গল্পঃ 👰গ্রাম্য_বউ👰
|| পর্ব- ১
রাতে খাবার টেবিলে হঠাৎ আব্বু বললো- 😊😊☺
আব্বুঃ বাবা রিফাত তোমার পড়াশোনা তো শেষ। 😌
এবার আমার সাথে অফিসে বসে আমার ব্যাবসা বানিজ্য কোথায় কি আছে তা তুমি তোমার মত করে বুঝে নাও।😊😌 কিছুদিন পর থেকে তো এগুলো তোমাকেই দেখতে হবে। তাছাড়া রিদ্ধি কলেজে চলে যায়।য☺☺😊
আমি আর তুমিও বাসায় থাকিনা। 😒😒
তোমার মা বাসায় একা একা থাকে, আর এ বয়সে সংসার একা একা দেখে রাখা তোমার মায়ের জন্যে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।😕😕
তাই আমরা চাই রাইসার সাথে তোমার বিয়েটা করিয়ে সংসারে নতুন সদস্য যোগ করতে।😊☺😌
আশা করি তুমি কথাগুলো রাখবে।
-(কে এই রাইসা? বলবো...... পড়তে থাকেন)😌😌😇
-রাতে খাবার শেষ করে ছাঁদে গেলাম। আনমনে বসে আছি, আর আব্বুর কথাগুলো ভাবতেছি.........🤔🤔🤔
-হঠাৎ পেছন থেকে রিদ্ধির (ছোট বোন) ডাক।☺😊
রিদ্ধিঃ কিরে ভাইয়া এখানে বসে আসছোস কেন?🤔🤔
আমিঃ এমনি বসে আছি। তুই এখানে কেন?
রিদ্ধিঃ তোকে রুমে না দেখে বুঝতে পারছি তুই ছাঁদে।😒😒
তাই আমিও চলে আসলাম। একা একা মন খারাপ করে কি এত ভাবতেছিস? 😒🤔🤔
আব্বু যে কথাগুলো বলেছে সেগুলো নিয়ে নাকি......?😊😊🤔
আমিঃঐ ফাজিল, তোকে কে বলছে। আমি এমনি বসে আছি। যা রুমে গিয়ে গুমিয়ে পড়।😒🙄🙄
রিদ্ধিঃ তাহলে তুইও যেতে হবে। না গেলে আম্মুকে গিয়ে বলবো তুই এখানে বসে বসে কাঁদতেছিস।😁😁😁
আমিঃ ঐ শুটকি আমি কাঁদলাম কখন?😡😤
রিদ্ধিঃ দেখ ভাইয়া আমাকে শুটকি বলবি না। 😤😤
তাহলে তোর বউ আসলে তাকে না খাইয়ে খাইয়ে আরো বেশি শুটকি বানাই দিমু।😁😁😁
আমিঃ বানাইছ। এই জন্যেই তো সবাই মিলে ওঠে পড়ে লাগলি আমার গলায় একজন কে ঝুলিয়ে দিতে।😒😒😒
রিদ্ধিঃ হুম লেগেছি তো। আমার তো একটা বন্ধু হবে। তুই তো আমাকে আর আগের মত ভালোবাসিছ না। ভাবি আসলে সে আমাকে ভালোবাসবে।☺☺😌
আমিঃ যদি তোর মনের মত না হয়?
রিদ্ধিঃ সেটা আসার পর দেখা যাবে। এখন চল ঘুমাবি।😴😴😴
আমিঃ চল.........
-তারপর রুমে এসে শুয়ে শুয়ে ভাবতেছি.....🤔🤔🤔
-মাত্র পড়শোনা শেষ করলাম। এখনি বাবার হুকুম নিজের ব্যবসা বানিজ্যের দ্বায়িত্ত্ব কাঁধে নিতে হবে।
আর তার আগেই বিয়েটা করতে হবে। 😒😒😧
ভাবলাম দ্বায়িত্ত্ব যখন কাঁধে নিতেই হবে বাবাকে বলে দেখি তার আগে নিজেকে প্রশান্তি দেওয়ার জন্যে কোথাও থেকে ঘুরে আসা যায় কিনা।😌😌😌
-পরদিন সকালে ঘুম থেক উঠে ভাবতেছি আব্বুকে কথাটা কিভাবে বলবো।
-এমনিতে আব্বুর সাথে অনেক ফ্রি হলেও এই কথাটা বলতে কেমন যেন ভয় ভয় লাগছিলো। 😧😧😧
অবশ্য এটা ভয় না, আব্বু হইতো ভাববে দ্বায়িত্ত্ব এড়িয়ে যাওয়ার জন্যেই আমি এমন করতেছি। 😒😒
(বলে রাখি আমি কখনো আব্বু আম্মুর কথার অবাধ্য হইনি, আর আব্বু আম্মু ও আমাকে সেরকম কোন কাজে বাঁধা দেন নি যে আমি অবাধ্য হতেই হবে। 😌😌😌
-নাস্তার টেবিলে বসে আব্বুকে বললাম......
