💖💔💙ড্রাইভারের প্রেম💖💔💙
পার্ট৬
কখন আসলে আরফা???
আমি কখন আসলাম সেটা তো তোমার খেয়াল হবার কথা না।
তুমি তো খুবই গুরুত্বপূন কাজে ব্যাস্ত ছিলে তাহলে বুঝবে কি করে তাই না।(আরফা)
না এটা তেমন গুরুত্বপূর্ন নয়।
আচ্ছা চলো গাড়ি চালাও।
আমি পিছনে গিয়ে বসলাম।(আরফা)
কি ব্যপার পিছনে গিয়ে বসলে??
আমার ইচ্ছে হলো তাই।
ও আচ্ছা।আমি গাড়ি চালাতে শুরু করলাম।
তাহলে এখন কোথায় যাবো বলো???
কোথাও না বাড়িতে চলো।(আরফা)
কিন্তু তুমি যে বললে বেড়াতে যাবে??
তখন বলছিলাম যাবো এখন বলছি যাবো না ব্যাচ।
এতটুকু সময়ের মধ্যে কি হয়েগেলো??
আমি গাড়িটা একটা ফাকা জায়গায় দাড় করালাম।
ম্যাডামের মনে হচ্ছে রাগ হয়েছে।
এবার বলতো কি ব্যপার, তুমি কি রাগ করেছ??
না।
আরে বলো না।
এই তুমি ঐ মেয়ের সাথে কথা বলছিলে কেন???
ও এই ব্যপার??
আসলে ঐটা আমার কলেজ ফ্রেন্ড।
অনেক দিন পর ওর সাথে দেখা হলো তাই কথা বললাম।
এর বেশি কিছু না।
আরে চলো না ঘুরে আসি অনেক দিন কোথাও ঘুরা হয় না।
আর রাগ করো না প্লিজ।
আর কোন মেয়ের সাথে কথা বলবে না তো?
না বাবা আর বলবো না।
আচ্ছা ঠিক আছে।
চলো আমরা নদীর পাড়ে যায়।
হুম চলো।
সারা বিকেল আমরা অনেক জায়গায় ঘুরলাম।
অনেক মজা করলাম দুজনে।
তারপর সন্ধার সময় আরফাকে ওদের বাড়িতে রেখে
আমি বাড়িতে আসলাম।
এভাবে আরো বেশ কিছু দিন কেটে গেলো।
কলেজে এখন সবাই মনে করে আমি আরফার বড়িগার্ড সব সময় ওর আশে পাশে থাকি তো।
কেউ কেউ আবার মনে করে আমাদের মাঝে কোন সম্পর্ক আছে।
আরফার পাগলামির জন্য।
কিরে আরফা সিয়ামকে কি তুই ভালোবাসিস??? (আরফার বান্ধবি)
কেন হঠাৎ এই প্রশ্ন??
আমাদের মনে হল তাই বললাম।
বাসলে কোন সমস্যা আছে না কি???
না তুই যদি কোন সমস্যা মনে না করিস তাহলে আমি সিয়ামের সাথে প্রেম করতাম আরকি।
এই যে লাথি দেখছি এক লাথি দিয়ে তোরে নিচে ফালাই দিমু।
ওর দিকে যদি তুই ভুলেও নজর দিস।
বাবা এত দরদ।
তা এখানো মনের কথা মনেই রাখছিস না কি সাহস হইনাই??(বান্ধবি)
ওর বলার অপেক্ষায় আছি কিন্তু হাবলা একটা এসব কিছু বুঝতে চায় না।
বেশি দেরি করিস না আবার কেউ ভাগ বসাবে।
আরে ওর কাছে কেউ আসলে তার যে আমি কি করবো।
আর ও যদি প্রেম করে তাহলে ওরে আমি নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাবো।
আচ্ছা ঠিক আছে দেখা যাবে। (বান্ধবি)
আচ্ছা তোরা থাক আমি বাড়িতে যাবো।
হুম যা।
বাহিরে এসে যা দেখলাম তাতে তো আমার মেজাজ টা ১০০ ভোল্ট হয়ে গেলো।
একটা মেয়ে সিয়ামের সামনে ফুল নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
কি করছে মেয়েটা???
আর সিয়ামও কি কথা বলছে???
আরে মেয়েটা ফুল সিয়ামকে দেওয়ার জন্য এগিয়ে ধরছে।
না আর সহ্য করা গেলো না।
আমি ওখানে চলে গেলাম।
এই মেয়ে এখানে কি হচ্ছে???
সিয়ম তখন ভয় পেয়ে গেলো।
যাই হোক তোমাকে কেন বলতে হবে।
আমাকেই সব বলতে হবে বলো।
আমি সিয়ামকে পছন্দ করি তাই ওকে প্রপোজ করছি।
আরে আমার জিনিসের ওপরই সবার কেন নজর পড়ে আমি কিছু বুঝিনা।
রাগটা মাথায় উঠে গেলো।
দিলাম একটা ঠাস করে মেয়েটাকে।
দ্বিতীয় বার যদি এই ভুল করিস তাহলে বুঝবি আমি কি জিনিস।
পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখি সিয়াম ভয় ভয় আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
এখন আমাকে দেখে ভয় পাওয়া হচ্ছে না।
এই বলে সিয়ামের কলার ধরে টানতে টানতে গাড়ির কাছে নিয়ে আসলাম।
এই কি করছো কি করছো সবাই দেখছে।(সিয়াম)
দেখতে দাও।তুমি গাড়ি চালাও বাড়িতে যাবো।
আমি গাড়িতে উঠলাম আরফাও আমার পাশে উঠলো।
আমি গাড়ি চালাচ্ছি।
তুমি রাগ করছো???
কোন কথা নয় গাড়ি চালাও।
আমি আর কোন কথা বললাম না।
বাড়িতে চলে আসছি।
ভয়ে আর আরফার সাথে কথা বলিনি।
গাড়ি থেকে নেমেই আরফা বাড়ির ভিতর চলে যাচ্ছে।
আরে চলে যাচ্ছো কেন???
রাগ করো না প্লিজ।
আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
তখনি কোথা থেকে যেন মেয়েটা এসে ফুল ধরে আমার সামনে দাড়ালো।
আমি তখন কিছু বলবো।
তখনি তো তুমি চলে আসলে।
আমাকে তো কোন কিছু বলার সুয়োগই দিলে না।
ওমনি আরফা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলতে থাকে।
তুমি যদি আমাকে ছাড়া অন্য কোন মেয়েকে ভালোবাসো তাহলে আমি কি করবো আমি নিজেও জানি না।(আরফা)
আমি কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যায়।
আসলে আমিও মনে মনে আরফাকে পছন্দ করতাম কিন্তু আমার পরিবারের কথা ভেবে বলার সাহস হয়নি।
ওর পরিবার কোথায় আর আমার পরিবার কোথায়।
আমরা তো ওদের নিযোজিত কর্মচারী।
তাই নিজের অনুভুতি টা লুকিয়ে রাখতাম।
এবার তো ও নিজেই আমাকে ভালোবাসার কথা বললো তাই আমিও না করতে পারছি না।
তাছাড়া ও যেরকম মেয়ে রাজি না হলে কিছু একটা করে ফেলবে।
আমি তাড়াতাড়ি আরফাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলাম।
মনে হলো কেউ আমাদের দেখে ফেলেছে।
কি হলো??? (আরফা)
এসব বিষয় নিয়ে পরে কথা হবে আমি এখন বাড়িতে যায়।
আমি আর সেখানে এক মিনিটও দাড়ালাম না।
to be continue........
0
8