আবিদ সাহেব বিয়ে করেছেন পয়ত্রিশ বছরে। যদিও বিগত এক দশক লেগে গেছে তার পাত্রী খোঁজার কার্যক্রম। অবশেষ গ্রামের একটা সরল মেয়েকে তার মনে ধরলো। পারিবারিক ভাবেই উনার বিয়ে হলো। যেহেতু আবিদ সাহেব ব্যাংকার ছিলেন তাই ছুটি ছিলো খুব-ই কম। এই কম সময়ে বিয়ের মতো কাজ যে কিভাবে সমাধান করলেন উনিই জানেন।
আবিদ সাহেব বিয়ের দু তিনদিন পর চলে গেলেন। তারপর সম্ভবত একবার এসেছেন, আর উনার পাত্তা মেলেনি। আজ বিয়ের তিন মাস হতে গেলো। মিসেস আবিদ ফোন করলে তেমন পিক করেনা। আর করলেও বলে ব্যস্ত আছে। রাতে কল দিলে বলে, এখন ঘুমাবো। মিসেস আবিদ তেমন কিছুই বুঝতে পারেনা। উনার নাম হচ্ছে শায়লা। শায়লা এটা নিয়ে খুব বেশি ভাবতে পারেনি কারণ সদ্য কলেজে ওঠা মেয়ের কী এমন বুদ্ধি হতে পারে?
দিন যায় সপ্তাহ যায় আবিদ সাহেবের কোনো পরিবর্তন আসেনি। এদিকে আবিদ সাহেবের ছোটোভাই জুনায়েদ মাদ্রাসার ছাত্র সে হাফেজী শেষ করে এখন অনার্স করছেন। স্বভাবে সে এক প্রকাশ করতে গেলে প্লেবয়। যদিও সে হাফেজ তবুও সেসব চুকে দিয়ে তার মনে নারীর দেহের লোভ সবচেয়ে বেশি। গ্রামের লোক যাকে সবায় ঘৃণা করে।
বাড়ির সবায় মানে আবিদ সাহেবের আম্মা তাকে মানে শায়লা কে বলেছে জুনায়েদের ঘরে যেন তেমন না যায়
এদিকে শায়লা ব্যাপার টার গভীরতা বুঝতে না পেরে তার দেবর কে বলে দেয় সবকিছুই। জুনায়েদ নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তার মাকে বিশ্রিরকম গালিগালাজ করে।
লোকমুখে শোনা যায় জুনায়েদের ঘরে নাকি মেয়েলোকের সন্ধানও পাওয়া গেছে। এদিকে মায়ের সেবার জন্য আবিদ সাহেব বউকে রেখে গেলেন কিন্তু তার সাথে কেন যোগাযোগ রাখেন না ঠিকমতো? আবিদ সাহেবের স্ত্রীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তার লম্পট ভাই জুনায়েদ যে ইজ্জতে হাত দিয়েছে শায়লা কেন কাওকে বলেনি? তবে কী আবিদ সাহেবের কোনো শারীরিক দুর্বলতা ধরে পড়ে বিয়ের পর? কিন্তু আবিদ সাহেব কেন জেনেবুঝে তার স্ত্রীকে রেখে গেলেন? অবশ্যই তিনি জানেন তার ভাই লম্পট।
.
এদিকে আবিদ সাহেবের ছোটোভাই জুনায়েদ আজকাল বাড়ির বাইরে যেতেই চায় না। বাজার থেকে বড়বড় সব মাছ আর সিনার মাংশ নিয়ে ভাবীর হাতে তুলে দেয়। তবে কী ভাবীও ব্যাপার টা স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছে? মেনে নিলাম স্বাভাবিক তবে কেন আবিদ সাহেব কে কিছুই বলার মতো কারণ মনে করছেন না? এদিকে সুযোগে জুনায়েদ তার লোভাতুর চাহনি দিয়ে জামাবৃত দেহকে ভোগ করতেও দ্বিধা করছেন না। কারণ সে জানে কিভাবে নারীকে কাছে টানতে হয়।
.