আমিঃ আব্বু মাত্র তো পড়াশোনা শেষ করলাম। তাই ভাবতেছি কোথাও থেকে একটু ঘুরে এসে তারপর অফিস শুরু করলে কেমন হয়! (বলেই মাথাটা নিচু করে রাখছি)😌😌😕
আব্বুঃ হুম বুঝতে পেরেছি তোমার কথা। কিন্তু কোথায় যেতে চাও?😊☺☺
আমিঃ দেশের বাইরে কোথাও।
আব্বুঃ দেখো রিফাত, আমি সবসময় তোমার চাহিদার দিকে খেয়াল রেখেছি। 😌😌😌
কিন্তু দেশের বাইরে যেতে দেওয়ার জন্যে মনের যে শক্তি প্রায়োজন তা আমার নেই। তাই যদি যেতে চাও তাহলে আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসো। গ্রামটাও ঘুরে দেখা হবে সেই সাথে বিয়ের আগে আত্মীয়-স্বজনদের সাথেও একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে।😌😌😊☺
রিদ্ধিঃ আব্বু তাহলে ভাইয়ার সাথে আমিও যাব গ্রামে। মনে রাখার মত বয়স হওয়ার পর থেকে কখনো গ্রামে যাই নি।😕😒
আব্বুঃ হুম, গেলেতো ভালোয় হয়। দুই ভাই বোন একসাথে ঘুরে আসা হল।😌😌☺
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে আব্বু। (মন খারাপ করে)
- আসলে গ্রামে আমার দাদার বাড়ি, যদিও দাদা বেছে নেই।😔 আমার জেঠা, আর আমার চাচা ওখানেই থাকে। মাঝে মাঝে ঢাকায় আসে আমাদের সাথে দেখা করার জন্যে। কিন্তু আমাদের তেমন যাওয়া হয়না। 😒😒😕
শহরে বড় হয়েছি বলে গ্রামকে অপছন্দ করি এমন না। আমার না যাওয়ার কারন টা হল আমার বয়স যখন আট তখন দাদা মারা যায়। 😔😔😒
ওই সময় গ্রামে গেছিলাম আমরা সবাই। তখন পরিবারের সবাই একসাথ হয়েছিলো। ☺☺😊😌
আর ওই সময় আব্বু, চাচার দুই বছরের মেয়েকে দেখে নাকি কথা দিয়ে আসছিলো বড় হলে এই মেয়েকেই ওনার ছেলের বউ করে আনবে। 😒😒😒
ব্যাস, ওখান থেকেই আমার জন্যে বাঁশ রেডি হয়ে গেছিলো। আর সেই বাঁশ নাকি পেকে এখন আমার জন্যে প্রস্তুত। 😕😕
(এই সেই রাইসা), আর যখন থেকে বুঝতে শিখেছি বর বউ কি তখন থেকে যতবার গ্রামে যেতে বলেছে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে আমি নিষেধ করে দিছি।😁😁😁
আমিঃ আর কিছু না বলে নাস্তা শেষ করে উঠে গেলাম। গিয়ে রুমে বসে আছি। কোথায় যেতে চাইলাম দেশের বাইরে কোথাও, কিন্তু হলনা। অবশ্য আব্বু আমাকে খুব ভালোবাসে, তাই দুরে যেতে দিতে চায় না।😊😊😌☺😒
রিদ্ধিঃ(হঠাৎ রুমে এসে) কিরে ভাইয়া, গ্রামে যাবি কবে? ইস আমার আর তর সইছে না। কত দিনের ইচ্ছে গ্রাম দেখবো। কিন্তু কেউ নিয়েই যায় না।😒😒😊
আমিঃ তো যা। তুই একাই যা। আমি যাবো না।
রিদ্ধিঃ এহহহহহ, যাবেনা। কিছুদিন পর যার শশুর বাড়ি হবে ওখানে, সে নাকি গ্রামে যাবেনা।🙄🙄🙄
আমিঃ আচ্ছা তোরা সবাই মিলে আমাকে নিয়ে এত টানাটানি শুরু করলি কেন? বিয়েটা কি এতটাই জরুরি হয়ে গেছে।😡🤔
রিদ্ধিঃ হুম হয়েছে তো। কারন গ্রামের মেয়েদের বয়স বেশি হয়ে গেলে নাকি গ্রামের মানুষ খারাপ বলে। তাই চাচা আব্বুকে বলেছে বিয়েটা যত তারাতারি সম্ভব শেষ করতে৷ 😊😊☺
তাইতো আব্বু তোকে অন্য কোথাও যেতে না দিয়ে গ্রামে যেতে বললো। শুন ভাইয়া মন খারাপ করিছ না।😊😊😊
শুন, ধর আমরা যদি বিয়ের আগেই গ্রামে গিয়ে ঘুরে আসি তাহলে মোটামুটি একটা ধারনা পাবো যে, রাইসা কেমন, তোর ভালো লাগবে কিনা। 😊😊😌☺
আর এরপর কোন দিক থেকে তোর খারাপ মনে হলে আব্বুকে বলবি। তাই গ্রামে যাওয়াটাই বেটার হবে।
আমিঃ...... (চুপ)😡🤫
রিদ্ধিঃ কিরে ভাইয়া চুপ করে আছচ কেন।
আমিঃ হে......., আচ্ছা ঠিক আছে দেখি।😌😌
রিদ্ধিঃ ওকে তুই ভেবে দেখ, আমি যাচ্ছ।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে ।
-আমি কিছুক্ষন পর রেডি হয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্যে চলে গেলাম। দুপুরে বাসায় ফিরতে দেরি হয়ে গেছিলো।😕😕 ব
next পর্ব পেতে সাথে থাকুন,,,
0
16