আমার ভালোবাসা ভাই,
তখন তারা আরো অট্রহাসিতে পড়লো, বললো নিজেকে দেখছিস কখনও আয়নাই, কি মোটা ফ্রেমের একটা চশমা, চুল গুলো এলোমেলো, শার্ট, প্যান্ট দোলা, আরর তুই করস এইরকম একটা স্মার্ট মেয়ের সাথে প্রেম, আচ্ছা যা ছেড়ে দিব মেয়েটাকে শুধু আজকের রাতটা আমার সাথে কাটাবে,নীল এর মাথা তখন খুবই গরম হয়ে গিয়েছিল,তবুও নীল করুন কন্ঠে বলে ভাই আপনাদের পায়ে পড়ি ওকে ছেড়ে দেন, কিন্তু তারা ছাড়ে না, নিলাদ্রীর ওরনা টান দিয়ে নিয়ে ফেলে, নীল সব কিছু ভুলে গিয়ে চশমা টা খুলে পেলে পকেট থেকে মোবাইল নিয়ে কাকে যেন কল করে আসতে বললো, নামটা রাকিব দিয়ে সেভ করা ছিলো, হাতের ঘড়ি টা ও খুলে পেলল,শার্টের হাতা গুলো টেনে উপরে তুলতে লাগলো, আর সামনে এগিয়ে যেতে লাগলো, সম্পূর্ন ভার্সিটির সবাই নীল এর দিকে তাকিয়ে আছে, এ যেন এক অন্য নীল সবাই দূরে থেকে দেখতেছে কিন্তু কেউ সামনে আসছে না কারন ঐ বাজে ছেলেগুলোর লিডার হলো এখান কার নেতার ছেলে, তাই ভয়ে কেউ কিছু বলছে না,
নীল এক এক করে ওদের মারতে লাগলো, আজ সবাই অন্য এক নীল কে দেখছে, এই নীল কে কেউ চিনে না তারা, নীল ওদের মারতে মারতে ততক্ষনে অনেক গুলো গাড়ি চলে আসলো কলেজে, কেউ একজন নেমেই নিলয় বলে ডাক দিল নীল কে, নীল সেদিকে পিরেই মুছকি একটা হাসি দিল, আর গাড়ি থেকে অনেক লোকজন নেমেই বেদর ভাবে মারতে লাগলো ঐ ছেলে গুলো কে, আজ এখানে অনেক কিছুই সবার অনেক কিছু জানার আছে, নিলাদ্রী একদম চুপ করে রয়েছে সে রহস্য টা বুঝে ওঠতে পারতেছে না মনে হয়,
(চলবে)
0
11