তাদের সম্পর্ক ঠিক কেমন বুঝা মুশকিল হতে শুরু করলো। মজার ব্যাপার ওই বাড়িতে সাধারণ মানুষ প্রবেশ নিশেধ ছিলো যেন কেও বুঝতে না পারে বাড়ির ভেতরের কাহিনী কি? এখন একজন বিবাহিতা নারীর শারীরিক পরিবর্তন ও তার চাহিদা কেমন থাকে? তা কী আবিদ সাহেব জানেন? আর তাদের মাঝে তো তেমন কথাই হয়না। আবিদ সাহেব যেন বাড়িতে খুবই কম আসেন। আর বউ এর ব্যাপার নিয়ে কোনো সিরিয়াস ব্যাপার। বা বউকে সন্দেহ করা এসব একদম তার মাঝে নেই। এগুলা কী প্রমাণ করে? জুনায়েদ ভাবে ভাবী আমার বউ না, তার যাই হোক না কেন আমার কি? ভাবীর এই একাকীত্বের দিনে আমি যদি সুযোগ নিয়ে বাসরঘরের গল্প তুলে ভাবীকে উত্তেজিত করতে পারি তবেই তো আমার বাজিমাত। ঠিক প্ল্যান মতো সে ভোগের স্বাদ নিয়ে নিচ্ছে।
.
যদি কোনো সুন্দরি নারীকে তার প্রেমিক বা স্বামী সন্দেহ না করে তবে বুঝে নেবেন 'ছেলেটার শারীরিক সমস্যা আছে, বা অন্য মেয়ের সাথে তার রিলেশন আছে' এজন্য যা ইচ্ছে করুক আমার কি? আমি তো তাকে ভালোই বাসি না তবে কেন সিরিয়াস ভাবে সন্দেহ করবো? ঠিক তেমন আবিদ সাহেবের ছোটোভাই এই সুযোগ টা হাতে তুলে নেয়।
.
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শায়লা কেন নিজে থেকে এসব নিয়ে মুখ খুলেনা? কারণ শায়লার বিয়ের আগে তার কাজিনের সাথে সম্পর্ক ছিলো। এই সম্পর্ক টা সুসম্পর্ক নাকি অবৈধ তা জানা যাইনি। তবে এজন্য শায়লা আবিদ সাহেবের কোনো অবহেলা কে অবহেলা মনে না করে ব্যাপার টা উপভোগ করেছেন। এদিকে বাবার বাড়ি যাবার নাম করে কাজিনের সাথেও মেলামেশা হচ্ছে। অন্যদিকে জুনায়েদ মুখ খুলছেনা বা খুলবেনা কারণ সে ভাবীর গোসলের পর তার উদোম দেহ একবার বাথরুম থেকে দেখে নিয়েছিলো।
.
লাভ কিন্তু সবারি হয়েছে। শায়লার শাশুড়ি কিছুই বলতে পারেন না। কারণ তার কথার কোনো মূল্য কেও দেয়না। এখন তার বয়স হয়েছে এজন্য তার কথার কোনো দাম নেই। এদিকে পুরো সবকিছুই জুনায়েদ দেখাশোনা করে এজন্য তার কথায় সবকিছু চলে। আর এজন্য জুনায়েদ বাড়ির প্রধান কর্তা বনে গেছে।
.
পাড়াপড়শি বাড়িতে না আসার কারণে তলের খবর তাদের কানে পৌঁছে নি। আবার শায়লা নানান কথা ছাদে বসে বললেও তা নিয়ে কেও কটূ কথা বলতে পারে না। কারণ শায়লা বিবাহিতা মেয়ে আর শশুরবাড়ি তে আছেন সবার ধারণা অবশ্যই বরের সাথেই কথা বলছে। এটা ছিলো শায়লার বড় একটা সুযোগ।
.
অন্যদিকে শায়লার স্বভাব তেমন ভালোও ছিলোনা। একটা বিবাহিতা মেয়ে বেশিদিন একা থাকতে পারেনা। কারণ নিয়ম মেনে কেন বিয়ে হয়? কেন বিয়ের পর শশুরবাড়ি থাকতে হয়? কেন বিয়ের পর বাচ্চা হয়? এসব কারণে শায়লার পক্ষে আর একা থাকা সম্ভব হচ্ছিলো না।
.
সুযোগে সে বাবার বাড়ি যাবার নাম করে, কলেজে যাবার নাম করে বা শপিং এ যাচ্ছে এসব বলে প্রেমিক কাজিনের সাথে বিভিন্ন রুমে ও নির্জন পার্কে ঘুরতে গিয়েছে। এখন সেখানে ঘুরতে গেলে কী হয়? এই উত্তর পাঠকের জানা আছে। আবার এদিকে উদোম শরীরে শায়লা কে উত্তেজিত করতে জুনায়েদ কী কিছু বাকি রেখেছে? জুনায়েদ এখন অপেক্ষা করে কবে পাখি ধরা দেবে? কবে পাখি নিজে থেকে সুযোগ দেবে,
.
কয়েক মাস এভাবে কেটে গেলো। নিয়ম মেপে সবকিছুই চলছিলো। তবে শায়লার শরীর একটু বেশিই খারাপ হবার কারণে প্রায় এক মাস বাবার বাড়িতে ছিলেন। আর তখন সেখানে তার কাজিনের আনাগোনা প্রায় লক্ষণীয় ছিলো। তারপর যখন একদিন আবার শশুরবাড়ি তে শায়লা এলেন তখন আবিদ সাহেব ছুটিতে বাড়িতে এলেন। তবে তাদের মাঝে খুবই কম কথা হতো। আবিদ সাহেব ব্যস্ত থাকেন তার হিসাব আর ফোন নিয়ে। ঘরে দেবীদূর্গার মতো একটা বউ আছে এসব যেন ভুলেই গেছেন। চারদিন ছুটি কাটিতে অফিসে গেলেন। এবং যাবার আগে বউয়ের হাতে টাকার চেক দিয়ে গেলেন লাগলে যেন তুলে নেয়। বউ গ্রামের মেয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে কথাটা মেনে নিলেন। শায়লা কে দেখে গ্রামের সরল মেয়ে মনে হলেও আসলে সে অতটা সরল নয়। আবিদ সাহেব চলে গেলেন তার অফিসে।
.
একদিন কি ভেবে যেন জুনায়েদ ভাবীর মোবাইল হাতে নিলো, ইউটিউবে কিছু গান দেখার জন্য সম্ভবত, এবং সার্চলিস্টে যা পেলো তা দেখে তার পুরো শরীর কেঁপে উঠলো, একবার ঢোক গিলে ভিডিও গুলো দেখলো তারপর কল্পনা করলো তার ভাবীকে নগ্ন দেহে এবং পরক্ষণে সে নিজের রুমে প্রবেশ করলো। তারপর কয়েকদিন সে ভাবতে শুরু করলো এসব নিয়ে।
জুনায়েদের মাথার মাঝে ওই ভিডিও গুলোর কথা সবসময় ঘুরপাক খেতে থাকে। এবং ভাবীকে বিছানাতে পাবার জল্পনাকল্পনা করতে থাকে। এসব ভেবে নিজের মোবাইলে পর্ণ সাইটের সবকিছুই রেখে দিলো এবং সুযোগ খুঁজতে থাকলো। কারণ সে জানে ভাবী তার পাতা ফাঁদে পা দেবেই।
.
একদিন ঠিক তাই হলো। তার বর্ণনা থাক। তবে এদিকে জুনায়েদ আগে থেকেই লম্পট। আবার শায়লার স্বভাব তেমন ভালো ছিলোনা কারণ তার প্রেমিক ছিলো। আবিদ সাহেবের সমস্যা কী আজও জানা যাইনি। আবার জুনায়েদ ও আবিদের বাবাও যৌবনে ভালো মানুষ ছিলেন না তার ভাবীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করতেন লোকমুখে জানা যায়।
.
এখনো আবিদ সাহেবের বাসায় কেও যায়না। কেও জানেনা তাদের সাজানো চরিত্রের ভেতরে কতটা হিংস্রতা। কতটা ভয়াবহতা লুকিয়ে আছেন।
..
আমার এই ঘটনা টা লিখার পেছনেও একটা শিক্ষামূলক ব্যাপার আছে,
যেসব বাবারা টাকার লোভে মেয়েকে যার-তার হাতে তুলে দেন। ছেলে বয়স্ক তাতে কী টাকা আছেনা? ছেলের স্বভাব ভালো না প্রতিবেশী বলে, ক্ষতি কি টাকা আছে না? ছেলের বংশ তেমন ভালো না, তো কী টাকা আছে না? যেখানে টাকা অনেক বড় সেখানে মেয়ের ইজ্জত বাল। মেয়ের বাবার কী উচিত ছিলোনা ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে বিয়ে দেওয়া? এই ঘটনা তে শায়লার প্রেমিক ছিলো সেইম একটা গল্পে শায়লার কোনো প্রেমিক ছিলোনা সে ধার্মিক একটা মেয়ে। তখন ভেবে দেখুন তো? লম্পট দেবর, আবার জামাই খোঁজ রাখেনা কী করবে মেয়েটি??
যেসব ভাই ও বাবা বোন বিয়ে দেবেন। বা বোন নিয়ে বেশ ভাবেন তারা অন্তত একটু বিচার করে বিয়ে দেবেন ভাইজান। নাহলে পস্তাতে হবে ভাইজান। অমানুষ গুলো দেখতে কিন্তু হুবহু মানুষের মতো। এখন ভাবুন যে আপনি একজন সচেতন ভাই, বাবা কিভাবে পারবেন তার মেয়েকে এরকম পরিস্থিতে ফেলতে?? প্রশ্নটা রেখে গেলাম আপনার বিবেকের কাছে.…………………
___
#জীবনের_গল্প
0
23